আমাদের প্রিয় জামদানি শাড়ি অনেকদিন ভালো রাখার জন্য একটু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। অনেকেই জানেন না কিভাবে সঠিক উপায়ে এত্ত দামের আর শখের শাড়ি যত্ন করতে হয়।
জামদানিকে বলা হয় মসলিনের উত্তরসূরি। মসলিন যদিও এখন আর নেই, কিন্তু জামদানি সেই ঐতিহ্যকে অনেকটা ধরে রেখেছে।
জামদানি প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে: সুতি ও হাফসিল্ক।
এখন আরেক ধরনের জামদানি বের হয়েছে নাইলনের জামদানি।
বিশেষ করে হাফসিল্কের জামদানি শাড়িগুলো হয়ে থাকে অরিজিনাল বা আসল জামদানি। এসব শাড়ির জমিন এবং ডিজাইনের সুতাগুলো হয়ে থাকে দামি এবং উন্নতমানের।
শাড়ি ব্যবহারের পর ভাঁজ করে অনেক দিন রেখে দিলে তা ভাঁজে ভাঁজে ফেটে যেতে পারে। আবার হ্যাঙ্গারে করে ঝুলিয়ে রাখলেও শাড়ি মাঝখানে ফেটে যায়।
তাই জামদানি শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বা ভাঁজ করে না রাখাই ভালো। এ ক্ষেত্রে থান কাপড় পেঁচিয়ে রাখার রোলগুলোয় জামদানি শাড়ি পেঁচিয়ে রেখে দিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
তবে রোল করা শাড়িটি এমনভাবে রাখতে হবে, যেন অন্য কোনো কিছুর চাপের ওপর না পড়ে।
অনেকে শাড়ি ব্যবহারের পর তা ঘরে ধুতেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু জামদানি শাড়ি অন্যান্য সাধারণ শাড়ির মতো ঘরে ধুলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শাড়ি ঘরে না ধুয়ে ড্রাইওয়াশ করানো ভালো।
এ ছাড়া সবচেয়ে ভালো হয় জামদানি শাড়ি কাটা করালে।
এ ক্ষেত্রে যারা জামদানি তৈরি করেন তারাও এ কাজটি করে থাকেন।
কোনো শোরুম থেকে শাড়ি কেনার পর তা ধোয়ার প্রয়োজন হলে তারাও সরাসরি তাঁতিদের কাছ থেকে কাটা করিয়ে এনে দেয়। সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্জের বিনিময়ে ১৫ দিন সময় লাগে। কিন্তু কাটা করিয়ে নিলে আপনার শখের জামদানি শাড়িটি অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
রুপকথা জামদানি থেকেও আপনি এই কাঁটা করাতে পারেন স্বল্প মুল্যে।
http://www.rupkothaa.com