বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলায় বাঙালিরা বরাবরই হেনরি কিসিঞ্জারের উপর ক্ষিপ্ত। কিন্তু কেন বলেছে, তার কথাটা যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক কেউ কি তা খতিয়ে দেখেছে?
আমার তো মনেহয় প্রসংশা শুনে যেমন হুট করে খুশি হওয়া ঠিক না, আবার নেতিবাচক মন্ত্রব্য শুনে হুট করে চোটে যাওয়াটাও ঠিক না। আগে প্রসংশা বা নেতিবাচক মন্তব্যের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা দরকার, তারপর খুশি বা চোটে যাওয়ার বিষয়। অযৌক্তিক প্রসংশায় খুশি হওয়া যেমন বোকামি, যৌক্তিক বিরোধিতায় চোটে যাওয়াটা তেমন মূর্খতা।
তলাবিহীন ঝুড়ি বলতে কি বুঝায় তা সকলেই জানে। এটা এমন একটি পাত্র যেটাকে যতই দেয়া হোক পূর্ণ করা সম্ভব না। মূলত ৭৪ এর দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশকে দেওয়া ত্রান সামগ্রী ভারতে বিক্রি হতে দেখে হেনরি কিসিঞ্জার এমন মন্তব্য করেছিল। সুতরাং লজিক্যালি চিন্তা করলে সে অযৌক্তিক কিছু বলেছিল বলে আমার মনে হয় না!
এমনকি তার কথা তখনও সঠিক ছিল এখন সঠিকই আছে, দেশে তখনও চোর বাটপার ছিল এখনও আছে। এই যে একদিকে প্রবাসিরা বিদেশ হতে ডলার পাঠাচ্ছে অন্যদিকে চোরের দল সেই ডলার বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। যারা চুরি করছে তারা সকলেই বাংলাদেশি, বিদেশ থেকে কেউ এসে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে না। এবং সেই বাংলাদেশিরাই চুরি করছে যারা সুযোগ পেয়েছে। আর যারা চুরি করছে না, তারা মূলত সুযোগ পাচ্ছে না।
জানি কথাটা বাঙালি হিসেবে আমাদের বিপক্ষে যায়, কিন্তু কথাটা তো সত্যি। যেটা সত্যি সেটা মেনে নিতে অসুবিধা কি!?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৬