মেয়েটি আমার আগের পরিচিতা। বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। নাম বলা মনে হয় দরকার হবে না। এইচ.এস.সি দিয়েছে স্বনামধন্য একটি কলেজ থেকে। পরিবারের সবাই আমার পরিচিত। তার পরিবার মোটামুটি লেভেলের।
এবার আসল কথায় আসি। দিনের মধ্যাহ্নে মেয়েটি হাজির। ইতস্তত না করে এসে বলল একটি কথা বলি। আমি সায় দিয়ে বললাম ওকে....ভাইয়া আমি একটি ওয়ালটন মোবাইল সেট সেল করতে চাই। ৪০০০ টাকা তবে তুমি নিলে ৩০০০ টাকা। আমি নেব না এইজন্য বললাম ২০০০ টাকা। তারপরও সে দিতে রাজি। যাইহোক নিলাম না। It is impossible to love Who are addicted to drug অতঃপর বললাম কোথায় পেলে সেটটি। কিছুই বললো না। আমি আগেই জানতাম সে স্কুলে থাকা অবস্থায় চুরি এবং খারাপ কাজ করতো। আমি বললাম বাসায় বলে দেই, সে আমার পা জড়িয়ে ধরে বলল ভাইয়া বইলেন না। আমার কোনো ইনফো জানাইয়েন না। আমার কয়েকটা বন্ধুও তাকে প্রায়ই ধানমন্ডি লেকে, বার এ যেতে দেখেছে।
তার চেহারার ভেতরে একটা মাদকের গন্ধ পেলাম। বুঝতে আর বাকি রইলো না যে সে মাদক সেবনের জন্য এই জঘন্য কাজটি করতে যাচ্ছে।
হয়তো মেয়েটি এমন ছিলনা। কোনো বাজে, অসৎ, খারাপ মেয়ে বন্ধু খপ্পরে পরে আজকে সে তার সবকিছু হারাচ্ছে। নিজেকে সে নোংরা নর্দমার কীটে পরিনত করছে। যেখানে তার ইচ্ছেটা থাকবে উচ্চ ডিগ্রি নেয়ার জন্য পড়াশুনা করা। আজকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বিষয়কেও দোষারোপ করব। আজকে যদি পরিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হত। পাশের জন্য হলেও পড়তে হত।
আজকে তার পরিবার উক্ত ঘটনা তৈরির জন্য দায়ি বলব। বাবা হয়েছেন শুধু জন্মানোর জন্য না। আপনার সন্তানের ভরন-পোষণসহ সে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে সেগুলোকে ইনভেস্টিগেশন করা।
আজকের ড্রাগ, সুইসাইডের জন্য অধিকাংশই পরিবার দায়ি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯