কত সাল কিংবা কত বছর আগে সেটা ঠিক মনে নেই। কারণ মাঝে অনেক সময় বয়ে গেছ। তবে সেটা ছিল আমার জীবনের প্রথম পরীক্ষার দিন সেটা অবশ্যই মনে আছে। গভীর রাত ৮টা! পর্যন্ত পড়ে ঘুম গেলাম। সাকালে উঠে আবার পড়ে সকাল সকাল দাদার সাথে স্কুলে গেলাম পরীক্ষা দিতে। দাদা আমাকে স্কুলের বারান্দায় পৌছে দিয়ে চলে গেলেন। আমি দাড়িয়ে রইলাম। সব ছাত্র ছাত্রীরা আসল রুমের ভিতর ঢুকে গেল। আমি বারান্দায় আগের জায়গায় দাড়িয়ে রইলাম। একজন স্যার খাতা নিয়ে রুমে ঢুকল, কিছুক্ষন পর একজন স্যার প্রশ্ন নিয়ে রুমে ঢুকল। কিন্তু কোন স্যার আমাকে কিছু বলছেনা দেখে আমি দাড়িয়েই রইলাম। একটু পর দেখি একজন স্যার বাইরে এসে বেল বাজালো। আমি জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখি সবাই লেখা শুরু করছে। আমি কি করব কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমাকে কেউ কিছু বলছেওনা, আমাকে না বললে আমি কিভাবে ভিতরে ঢুকব? এসব ভাবছি। একটু পরে কি যেন মনে করে সোজা বাড়ি ফিরে এলাম। আম্মা দেখে তো অবাক তুই চলে আসলি কেন? আমি বললাম আমাকে কেউ বসতে বলেনি তাই চলে আসছি। আম্মা বকা দিয়ে দাদাকে বললেন যান ওকে আবার স্কুলে দিয়ে আসেন। আমিতো আর স্কুলে যাবোনা। আম্মা বেধড়ক পিটিয়েও সেদিন স্কুলে পাঠাতে পারেননি। বেদম মার খেয়ে কিছুক্ষন কেঁদে খেলতে চলে গেলাম।
আমার ছেলে মেয়েরা এখনও স্কুলে যাবার মত হয়নি। স্কুলে যাবার মত হয়নি মানেকি ছেলে মেয়েইতো হয়নি। আপাতত আমার বোনের ছেলেরা স্কুলে যায় পরীক্ষা দেয়। একসাথে থাকি তাই মাঝে মাঝে ওদের স্কুলে নিয়ে যাই। দেখি, ভাবি আর অবাক হই “ওরা কত স্মার্ট হয়েছে, কত এগিয়ে গেছে, কত কিছু বোঝে। আর আমি আগের মতই রয়ে গেছি”