somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫০ বছর মেয়াদি ভবন চার বছরেই পরিত্যক্ত, কনফার্ম এইটার ভিতরেও বাঁশ ঢুকাইছে...!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাইরে থেকে দেখতে আধুনিক কাঠামোর সুরম্য এক ভবন। ভেতরে গেলে যে কারও মনে ভয় ঢুকে যায়।
ভবনের একাংশ দেবে গেছে। অধিকাংশ কক্ষের দেয়ালে-মেঝেতে বড় বড় ফাটল। কক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রবেশমুখে কাচের ফটক। বিমের ফাটলে বেঁকে গেছে কাচের ফটকও। খসে পড়ছে দেয়ালের ইট-সিমেন্টের আস্তরণ।
ভবনটি মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের আঞ্চলিক গবেষণাগার (মৃত্তিকা ভবন)। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫০ বছর মেয়াদি এই ভবন নির্মাণের চার বছরেই এ অবস্থা হয়েছে।

এক একর জায়গায় নির্মিত এ ভবন হস্তান্তর করা হয় ২০০৭ সালে। ভবন টেকসই থাকার মেয়াদ ছিল ৫০ বছর। কিন্তু চার বছরেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর কারণ বের করতে গণপূর্ত তদন্ত শুরু করে। প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত চলছে। নিজস্ব ভবন ছেড়ে ভাড়া করা কার্যালয়ে মৃত্তিকা গবেষণাকাজ স্থানান্তরিত হয়েছে।

গণপূর্ত সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিষয়টি তদন্তাধীন বলে ভবনের যাবতীয় কাগজপত্র বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে নির্মাণত্রুটি মনে না হওয়ায় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়নি বলে তিনি জানান। ভবনটি নির্মাণের টেকসই মেয়াদ ৫০ বছর থাকার কথা জানিয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ, এটা প্রাকৃতিক। মাটির কারণে এ রকম হয়েছে। ঠিকাদারের কোনো দোষ নেই—এ জন্য ঠিকাদারকে আর খোঁজা হচ্ছে না।’

এই কথাটি বলার জন্যে উনিও নিশ্চয় টাকা নিয়েছেন ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে...!
চুয়াডাঙ্গার ভবন নির্মাণে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের পর বুঝতে পারলাম এইটার ভিতরেও বাঁশ ঢুকাইছে...!

এখানে কারো কারো বক্তব্য এমনও হতে পারে যে মেহেরবানী করে সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে বাঁশ ঢুকাবেন না। দুঃখিত ভাই উন্নয়নের জোয়ারে বাঁশ ঢুকানোর জন্য...!


বিঃদ্রঃ মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের এই ঘটনাটি নিয়ে প্রথম আলো নিউজ ছেপেছিলো ২০১১ সালে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×