প্রতিটি বাংগালীর মধ্যেই প্রচন্ড হিংসা কাজ করে ! কারো ভালো কেউই দেখতে পারে না ! আর এসব চরম হিংসাত্নক বাংগালীরা প্রবাসে বা ভিনদেশে এসেও প্রতিনিয়ত তার বীজ রোপন করে যাচ্ছেন । তা না হলে বিদেশের মাটিতেও কেন একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে র্কোটে সাক্ষী দিবেন ! একজন বাংগালী বিদেশের মাটিতে সুনাম অর্জন করবেন এটা কিছু কুলাংগার চায় না । তেমনটিই ঘটে গেলো লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস্ বরায় । বাংগালীদের সুনাম অর্জনকারী একমাত্র মেয়র যিনি তার দক্ষতা বিচক্ষনতা বুদ্ধি দিয়ে বৃটেনের মতো একটি স্থানে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন,আর তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় বারও বিপুল সংখ্যক ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন । আর এতেই কিছু দূষ্কৃতিকারী দুষ্টচক্র তার বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগ আনতে থাকে । এমনিতেই মেয়র লুতফুর রহমান একজন বাংগালী মুসলমান হওয়ার কারনে বৃটিশদের নজরে ছিলেন বিশেষ করে তার বিভিন্ন আর্ত্নসামাজিক ও বাংগালী কমিউনিটিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্যে । তারই ফলশ্রুতিতে বৃটিশরা তার বিরুদ্ধে ইসু্য খুজতে শুরু করেন । এদিকে বাংগালী কমিউনিটিতে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ার কারনে কিছু বাংগালী দুষ্কৃতিকারী তার বিরুদ্ধে বৃটিশ মিডিয়ায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচার করা শুরু করলেন । এরই ভিত্তিতে বৃটিশ মিডিয়া ও গণমাধ্যমগুলো মেয়র লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরী করে । এই আত্নসামাজিক কর্মকান্ডের কারনে বৃটেনে তিনি ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ৫৩ নাম্বারে উঠে আসেন এটা কিছু বাংগালী ও বৃটিশদের চোখে ভালো লাগেনি । তারই ফলে আজ একজন মুসলিম বাংগালী তার কমিউনিটির জনগণের ভোটে নির্বাচিতও হয়েও মেয়র পদ হারালেন । আজ ইসলাম ধর্ম ও মুসলমান ইসু্য ধরে একজন মেধাবী ও যোগ্য লোককে তার মেয়র পদ বাতিল করা হলো যা সত্যি খুবই হতাশার ও দু:খজনক পুরো বাংগালী মুসলিম কমিউনিটির জন্যে । আজ ঐসব দুষ্কৃতিকারীরা সফল যারা কখনো একজন বাংগালীর ভালো ও সম্মান কমনা করে না । আজ তারা আনন্দ করছে এসব মীরজাফররা যুগে যুগে দেশে বিদেশে বাংগালীদের বিপক্ষেই গুপ্তচরের ন্যায় কাজ করে বাংগালীদের ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে নষ্ট করতে সদা জাগ্রত থাকবেন ।
.........এম.এ.মামুন .......
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:১০