পালাচ্ছিলে কোথায়, হে দ্বিচারী বিচারি!
এখন দেখেছো কি আমাদের মাতৃভূমির এ খোলা জমিনে-
আবার ফিরে আসতেই হয়েছে তোমারই?
তোমার আগে কত অবিবেচকই না তা নিয়ে অনুতাপে ভুগেছে!
বলো তো আজ কোথায় তাদের স্থান হয়েছে?
মনে করতে পারো কি,
এ দেশের কত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর ভূমি তুমি একা পাড়ি দিয়েছো।
এ জীবনের কত সুন্দর সময়ই না তুমি ধুলায় লুটিয়েছো।
এমন করে কত সময়ই বা আর হারাবে, কত শত-কে হারিয়ে যেতে দিবে সময়ের অতল গহ্বরে?
ওহে আগুন্তুক, আর কতদিন পালিয়ে হবে ভিনদেশী!
তুমি কি জানো না কপালের লিখন আর সময় কখনো পিছু ছাড়েনি তোমারই?
হৃদয়ে এতো হাহাকারের জন্ম কোথা থেকে জাগে তোমার?
কেনইবা তুমি এমন অসুখীর মতো এ অন্যায়ের পথে দাঁড়িয়ে?
মনে করে দেখেছ কি, তুমি জীবনের শেষ বাধাকে কিভাবে পার করে দাও?
সে বাধা পেরিয়ে তূমি তা থেকে কি শিখতে পাও?
শেখো কি না শেখো, জীবনের এ স্রোতের নিজ পথে চলা আমরা রুখবোই রুখবো!
তোমার-আমার যৌবনের মতোই, দিবসগুলো কেমন যেন অফুরান থেকেই যায়।
হে জীবনের পাললিক দেশে পরিভ্রমণকারী,
এই উপদেশ তো তোমারই জন্যে জানি।
কেনার আগে দেখে নিয়েছিলে কি নিজের পোশাকের কি গতি!
যা দিয়ে করতে চেয়েছিলে অজস্র জীবনের ক্ষতি!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪