ইসলম হলো আল্লাহ্ প্রদত্ত নবী(আ প্রদশি'ত বিধান। যুগে যুগে নবী (আ গণ আল্লাহর কিতাব এবং তার ব্যখ্যা ও প্রয়োগ বিধি যখনই মানব সমাজে উপস্থাপন ও প্রদর্শন করেছেন তখনই রাষ্ট্র-সমাজ প্রচলিত প্রথা বিরুদ্ধ হওয়ার কারনে তা প্রত্যাখান করেছে। তার বিরুদ্ধে হৈচৈ শুরু করে প্রতিবাদ করেছে এবং তা উৎখাত করার জন্য সর্বাত্নক শক্তি নিয়োগ করেছে। প্রত্যেক নবী (আ এবং তার স্বল্প সংখ্যক অনুসারী অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও নিগৃহীত হয়েছে। হত্যা, দেশান্তর, অমানুষিক নির্যাতন তাদের ভাগ্যে জুটেছে।
সুতরাং ইসলাম কোন কুশুমাস্তিন' পথ নয় বরং বিপদ সংকুল কন্টকাকীন' পথ। আল কোরানের সুরা বাকারা ও সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে- "তোমারা কি মনে করেছ তোমরা অতি সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ্ এখনো জেনে নেন নাই যে, তোমাদের মধ্যে কারা ইসলামের মোকাবিলায় সর্বাত্নক প্রচেষ্টা (জিহাদ করে) এবং তাতে আপতিত বিপদ-মুছিবতে ধৈর্য ধারণ করে দৃঢ় থাকে"
"তোমরা কি মনে করেছ অতি সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ তোমাদের পূবে'র (ইসলামের অনুসারী) লোকদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। সে অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তদানীন্তন নবী-রাসুল ও তাদের সংগী সাথী গন আর্তনাদ করে বলে উঠেছে, আল্লাহর সাহায্য আর কতদূরে? তখন তাদের বলা হয়েছে আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী হচ্ছে।
এতে প্রমাণিত হয় ঘাত প্রতিঘাত, বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা এবং অত্যাচার নির্যাতনের দুর্গম-দু:সহ পথ পাড়ি দিয়ে ইসলামের বিজয় আসে।
"এল শান্তি কিন্তু আসেনি কুসুমিত পথে
এল নিদারুণ-নিষ্করুণ সংগ্রামের রথে
শান্তি সে নামিয়া আসে, অশান্তির মরুপথ বেয়ে
প্রেমের পূর্ণতা আসে বিরহের তীব্র জ্বালা সয়ে"
জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্র শিবির এর প্রতি বিরোধিতা, তাদের প্রতিরোধ-প্রতিহত করার অপ তৎপরতা প্রমান করে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির সঠিক ইসলামী দল।