somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদক ও বর্তমান প্রজন্ম: ভূমিকা রাজনীতির

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর এটাই হচ্ছে পার্থক্য যে, মানুষ তার আবেগের একটা শৈল্পিক রূপ দিতে পারে যা অন্য কোন প্রাণী দিতে পারেনা। মানুষের মাঝে আরেক মানুষ বিরাজ করে যে মানবজীবনকে এমন এক নান্দনিকতায় রূপ দেয় যা অন্য প্রাণীর মাঝে বিদ্যমান নয়। বাবুই পাখী বাসা বাঁধে এবং তা সবই একই রকমের। শিয়াল, সাপ গর্তে বসবাস করে তাও সব একই রকমের। অন্য প্রাণীরা চলা-ফেরা করে, দৌড়ায়, সবই একইভাবে, একই ঢংয়ে। অথচ মানুষ, তার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান সবই এক স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে করে থাকে। একজনের সাথে আরেকজনের বহিঃপ্রকাশে সাধারণতঃ কোনো মিল থাকেনা। এই বৈচিত্র্য মানুষের মাঝে আছে বলেই মানুষ শ্রেষ্ঠ প্রাণীকুলের মাঝে। আপনার মর্মে যদি কেহ আসিয়া আঘাত করে, কেমন করিয়া আপনার আবেগ সেই আঘাতকে হাস্যমুখে সহিয়া লইতে পারে! কখনই তা পারেনা। নিজের অভ্যন্তরে বসত করে যে আমিত্ব, আপন গরিমায় মহিমান্বিত সে; তাই সে গর্জে ওঠে, জ্বলে উঠে দেশলাইয়ের বারুদের ঘর্ষণের মতো। ঠিক তেমন করেই জ্বলে উঠেছিলো একদিন আপামর সকল জনতা যখন স্বমহিমায় আলোকিত সেই জাতিগত আমিত্বের উপর হস্তক্ষেপ করেছিলো ক্ষমতালোভী বিজাতীয় সেই পক্ষ এবং তাদের পোষাকধারী নিজেদের ভেতর বসবাসরত স্বজাতিরা। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের এই আশ্রয়স্থল, সবুজের বুকে লাল রক্তে রাঙানো এই বাংলাদেশ। নিজের ভাষায় তাই বলছি, কার সাধ্য এমন জন্মকে অস্বীকার করার! তবে সেই জন্মের এত বছর পর অনেকের স্পর্ধা হয়েছে সেই জন্মকে বৈধ বা অবৈধ ভাবার। ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র নানা মত, নানা প্রচার। বিশেষ করে নবীন প্রজন্মকে লক্ষ্য করে, যারা চাক্ষুস করেনি সেই কালরাত, সেই কালসময়কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করবার প্রয়াসে। যেমন করে অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে একটা জেনারেশনকে মাদকের নেশায় ডুবিয়ে রেখে স্বার্থ হাসিল করা, যাদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বড়ই কম। জেনারেশনের সেই অংশকে ধ্বংস করা যাদেরকে নিজেদের কব্জায় আবদ্ধ রাখতে পারেনি। বেছে নিয়েছে ঘৃণ্যতম সেই পন্থা যার মাধ্যমে তাদেরকে স্বপ্নীল এক মায়াবী জগতে আবদ্ধ রেখে তাদের ভেতরের সকল সুপ্ত শক্তিকে তিল তিল করে ধ্বংস করে দেবার। এই যে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ প্রতিটি পরিকল্পনা অতি সুদূরপ্রসারী এবং এর বাস্তবায়নেও তারা একেবারেই অস্থির নয়। ধীরগতিতে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তারা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। যে বিষয়টির অবতারণা আজ আমি করলাম তার যে কোনো ভিত্তি নেই, সে কথা ভাবার অবকাশও আমি রাখিনা। একটু তলিয়ে দেখলেই এর সূত্রপাত কবে থেকে এবং এর উৎস কোথায় আর সরবরাহে কারা মূলতঃ জড়িত তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তাদের কর্মকান্ড ও উদ্দেশ্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, এমন একটা সময় আসবে যখন নিজের কাছেও জবাবদিহি করবার সময় থাকবেনা। বড় স্পর্শকাতর এ বিষয়টি যেখানে জড়িত আছে সমাজের বড় বড় রাঘব-বোয়ালরা যাদেরকে ছোঁয়া তো দূরের কথা তাদের সন্ধান পেতে গেলেই জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। দুষ্টুব্যাধির মতো এটিও ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমাদের জাতীয়তাবোধ অতি সংগোপনে সকলের অগোচরে একটা অন্তরাল তৈরী করে। দেশে থাকাকালীন পেশাগত কারণেই আমার কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকেই এবিষয়ের অবতারণা যা সবার সাথে শেয়ার করার তাড়না নিজের ভেতর থেকেই অনুভব করছি। আমরা এখানে দেশ নিয়ে ভাবছি, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা সবকিছু নিয়েই আলোচনা করছি। তাই যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে, যার সাথে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে, যার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও চেতনাবিরোধীচক্র জড়িয়ে আছে সে সম্পর্কে কিছু না বলাটাও আমার কাছে নৈতিক অবক্ষয়ের সামিল, আর সেই দায়ভার থেকেই সবাইকে সচেতন করবার উদ্দেশ্যেই এ বিষয়ের অবতারণা।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×