উপাচার্য ও উপউপাচার্যের অপসারণ দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও আপাতত গণপদত্যাগ করছেন না বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
দুদিন বিরতির পর শনিবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘটের পর সাধারণ সভায় বসে শিক্ষক সমিতি।
বৈঠকে গণপদত্যাগের কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় ৩০ জুলাই শিক্ষক সমিতির সভা হবে। ওই সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বন্ধের মধ্যেও ওই সময় পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নজরুল ইসলাম ও উপউপাচার্য অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমানের অপসারণ দাবিতে রোববার একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা ছিল বুয়েট শিক্ষকদের।
উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলেও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম শুরু থেকে পদত্যাগ করতে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন।
আন্দোলনের মুখে উপাচার্য রোজা ও ঈদের ছুটি এক মাস এগিয়ে আনার পর দুই সপ্তাহ আগে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে বুয়েট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংশি¬ষ্ট বিভিন্ন পদে থাকা ২৪ শিক্ষক পদত্যাগও করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এই আন্দোলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারো সঙ্গে বসতে তারা রাজি নন।
এরপর বুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি দেশের প্রকৌশল শিক্ষার সর্বোচ্চ এই প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষকদের অসহযোগিতাকেই দায়ী করেন।
বুয়েট শিক্ষকরা পদত্যাগের হুমকি দিলে মন্ত্রী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের গণপদত্যাগের হুমকির পেছনে ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ রয়েছে।
এরপর অবস্থান কর্মসূচি দুই দিনের জন্য স্ঘতি করে শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক মুজিবর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই দিন বিরতি দিয়ে শনিবার আবারো তারা অবস্থান ধর্মঘটে বসবেন। রোববার বিকাল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে একযোগে পদত্যাগ করবেন।