somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিলখানায় প্রতিশোধ চলছে না তো?

১৮ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পিলখানায় ইতিহাসের নিন্দিততম হত্যাকান্ডের পর সেনাবাহিনী এদেশের আপামর জনগণের সমবেদনা ও সহানুভূতি পেয়েছে। আমরা দেখেছি কি গভীর মমতা নিয়ে মানুষ স্বউদ্যোগে কালোব্যাজ পরে, পিলখানায় নিহতদের স্বরণে ফুল দিয়ে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে পালন করেছে রাষ্ট্রীয় শোক।
সাধারণ জনগণ সবসময়ই চারিত্রিকভাবে নির্যাতিত মানুষের সপক্ষে। তাইতো বিডিআর বিদ্রোহের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন তাদের বঞ্চনা আর ন্যায্য দাবীর কথা শোনা যাচ্ছিল তখন তাদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন মানুষেরও সগর্ব উচ্চারণ শোনা যাচ্ছিল আশেপাশে, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে বদলে যায় সকল নৃশংসতা সামনে আসার পর।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে পিলখানায় স্ক্রিনিং এর সময় জওয়ানদের অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া কিংবা আত্মহত্যার খবর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানাবিধ গৌরবের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারের বিচ্ছিন্নভাবে তাদের সশস্ত্র শক্তির কাছে নিরস্ত্র বহু মানুষের অমানবিকভাবে অত্যাচারিত হবার বা ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ক্যাম্পে হার্ট এ্যাটাকের কাহিনী আমাদের অজানা নয়। সেনাবাহিনীর ভাষায় অনেকের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ব্লাডি সিভিলিয়ন হওয়ার অপরাধের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাছাড়া সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিশোধ স্পৃহাও অমূলক নয়। তাই বিডিআর জওয়ানদের এহেন মৃত্যু আমাদের দু:শ্চিন্তাগ্রস্থ করে। অপরাধীদের সমুচিত শাস্তি সবারই কাম্য কিন্তু অবশ্যই তা যথাযথ বিচার আর নিয়মের মধ্য দিয়ে এবং সভ্য হিসাবে অবশ্যই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে নয়।
বহুপ্রাচীনকাল থেকেই স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের তত্ত্ব হিসাবে বলা হয়, শত অপরাধী পেরিয়ে যাক কিন্তু একজনও নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। পিলখানার অভ্যন্তরে তথাকথিত অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া বা আত্মহত্যার ঘটনাবৃদ্ধি নিরপরাধীর শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক বেশি জাগিয়ে দেয়। আমাদের মনে রাখা দরকার নিহত নিরপরাধ সেনাকর্মকর্তার স্ত্রী-সন্তানের কষ্টের চেয়ে নিহত নিরপরাধ বিডিআর জওয়ানদের স্ত্রী-সন্তানের কষ্ট কোন অংশে কম নয়। তাই সেনাবাহিনীর অনেক অগ্রহনযোগ্য কার্যকলাপ ভুলে বতর্মান সময়ে আপামর জনগণ তাদের প্রতি যে সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও বিদ্রোহের ঘটনার দিন সেনাবাহিনীর প্রদর্শিত প্রশংসনীয় সংযমের ধারাবহিকতায় নূন্যতম মানবাধিকার রক্ষা করে ও নিয়মসিদ্ধ উপায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদেরকে নিরপরাধীর শাস্তি এড়িয়ে তদন্তসহ যাবতীয় কাজ পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×