পুরান ঢাকার কায়েতটুলীর স্মরণকালের ভয়াবহতম অগ্নি দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়ে গেছে ১১৮ টি তাজা প্রাণ।এর একদিন আগের বেগুনবাড়ীর বিল্ডিংধ্বসে হারিয়ে গেছে ২৫ জন মানুষ।রোড একসিডেন্ট,সিডর,আইলা ভুমিধ্বস,বিডিআর বিদ্রোহ,বজ্রপাত,টর্নেডো,জলোচ্ছাস ,রাজনৈতিক হত্যা, ক্রসফায়ার প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যুসারি,প্রভু এত শোক সহ্যের শক্তি আমাদের নেই।আমরা আশরাফুল মাখলুকাত,কিন্তু বড় অসহায়।আমাদের ভুলেই তুমি আমাদের শাস্তি দাও জানি।আমাদের সহ্যের সীমা তোমার অজানা নয়।মৃত্যুর মিছিল দেখে আমরা স্তব্দ,শোকহত,প্রভু এ শোক সইবার শক্তি দাও।
ছোট্র আবৃতাকে কাফনে আবৃত করার সহ্য শক্তি আমাদের নেই।যে শিশুটি খেলনা কিনতে গিয়েছিল আগুনের নির্মমতা জানলে হয়তো চিরজীবন খেলনা বিমুখ থাকতো।পরিবারের সবাইকে হারিয়ে সদ্য বিয়ের পিড়িতে বসতে যাওয়া রুনা-জামিল বেচে থেকেও অসহায়।পার্লার থেকে বিয়ের পান-চিনি অনুষ্ঠানের জন্য সাজতে যাওয়া রুনা ফিরে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে আপনজনের করুণ মৃত্যু দাড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিলনা। বিয়ের পান-চিনি তাদের দু ফ্যামিলিকে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে এসেছে।কথাছিল দু ফ্যামিলির মেল বন্ধনের।রুনা-জামিলের আর্তনাদ ,হাহাকার মৃত্যু থেকেও অনেক বেশী কষ্টের। কায়েতটুলীর ছাতা মসজিদে জুমার নামাজ পরবর্তী কান্নার রোল ,স্বজন হারানোর বেদনা ,পরিবারের একমাত্র বেচে যাওয়া ব্যক্তিটির আহাজারি আমাদের সহ্য সীমার বাইরে।এত দীর্ঘ লাশের সারি,মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক মৃত্যু আমরা আর দেখিনি।
মৃত্যু আসবে জানি।আমাদের বেচে থাকাটা অস্বাভাবিক,মরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।জলন্ত অঙ্গার হওয়া একান্ত পরিচিত আপন মানুষগুলোকে মৃত্যুর পর শেষ দেখা আমাদের ভাগ্যে জোটেনি।দেখবো কি? তাদের লাশ শনাক্ত করতে হয়েছে তাদের বাড়ীর নাম ধরে।আগুন তাদের চিরপরিচিত চেহারা গুলো চেনার অযোগ্য করে দিয়েছে।আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।আল্লাহর কাছে মৃত মানুষদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
১১৮+২৫ মানুষের অকাল হৃদয় বিদারক মৃত্যুতে আজ আমরা স্তব্দ,শোকাহত।
সুঘ্রাণ কাদের
[email protected]
Click This Link