অনেকদিন পর উত্তরা গেছি। তেমন কোন কাজে নয়। আড্ডা দিতে, হাওয়া খেতে। খাওয়ার মধ্যে যা খেলাম চা, বিড়ি , বিস্কিট। সাথে ছিল মাতাল করা সন্ধ্যা বেলার মায়াবি অন্ধকার চারপাশ ঘিরে। আমরা বসেছি বিমানবন্দর থেকে একটু সামনে পুলিশ বক্সের একটু আগের টং দোকানে। প্রকৃতি তার দুহাত মেলে কানায় কানায় পূর্ণ এ নগরীকে
নিবিড় যত্নে লালন করে চলেছে। এই সম্বলটুকুকেই বুকে চেপে বেচে আছি আমরা কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ। এ শহর প্রতিনিয়ত স্বপ্নের হাতছানি দেয়, স্বপ্নকে গলা তিপে মারে। আর আমাদের করে আশাবাদী। সেরকম কিছু স্বপ্নের কথাই হচ্ছিল চাল নড়বর করা চায়ের স্টলে । ধোঁয়া আর দূরে ছুটে চলা গাড়িগুলো কেবল একটি সঙ্কেতই দেয়, এ শহর - যাদুর শহর। হুট করে কিছু মানুষ দৌড়ে যাচ্ছে সামনে দিয়ে। পলক ফেলতে ফেলতেই উধাও। আশেপাশের মানুষ পলক শেষ হতেই নিজের কাজে মশগুল। এটাই বোধহয় শহুরে নীতি, যাদুর শহর বলে কথা। আমরা ছিলাম তিনজন। আমি,আবির ভাই, রুহুল ভাই। আমরা ছুটে গেলাম কৌতূহল নিয়ে। বেশ কিছুটা হাটতে হল। কয়েকজন পুলিশের লোক জটলা বেধে আছে। পুলিশ যেহেতু আছে, দূরে থাকাই ভালো। হুট করে দেখি শাহেদ ভাই। হুড়োহুড়ি করে একজন অর্ধমৃত মানুষকে গাড়িতে তুলছেন। হাসপাতালে নিবেন। সে কি ব্যাকুলতা। এই লোকটাকে কখনওই পাই না আড্ডা দেওয়ার জন্য। এক কথা, ' পুলিশে আছি, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়াই আগে'। কোথাগুলো নেহাত কথার কথা যে না তা আজ বুঝলাম। শাহেদ ভাই আমাদের দিকে এক পলকের বেশি তাকানর সুযোগ পেলেন না। আমরা তার কত চেনা, তবু যেন দায়িত্বটাই বড় । পুলিশের গাড়ি চলে গেল, আমরা দাড়িয়ে রইলাম। আর ভাবতে লাগলাম যে কোটি জনতার শহরে পুলিশকে গালাগাল দিতেই আমরা যেখানে প্রস্তুত সেখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে তারা দেশের জন্য , দেশের মানুষের জন্য কি চেষ্টাটাই না করেন। মনে মনে বললাম, নিজেকে কখনও যদি পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে দেখতে পারি তবে তা হবে অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশ পুলিশকে স্যালুট