'আশাহত' শিরোনামের ছোটোগল্পের ক্ষুদ্রাংশ(প্রণয়িনী তন্দ্রাবিলাসী & কবি স্বপ্নবাকের কথোপকথন) __
"তন্দ্রাবিলাসী: কেমন আছো কবি,আমি ভালো নেই। গত ২রা আশ্বিন আমার স্বামী আমায় ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছেন।আমতলীর ভাঙা বাড়িটায় রোদে-জলে বহুকষ্টে কোনমতে আছি। কি করবো বলো,তার সাথে সংসার ভালো টিকছিলও না আর এখন আমি জনবিচ্ছিন্ন কলঙ্কিনী এক বাঙ্গালী ডিভোর্সি নারী। পোড়া দেহটাকে নিয়ে কোথায় যে যাই,অবুঝ মনটাকেও সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই...
হে ভাষার শিল্পী স্বপ্নবাক! আজ তোমার কাছে কিছুই চাইবনা,শুধু একটু সান্ত্বনা চাই,একটু সান্ত্বনা দাও খালি আর কিচ্ছু চাইনা,সোনালি অতীত চাইনা,বর্ণালী ভবিষৎ চাই না,একটু সুনীল সান্ত্বনা চাই...
কবি স্বপ্নবাক: তুমি আমায় যেখানে রেখে গিয়েছিলে আমি আজও সেখানেই আছি,যাবার বেলায় তুমি দরজাটা যেভাবে খুলে রেখে গিয়েছিলে দরজা ঠিক তেমনি খোলা রয়েছে,তোমার চলার সে পথে ধুলো জমে আছে.. ও পথ কেউ মাড়ায়নি,তুমি সেই ধুলোমাখা পথধরে চলে এসো আবার,এসে নিয়ে যাও তোমার স্বপ্নের সান্ত্বনা...
তুমি সমাজের কথা বলছ? হমহ!কবিরা সমাজের পরোয়া করে না,কবিদের সমাজ কবিরা গড়ে নিতে জানে"