মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর এটাই হচ্ছে পার্থক্য যে, মানুষ তার আবেগের একটা শৈল্পিক রূপ দিতে পারে যা অন্য কোন প্রাণী দিতে পারেনা। মানুষের মাঝে আরেক মানুষ বিরাজ করে যে মানবজীবনকে এমন এক নান্দনিকতায় রূপ দেয় যা অন্য প্রাণীর মাঝে বিদ্যমান নয়। বাবুই পাখী বাসা বাঁধে এবং তা সবই একই রকমের। শিয়াল, সাপ গর্তে বসবাস করে তাও সব একই রকমের। অন্য প্রাণীরা চলা-ফেরা করে, দৌড়ায়, সবই একইভাবে, একই ঢংয়ে। অথচ মানুষ, তার সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান সবই এক স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে করে থাকে। একজনের সাথে আরেকজনের বহিঃপ্রকাশে সাধারণতঃ কোনো মিল থাকেনা। এই বৈচিত্র্য মানুষের মাঝে আছে বলেই মানুষ শ্রেষ্ঠ প্রাণীকুলের মাঝে। আপনার মর্মে যদি কেহ আসিয়া আঘাত করে, কেমন করিয়া আপনার আবেগ সেই আঘাতকে হাস্যমুখে সহিয়া লইতে পারে! কখনই তা পারেনা। নিজের অভ্যন্তরে বসত করে যে আমিত্ব, আপন গরিমায় মহিমান্বিত সে; তাই সে গর্জে ওঠে, জ্বলে উঠে দেশলাইয়ের বারুদের ঘর্ষণের মতো। ঠিক তেমন করেই জ্বলে উঠেছিলো একদিন আপামর সকল জনতা যখন স্বমহিমায় আলোকিত সেই জাতিগত আমিত্বের উপর হস্তক্ষেপ করেছিলো ক্ষমতালোভী বিজাতীয় সেই পক্ষ এবং তাদের পোষাকধারী নিজেদের ভেতর বসবাসরত স্বজাতিরা। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের এই আশ্রয়স্থল, সবুজের বুকে লাল রক্তে রাঙানো এই বাংলাদেশ। নিজের ভাষায় তাই বলছি, কার সাধ্য এমন জন্মকে অস্বীকার করার! তবে সেই জন্মের এত বছর পর অনেকের স্পর্ধা হয়েছে সেই জন্মকে বৈধ বা অবৈধ ভাবার। ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র নানা মত, নানা প্রচার। বিশেষ করে নবীন প্রজন্মকে লক্ষ্য করে, যারা চাক্ষুস করেনি সেই কালরাত, সেই কালসময়কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করবার প্রয়াসে। যেমন করে অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে একটা জেনারেশনকে মাদকের নেশায় ডুবিয়ে রেখে স্বার্থ হাসিল করা, যাদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বড়ই কম। জেনারেশনের সেই অংশকে ধ্বংস করা যাদেরকে নিজেদের কব্জায় আবদ্ধ রাখতে পারেনি। বেছে নিয়েছে ঘৃণ্যতম সেই পন্থা যার মাধ্যমে তাদেরকে স্বপ্নীল এক মায়াবী জগতে আবদ্ধ রেখে তাদের ভেতরের সকল সুপ্ত শক্তিকে তিল তিল করে ধ্বংস করে দেবার। এই যে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ প্রতিটি পরিকল্পনা অতি সুদূরপ্রসারী এবং এর বাস্তবায়নেও তারা একেবারেই অস্থির নয়। ধীরগতিতে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তারা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। যে বিষয়টির অবতারণা আজ আমি করলাম তার যে কোনো ভিত্তি নেই, সে কথা ভাবার অবকাশও আমি রাখিনা। একটু তলিয়ে দেখলেই এর সূত্রপাত কবে থেকে এবং এর উৎস কোথায় আর সরবরাহে কারা মূলতঃ জড়িত তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তাদের কর্মকান্ড ও উদ্দেশ্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, এমন একটা সময় আসবে যখন নিজের কাছেও জবাবদিহি করবার সময় থাকবেনা। বড় স্পর্শকাতর এ বিষয়টি যেখানে জড়িত আছে সমাজের বড় বড় রাঘব-বোয়ালরা যাদেরকে ছোঁয়া তো দূরের কথা তাদের সন্ধান পেতে গেলেই জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। দুষ্টুব্যাধির মতো এটিও ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমাদের জাতীয়তাবোধ অতি সংগোপনে সকলের অগোচরে একটা অন্তরাল তৈরী করে। দেশে থাকাকালীন পেশাগত কারণেই আমার কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকেই এবিষয়ের অবতারণা যা সবার সাথে শেয়ার করার তাড়না নিজের ভেতর থেকেই অনুভব করছি। আমরা এখানে দেশ নিয়ে ভাবছি, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা সবকিছু নিয়েই আলোচনা করছি। তাই যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে, যার সাথে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে, যার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও চেতনাবিরোধীচক্র জড়িয়ে আছে সে সম্পর্কে কিছু না বলাটাও আমার কাছে নৈতিক অবক্ষয়ের সামিল, আর সেই দায়ভার থেকেই সবাইকে সচেতন করবার উদ্দেশ্যেই এ বিষয়ের অবতারণা।
আলোচিত ব্লগ
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়
আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।