পাঠ্যপুস্তকে আমরা যে ইতিহাস পড়ে বড় হয়েছি তার শুরু সিরাজুদ্দৌলা থেকে, এবং সে ইতিহাস পরাজয়ের ইতিহাস। এরপর ব্রিটিশ শাসনে গোলামীর ইতিহাস। অর্থাৎ যে ইতিহাস আমাদের পড়ানো হয় তা পরাজয়ের এবং গোলামীর। একাত্তরে জয়ের যে ইতিহাস বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হয় তাকেও বেঁধে দেয়া হয়েছে পরনির্ভরশীলতার শেকলে! যে জাতি পরাজয় এবং গোলামীর ইতিহাস পড়ে বড় হয়, সে জাতি কী করে জয় করবে? যে জাতি গোলামের ইতিহাস পড়ে বড় হয়, সে জাতি কী করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে?
কোথায় স্বাধীন সুলতানী বাংলার ইতিহাস। কোথায় নোয়াখালীতে জন্ম নেয়া ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ? কোথায় অবিভক্ত বাংলার স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ? ইউজবাক শাহ, তুগরাল খান, শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহয়েরা কোথায়? কোথায় বাংলা সালতানাত?
ইদানীং ইখতিয়ারউদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির ইতিহাস যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও আল্টিমেটলি বাংলাকে পরাজিত হিসেবেই দেখানো হয়েছে। বিপরীতে যেই সেনেরা বাংলা ভাষাকে রুখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাদের দেখানো হয়েছে হিরো হিসেবে!
ইতিহাসের স্রোত থেকে আসে বর্তমান। বর্তমানের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ। তাই ভবিষ্যৎ নির্মাণে দরকার ইতিহাসের পূর্ণ পাঠ। কেবল পরাজয় আর গোলামীর খণ্ডিত ইতিহাস কখনোই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং সামাজিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ করতে সক্ষম হতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮