১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই ।
নীলার ডাকে ধড়পড় করে বিছানায় উঠে বসলো বেন অ্যালেকজান্ডার ।
আশে পাশে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলো কি হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে পাল হারবারের স্মৃতি ফিরে এলো । হায় হায়, জাপানিজদের মতো রাশিয়া ও কি তাহলে আমেরিকায় ঢুকে পরেছে ? রাশিয়ান প্লেনগুলো থেকে কি একের পর এক বোমা হামলা হচ্ছে ? হায় ! ঈশ্বর ! এখুনি বুঝি ইমার্জেন্সির দোহাই দিয়ে ডেকে পাঠানো হবে ব্যারাকে । তারপর এক ঘণ্টার নোটিশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো অন্য কোথাও ।
আর কত ? আর কতো প্রাণ ঝরলে শান্ত হবে পৃথিবীর রক্ত পিয়াসু যুদ্ধবাজ হায়েনার দল ? সাধারণ আমেরিকানরা তো যুদ্ধ চায় না । তারা খেয়ে পরে সাদা , কালো মিলে মিশে শাস্তিতে বসবাস করতে চায় ।
বেনের ঘুম ভাঙ্গার প্রথম ধাক্কাটা কেটে যেতে সে দেখতে পেলো, তার স্ত্রী রূপসী নীলা কপালের উপরে নেমে আসা চুলের গোছা সরাতে সরাতে বলছে, হ্যানি , এসো টিভিতে মজার একটা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গে বিরক্তিতে ছেড়ে গেলো দেহ ,মন । সামান্য টিভির অনুষ্ঠান দেখার জন্য ওর এমন আরামের ঘুমটা ভেঙ্গে দিলো মেয়েটা । বিরক্তি চুপে রেখে ও তাকালো নীলার দিকে । সকালের আলোয় যেন জ্বলমল করছে নীলার সর্বাঙ্গ । মনে মনে বললো, মেয়েটা এতো সুন্দর কেন ? বিরক্তিটা যেন মুর্হুতে নীলার সৌন্দর্যের আড়ালে ঢাকা পরে গেলো । বেন অত্যন্ত শান্ত গলায় বলল, "তুমি দেখ না তোমার মজার অনুষ্ঠান । আমার ঘুমের প্রয়োজন । একটু ঘুমাতে দাও প্লিজ । " কথাটা বলেই সে আবার শুয়ে পড়লো বিছানায় ।
নীলা কিন্তু নাছোড়বান্দা । সহজে ছাড়ার পাত্রী নয় । সে হামাগুড়ি দিয়ে বিছানায় উঠে এলো। তারপর বেনের উপর শুয়ে ঠোটে,গালে, কপালে চুমু খেতে খেতে মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিতে দিতে বলল, উঠে পরো প্লিজ । এমন একটি দৃশ্য তোমাকে ছাড়া কিছুতেই দেখবো না ।
মধ্য বয়স্ক নারী অল্পতেই পুরুষ মানুষকে কাবু করে ফেলতে পারে । নীলার মধ্যে সে শক্তি মারাত্মক । নরম শরীরের উষ্ণতায় বেনের ঘুম ছুটে পালাল । তার শরীর একটু একটু করে ঐশ্বরিক সুখের নেশায় জেগে উঠছে । নীলা সেটা বুঝতে পেরে বেনের দশ দিগন্ত আলোকিত করে হাসতে হাসতে বলল, "নো দুষ্টামি । নো দুষ্টামি । "
বেন কিন্তু ছাড়ল না । সে নীলাকে দু হাতে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে ঠোটে,গালে চুমু খেতে খেতে বলল, কি এমন আহামরি অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে তোমার টিভিতে যার জন্য তুমি এমনটা করছ ? নীলা তখন নিজেকে বেনের বাহু বন্ধন থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, "চলো নিজেই দেখবে । বেন আর কথা বাড়াল না । কেননা নীলাকে উপেক্ষা তার পক্ষে সম্ভব না ।
ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে বেন দেখতে পেলো , সেখানে তার বাবা অবসর প্রাপ্ত কর্নেল টমাস মুলার অ্যালেকজান্ডার মা মিরিন্ডা অ্যালেকজান্ডার ও ছোট ভাই ববি অ্যালেকজান্ডারকে নিয়ে টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে । টিভিতে তখন দেখাচ্ছে, মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখছেন ।
এখান থেকেই আমেরিকানদের ধাপ্পাবাজির গল্পটা শুরু । রাশিয়ার সঙ্গে স্মায়ূ যুদ্ধের চাপে আমেরিকা তখন কোন ঠাসা । ১ম ও ২য় বিশ্ব যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত পুঁজি তখন রাশিয়ার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে । অন্যদিকে ভিয়েতনামের নাক বোচারা টুটি চেপে ধরেছে । জি হুজুর জি হুজুর করা ইউরোপিয় মিত্ররা তখন রাশিয়ার ভয়ে দূরে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে । গোদের উপর বিষফোঁড়া মতো রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা তখন পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ দখলের পায়তারা করছে ।
একের পর এক ব্যর্থ মিশন চালাচ্ছে চাঁদে । যদি একবার সফল হয়ে যায় তাহলে আমেরিকাকে আর টিকতে হবে না । রাশিয়া হয়তো চাদে বোমা তুলে সেখান থেকে আমেরিকাকে লক্ষ্য করে বোমা ছুরবে । তাই যে করেই হোক রাশিয়ানদের আগে চাদের দখল নিতে হবে । কিন্তু আপাত অবস্থা যা তাতে চাঁদ তো দূরের কথা ভিয়েতনামের দখল রাখাই আমেরিকার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে । অন্যদিকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা "নাসা" অর্থের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে । " এমন পরিস্থিতিতে এমন কোন ঘটনা ঘটাতে হবে যাতে পুরো বিশ্ব হিরোশিমা, নাগাসাকিতে এ্যটোম বোমা ফেলার মতো চমকে উঠবে ।
তারই পরিপেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই আমেরিকার টিভিগুলোতে মঞ্চায়িত হল বিশ্বের তাবৎকালের সব চাইতে ব্যয় বহুল, গোপন সাইন্স ফিকশন মুভি; " "Apollo 11। " সেখানে দেখানো হলো ১০:৫৬ পিএম EDT (স্থানাংকিত আন্তর্জাতিক সময় বা ইউটিসি (UTC) সময় অনুযায়ী ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই ০২:৫৬) মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখার দুর্দান্ত অভিনয় করেন । এরপর পরোটাই ইতিহাস ।
এমন ফেক এক ভিডিও দিয়ে আমেরিকা আবার বিশ্ব জয় করে ফেললো । কিন্তু ইংরেজিতে একটি কথা প্রচলিত আছে, "Every action (force) in nature there is an equal and opposite reaction."
ক্যামেরা ও অভিনয় দক্ষতায় চন্দ্র জয়ের নাটক করে আমেরিকা সাময়িক উতরে গেলেও আমেরিকা ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এই মিথ্যা নাটকের জন্য কথা শুনে যেতে হবে । আমেরিকার চন্দ্র জয়ের ভুয়া নাটকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলো ন্যাটো বা ইরোপিয় ইউনিয়ন । তাই তারা আমেরিকার চন্দ্র জয়ের প্রচার , প্রচারণার দায়িত্বটা নিজেদের কাধে তুলে নেয় ।
২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় , কিসিঞ্জার বলেছিলেন , দশটা মিথ্যা ছড়াও তার মধ্যে লোকে ৭টা বিশ্বাস করবে । একই পদ্ধতিতে মিথ্যা ছড়ানো হয়েছিলো হিটলারের বিরুদ্ধে । ঠিক তেমনি চাঁদে না গিয়েও চাঁদ জয়ের মিথ্যা ধাপ্পাবাজির কারণে আমেরিকা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের হাত থেকে নিজেদের বাচিয়ে নেয় মোড়লগিরিও বাচিয়ে রাখে । কিন্তু ভিয়েতনাম থেকে লেজ গুটিয়ে পালায় ।
আমেরিকানদের এই মিথ্যার বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম যিনি সোচ্চার হন , তার নাম হচ্ছে, বিল কেসিং । বিল কেসিং একের পর এক প্রশ্ন করে যখন নাসা ও আমেরিকার সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ফেলেন । বিভিন্ন মিডিয়ায় ওপেন চ্যালেঞ্জ জানান । তখন আমেরিকা এই চ্যালেঞ্জ কে নতুন একটি নাম করন করেন , সেটা হচ্ছে "ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। "
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই পরে আমেরিকা নাকি আরও অনেকবার চাঁদে গিয়েছে, কিন্তু সেগুলোর সব কাগজে কলমে একটিরও ভিডিও প্রকাশ করার সাহস করেনি । কারণ আধুনিক প্রযুক্তিতে কোন ধাপ্পাবাজিই আর টিকবে না । যারা মঙ্গল গ্রহে ঘরবাড়ি তৈরি করার কথা ভাবছে , অথচ চাদে ভ্রমনের ভিডিও প্রকাশ করে না । এরপরও কিছু মানুষ এই ধাপ্পাবাজিকে বিশ্বাস করে এমন ভাবে কথা বলে, যেন তারা নিজেরাই ,চাঁদে গিয়ে বিড়ি সিগারেট খেয়ে এসেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭