
০. হে মানবতাবাদী পোগোতিশীল বাঙ্গু সম্প্রদায়, অতঃপর তোমরা তোমাদের গুরুর কোন কোন ভণ্ডামোকে অস্বীকার করবে!
১. ইদানীং নতুন কিছু হিপোক্রেট দেখতে পাচ্ছি, যাদের কুরবানী নিয়ে অনেক সমস্যা, কিন্তু গোস্ত পেলে গলা চুবিয়ে খায়। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে যুক্তি দেখায় বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রাণীর গোস্ত খাই, কিন্তু উৎসব করে খাওয়া ভালো কাজ হতে পারে না। য়ে মানে, তারা যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নানান আইটেমের গোস্ত খেয়ে সেলিব্রেশন করে বেড়ায়, সেটা কি উৎসব নয়? না মানে, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়াটা কি উৎসব নয়? আসলে পোগোতিশীল বাঙ্গু থাকাতে আমরা এই ভেবে নিশ্চিতে ঘুমাতে পারি যে, দেশে নানান ধরনের অভাব অনটন থাকলেও হিপোক্রেসির কোন অভাব নেই।
২. আবার আরেক গ্রুপ আছে সারা বছর গোস্ত খায়, কিন্তু খাদ্য হিসেবে প্রাণী হত্যার বিপক্ষে বলার পর সমাধান হিসেবে নিরামিষের কথা বলে। আচ্ছা, নিরামিষ খেলেও তো গাছ বা ফল হত্যা করা হয়, তখন মায়া লাগে না? এই প্রশ্ন করলে আবার উত্তর দেবে, এদের তো নার্ভ নাই। কিন্তু কথা হচ্ছে, হত্যা তো হত্যাই, নার্ভ না থাকার দোহাই দিয়ে যেটা হত্যা করা হল সেটার কি বেঁচে থাকার অধিকার হরন করা হলো না? কোন এথিক্সে এর বৈধতা দেবেন? নিজে বাঁচার দোহাই দেবেন? সেটাও হতে পারে না, আপনি নিজের প্রাণ বাচাঁনোর জন্য নার্ভের দোহাই দিয়ে অপর প্রাণ হত্যার এথিক্যাল রাইট কার কাছথেকে পেয়েছেন? তাছাড়া এমন কী যৌক্তিক কারণে একটা ফল বা বৃক্ষের চেয়ে পৃথিবীতে আপনার বেঁচে থাকাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ? আসলে আপনে যেটাই খান, তা কোন না কোন প্রাণ হত্যা করেই খাচ্ছেন। নিজে প্রাণ হত্যা করে খেয়ে অপরের সমালোচনা হিপোক্রেসি ব্যাতিত কিছুই নয়। সুতরাং কুরবানি নিয়ে সমালোচনা করার আগে আপনাকে টোটালি খাদ্য গ্রহণ বন্ধ করে মারা যেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



