somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর সবচাইতে ভয়ংকর সব ভূতের বাড়ি!

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভূত! শুনেই গান ছমছম করা শিউরে ওঠা এক অনুভব, তাই না? ভূতে বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক, ভূতের কল্পনা করে ভয় আমরা সবাই কম-বেশি পাই। গল্পের বইতে ভূতের বাড়ির কথা পড়ে শিহরিত হই। ভূতের বাড়ি কি কেবল কল্পনাতেই আছে? একদম নয়! পৃথিবী জুড়ে আছে সত্যিকারের ভয়ংকর সব ভূতের বাড়ি আর সেগুলোর অন্তরালে আছে ভয়ানক গা ছমছমে সব কাহিনী। আসুন, আজ শোনা যাক সেরকমই কিছু ভূতের বাড়ির সত্য গল্প।

দি স্কিরিড ইনঃ
কুখ্যাত ভৌতিক স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইংল্যান্ডের ওয়ালেস স্টেটের Llanfihangel Crucorney তে অবস্থিত Skirrid Mountain Inn. লোক গল্প মতে- ৯০০ বছর আগে এখানে ১৮০ জনেরও বেশি লোককে সিঁড়ির বীমের সাথে ফাঁসি দেওয়া হয়। তখন ভবনের প্রথম তলা কোর্ট রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই ঘটনার পরে হঠাৎ একদিন দেখতে পায় একটা গ্লাস উড়ছে! লোকজন দেখতে পেত জানালায় তারা তাদের ঘাড়ে ফাঁস বানাচ্ছে! ঠান্ডা কক্ষগুলো হঠাৎ করে গরম হয়ে উঠতো! এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকতো ক্রমশ। এসব এর পর ফেনি প্রাইস(দালানটির মালিক) চিন্তা করলেন এখানে অনেক সক্রিয় আত্মা রয়েছে, পরে অন্যান্য লোকজন এটাকে বিপদজনক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেন।

ভানগারঃ

ভারতের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভৌতিক স্থান ভানগার দূর্গ। স্থানীয় লোকজনই এই জায়গার নামকরণ করেন। এলাকাটি এবং শহরকে নিয়ে কিছু জনপ্রিয় ভূতুড়ে গল্প রয়েছে। কথিত আছে এক রাজকুমারী একজন জাদুকরকে অপমান করেছিল বলে জাদুকর এই এলাকাটা ধ্বংস করে দেন।

১৭০০ শতাব্দীতে এটি আবার ধ্বংস হয় আর্মিদের মাধ্যমে। জাদুকর মারা যাওয়ার পর এই এলাকায় জাদুকরের আত্মা এখনো থাকে বলে রাতে কোন পাখি বা কোন পশু ডাকেনা, সবাই চুপচাপ থাকে বলে কথিত আছে। আজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি ওখানে রাত কাটানোর সাহস দেখায়নি।

উডচেস্টার ম্যানশনঃ

ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারে অবস্থিত উডচেস্টার ম্যানশনের ভৌতিক বাড়ি হিসেবে খ্যাতি আছে। দালানটির নির্মান কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। গত ২০০ বছর আগে এটার কাজ করা হয়েছিল শেষ বারেব মত।

গুজব আছে এখানে যারা কাজ করতে আসে তারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা যায়। নির্মান কাজের শব্দের মত শব্দ পাওয়া যায় এখনও, রোমান সৈন্য এবং যুবতী মেয়েদের দেখতে পাওয়া যায় বলে কথিত আছে।

বোরলে রেকটরি :


বোরলে রেকটরি পৃথিবীর সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা হিসেবে পরিচিত। এটি যুক্তরাজ্যের বোরলে গ্রামে অবস্থিত, ১৮৬৩ সালে নির্মান করা হয়। এখানে ‘নুন’ নামের এক ব্যাক্তিকে হাঁটতে দেখা যায় যাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

পুরোনো একটি গল্প প্রচলিত আছে যে নুন লোকটি ‘বোরলে’ সম্প্রদায়ের এক সন্ন্যাসীনীর প্রেমে পড়েন। দুজনে চেয়েছিলেন পালিয়ে যেতে কিন্তু যেতে পারলেন না। ধরা পড়ার পর সন্ন্যাসীনীকে খুন করা হয় আর নুনকে পুড়িয়ে মারা হয় এই ভবনে। এর পর থেকে এই বাড়ি ভৌতিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

প্যারিসের কাটাকম্ব:

প্যারিসের কাটাকম্ব ফ্রান্সের প্যারিসের একটি আণ্ডারগ্রাউন্ড অসারি (যেখানে মরা মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল রাখা হয় )।১৭০০ সালের মাঝা মাঝি এটি নির্মান করা হয়।

যারা কমপক্ষে ৩০ বছর আগে মারা গেছে এবং তাদের খুলি এখানে সংরক্ষণ করা হয়। এখানকার খুলি, হাড়গুলো রাতের বেলা নিজে নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার যাতায়ার করে বলে কথিত আছে।

স্ট্যানলি হোটেলঃ

স্টিফেন কিং এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নামকরা ‘The Shining’ হরর মুভিটি নির্মাণ করা হয়েছে স্ট্যানলি হোটেল কে কেন্দ্র করে। মুভির নির্মাতা নিজেও এর সাক্ষী। তিনি যখন এই হোটেলের ২১৭ নাম্বার রুমে অবস্থান করেন তখন তিনি নিজেই অনেক ভৌতিক ঘটনা দেখেন। তিনি শুনতে পেতেন আত্মারা পাশের রুমে খেলা করছে! অনেক আত্মা নাকি এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতো। যখন গেস্ট আসতো তখন তারাও দেখতে পেত পিয়ানোর কী গুলো নিজে নিজে মুভ হচ্ছে,নিজে নিজে মিউজিক বাজছে।

টাওয়ার অব লন্ডন:

১৫৩৬ সালে হেনরি VIII এর একজন স্ত্রীকে এই টাওয়ারে শিরচ্ছেদ করা হয়।

ঐ স্ত্রীলোকের আত্মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত, মাঝে মাঝে তিনি তার খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে ‘টাওয়ার গ্রীন’ এবং ‘টাওয়ার চাপেল রয়েলে’ হাঁটতেন। পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর ভৌতিক বাড়ির মধ্যে এটি একটি।

বেল ফার্ম:
১৮১৭ থেকে ১৮২১ সালের মধ্যে একজন মহিলা বেল পরিবারে প্রবেশ করে। তার নাম হচ্ছে কেট। কিছুদিন পর সে ‘জন বেল’ এবং তার পরিবারের উপর খুব অত্যাচার চালায়। এক পর্যায়ে বেল স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়,এবং মারা যায়।

তার মৃত্যু শয্যার পাশে একটি কালো তরলের শিশি পাওয়া যায়। শিশিটা পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি ছিল বিষের শিশি। অর্থাৎ বেলকে হত্যা করা হয়েছিল। এখনো সেই ভবনের আশে পাশে বেলের আত্মা আছে বলে মনে করেন অনেকে, কেননা অনেকেই চাক্ষুস দেখেছে।

(সংগ্রহীত)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×