somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাজায় কসাই আর সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে হত্যা করছে নিস্পাপ শিশুদের! বিপরীতে চলছে অতি নিরাপদ'ভদ্রলোকী' মানববন্ধন

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর যে অমানবিক হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে কেন শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত ওবামা চুপকরে আছেন, কেন চুপ করে আছে শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত আর এক প্রতিষ্ঠান বান কি মুন । তারা কি বোবা হয়ে গেছেন নাকি বধির !



Stop Killing in Gaza’, ‘Stop Killing Children’ ইত্যাদি প্লাকার্ড হাতে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্থানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভদ্রলোকী শ্লোগান দিয়ে শহরের নিরাপদ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে গতকাল। কিন্তু সন্ত্রাসী ইসরাইল কি বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করবে ? মনেহয় না। কারন তাদের কাছে আছে আমেরিকার মত দেশের অদৃশ্য সহযোগীতা। আরো আছে জাতিসংঘের নিরবতা।

আসুন এবার কিছু নৃশংস ঘটনা আপনাদরে জানার জন্য তুলে ধরব:



ইসরাইলি হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে সাত বছরের মোহাম্মদ আল বাতশের পুরো দেহ। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে গাজার আল শেফা হাসপাতালে আনা হয়েছে। চিকিৎসকেরাও ছুটে এলেন। কিন্তু শিশুটি জোর দিয়ে বলল, আগে তার বড় ভাই আহমদের চিকিৎসা করতে হবে।
মোহাম্মদের চেয়ে দুই বছরের বড় আহমদও মারাত্মকভাবে আহত ছিল। কিন্তু হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই সে মারা গেছে। শিশুটিকে সান্তনা দিতে চিকিৎসকেরা আহমদের চিকিৎসা করার ভান করলেন, যাতে মোহাম্মদকে চিকিৎসা নিতে রাজি করানো যায়।

আরো দুঃখজনক খবর হলো, ইসরাইলি বোমা হামলায় বাতশ পরিবারের ১৮ জন নিহত হয়েছে। এখন মোহাম্মদই ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য।

গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে গাজা উপত্যাকার ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রধান ডা. বাশার মুরাদ বলেন, গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের মনোস্তাত্ত্বিক ক্ষতি হয়েছে ভয়াবহ।

তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে, তা নিশ্চিতভাবেই হলুকাস্ট। ফিলিস্তিনি শিশুরা ২৪ ঘণ্টা আতঙ্কে থাকে। তারা বিস্ফোরণের শব্দে জেগে ওঠে। অনেককে সারা জীবন মানসিক সমস্যায় কাটাতে হতে পারে।’



পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ কতটা ভাড়ী, কত কষ্টের, কত বেদনাদায়ক এই হ্দয়বিদারক যন্ত্রনাটি কেবল সেই বুঝতে পারে। যারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।



ফিলিস্তিনি গর্বিত এক মা আসমা কারজাইয়ের ঘরে আজ আনন্দের বন্যা,
এই আনন্দের ঢেউ প্রতিবেশির ঘরে গিয়েও পড়েছে। কারন কি আসুন জেনে নিই।

আসমা ইফতারের সময় সবার ঘরে ঘরে মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছে, প্রতিবেশিরা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। আশ্চার্য হবারই তো কথা, যেখানে সমগ্র গাঁজায় চলছে ইসরাইলী নিধনযজ্ঞ। আর সেখানে একজন মহিলা মানুষের বাড়ি হেঁটে হেঁটে মিষ্টি বিতরন করছে। এর একটি কারণ তো অবশ্যই আছে।
আসমা কারজাই এতো উৎফুল্ল কেন জানেন? আজ আসমার তৃতীয় ছেলেটিও শাহাদাত বরণ করেছে। স্বামীকে হারানোর পর দুটি ছেলেকে হারিয়েছে ইসরাইলী হায়েনাদের পাশবিকতায়। অবশেষে আজ সকালে ৯ বছরে উসমাকেও নিজ হাতে নতুন জামা পড়িয়ে পাঠিয়ে ছিলেন ইসরাইলী কুকুরদের প্রতিরোধের জন্য, পিতা, ভাই হত্যার বদলা, দেশ ও ইসলামের পতাকাকে রক্ষার জন্য ছোট্ট কিশোর উসামা ছুটে যায় জিহাদের ময়দানে। ফিরে আসে জান্নাতের পাখি হয়ে।

সে আনন্দে ৩ শহিদের গর্বিত মা হিসাবে আনন্দে আত্নহারা আসমা সবাইকে মিষ্টি বিতরন করছে।
সবার কাছে গর্ব করে বলছে.…
আমি তিন শহিদের মা।
আমার যদি আরো একটি সন্তান থাকতো আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দিতাম।

এটা প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ফিলিস্তিনি মায়েদের একটি ঘটনার প্রতিবিম্ব মাত্র। আল্লাহ তুমি আমার ভাইদের সহযোগিতা করো। আমার মাদের ধৈর্য্য ধরার তাওফিক দাও।

আরো কিছু ছবি যা দেখলে বোঝা যাবে যে কসাই আর সন্ত্রাসী না হলে কেই এ কাজ করতে পারে না।








কিছু স্বস্তিদায়ক খবর

.....লেবাননের সামরিক বাহিনী তাদের ব্যাটালিয়ন নিয়ে গাজায় সাহায্যের জন্য পৌছেছে।

.....আরব আমিরাতের সাংসদ শেখ মাখতুম ২ কোটি টাকা গাজার সহয়তা তহবিলে প্রদান করেছেন।

......জার্মানীর বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসুত অজিল ৬ কোটি ডলারের অনুদান প্রদানে সম্মত প্রকাশ করেছেন।

.....ইসরায়েলের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য সামরিক বাহিনী প্রেরণ করেছে নামিবিয়া।

......তুরস্ক ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নইলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে তুর্কি আর্মড ফোর্স।

......রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন গাজার উপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় সহযোগিতা বন্ধের হুমকি।




আরব বিশ্বের মুসলিম নামধারী ইবলিশদের কারনেই ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করার সাহস পাচ্ছে।




ফিলিস্তিনি মুসলমানরা নিশ্চয় জয়ী হব। সত্যের জয় অবশম্ভাবী।



সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×