somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বা অবস্থা কোথায় যাচ্ছে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা প্রতিদিন সংবাদ পাচ্ছি যে নতুন নতুন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে কতদিন চলবে আর প্রতিদিন আর কত মানুষ আক্রান্ত হবে? এটা বোঝার জন্য একটা ছোট্ট একটা graph বোঝা দরকার।



এই graph টাতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। তারপর এক পর্যায়ে সমতল হয়ে যায় এবং শেষ পর্যায়ে কমতে শুরু করে। আমাদের বাংলাদেশ এখন প্রথম ধাপে আছে, আস্তে আস্তে সংখ্যায় বাড়ছে। আমরা পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করব, সেটা হচ্ছে সমতল বা flattening the curve। এই ধাপটার জন্য প্রতিটি আক্রান্ত দেশ অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে, আমরাও অপেক্ষা করছি। কারন এই ধাপে পৌঁছানো মানে হল “রোগীর সংখ্যা গতকালের চেয়ে বাড়েনি”! তারও চেয়ে বড় কথা হল নিকট ভবিষ্যতে রোগীর সংখ্যা কমতে যাচ্ছে। কিছু website ও আছে যেখানে বিভিন্ন দেশ কত সময়ে এই সমতল জায়গাটাতে যেতে পারছে অথবা বর্তমানে কোথায় আছে তার গ্রাফ দেয়া আছে (Click This Link)। এই সমতল অংশটা কত দ্রুত আসবে সেটা নির্ভর করে আমরা কত ভালভাবে করোনার মোকাবেলা করছি। চায়না, সাউথ করিয়া ৩০-৬০ দিনের ভিতরে গ্রাফটাকে সমতল করতে পেরেছে, অন্যান্য দেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সময়টা বেশি লাগতে পারে। বেশি পরিমান টেস্ট, দ্রুত isolation এ নিয়ে যাওয়া সহ মানুষের ভিতর ব্যক্তিগত সচেতনতা গ্রাফটাকে সমতল করতে খুবই জরুরী ভুমিকা পালন করে। আমরা যদি বাংলদেশের অবস্থান অন্যান্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে এমন দেশের সাথে তুলনা করি তাহলে একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে যে আমরা কতটুকু ভাল অথবা খারাপ অবস্থানে আছি। গ্রাফ A তে দেখা যাচ্ছে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার গ্রাফ, এখানে আমরা অনেক ভাল আছি। যদিও আমরা এইসব দেশ থেকে সময়ের দিক থেকে পরে আক্রান্ত হয়েছি। গ্রাফ B তে দেখা যাচ্ছে মোট মৃত্যুর সংখ্যা, এখানেও আমরা ভাল অবস্থানে আছি এখন পর্যন্ত। গ্রাফ C তে দেখা যাচ্ছে মোট কতগুলো টেস্ট করা হয়েছে। এখানে আমাদের অবস্থান খুবই খারাপ। গ্রাফ D তে দেখা যাচ্ছে যতজন করোনা positive হয়েছে তাদের ভিতর কি হারে মারা গিয়েছে। এই গ্রাফ ও বলছে আমরা ভাল অবস্থানে নেই। এই মারা যাওয়ার হার USA, Germany, China এর মত। তবে এখনও আমরা আশা করি বাংলাদেশের পরিস্তিতি খুব খারাপ হবে না। আমরা কোন না কোনও ভাবে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব।




পুরো লেখাটি পেতে- Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×