জামদানি শাড়ির নকশার এবং পাড়ের আবার আলাদা আলাদা নাম হয়। নামের ব্যাপারটা খুবই চমকপ্রদ। কিছু নকশা আর পাড়ের নাম পড়লেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।
জনপ্রিয় নকশা গুলোর মধ্যে কয়েকটা নামঃ
# ১। কলার ফানা
# ২। আদার ফানা
# ৩। করলা জাল
# ৪। আংটি জাল বা হানসা
# ৫। কলমি লতা
# ৬। শাপলা ফুল
# ৭। জুই ফুল বুটি
# ৮। দুবলা জাল
# ৯। শামুক তেছড়ি
# ১০। ময়ূরপঙ্খী
# ১১। কচুপাতা তেছড়ি
# ১২। সন্দেশ ফুল
# ১৩। তারা ফুল
# ১৪। গোলাপ ফুল
# ১৫। বেলী ফুল
# ১৬। ঝুমকা ফুল
# ১৭। চালতা ফুল
# ১৮। মুরালি লতা
# ১৯। পুই লতা
# ২০। প্রজাপতি বুটি
জামদানি শাড়ির জনপ্রিয় কিছু পাড়ের নামঃ
১। বাদুরপাখি পাড়
২। বেলপাতা পাড়
৩। মিহি পাড়
৪। গিলা পাড়
৫। কাউয়ার ঠ্যাং পাড়
৬। ইঞ্চি পাড়
৭। শালগম পাড়
৮। আঙ্গুরফুল পাড়
৯। কলকা পাড়
১০। কাচি পাড়
জামদানি শাড়ির ওয়াশ:
জামদানি শাড়ির প্রশংসা নতুন করে করার কিছু নেই। অনেকেই মনে করে জামদানি তিন চারবার পড়লেই নষ্ট হয়ে যায়।
এ ধারনাও ঠিক না। জামদানি বোনার সময় খলান দেয়া হয় বলে কাপড় শক্ত থাকে। কয়েকবার ব্যাবহারের পর এই খলান চলে যায় বলে কাপড় নরম হয়ে যায়।
চাইলেই এসব শাড়ি আবার নতুনের মতো করা সম্ভব। শাড়ি যতই নরম হোক অন্তত ছিড়ে যাওয়ার আগে সেই শাড়ি ওয়াশ করা সম্ভব। মাত্র ২০০ টাকায় আবার শাড়ি নতুনের মতো করে দেয় তাতিরা।
আশার কথা/ জামদানি নিয়ে জাদুঘরঃ
মসলিনের মতো জামদানি হয়তো একদিন শুধু জাদুঘরেই দেখতে পাবো ভাবলেই আমার গায়ে কাটা দেয়।
আমি চাই না এমনটা কখনো হোক। জামদানির বাজার মন্দা দেখে মালিকপক্ষ এবং তাতিরা এমনটাই মনে করে। আমি ভাবি কেন জামদানির একটা বিপ্লব ঘটবে না?
# কেন বাংলাদেশে জামদানির একটা আলাদা শো রুম থাকবে না যেখানে শুধু জামদানি পাওয়া যাবে।
** শুধু শাড়ি না, জামদানি কাপড় ব্যাবহার করে যা কিছু বানানো যায় তার সবকিছু থাকবে এই শো রুমে।
সে চিন্তা থেকেই রুপকথা জামদানি নামে শোরুম টির উদ্ভোদন। আজ প্রায় দুবছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি , সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে দারুন কিছু করা সম্ভব এটি নিয়ে।
# ঐতিহ্যবাহী এই পোশাককে টিকিয়ে রাখতে সরকার কোন উদ্যোগ এখনো কেন নিচ্ছেনা?
এসব তত্ত্ব কথা না বলে নিজেই কেন কিছু করিনা? নিজেরাই কেন চেষ্টা করেই দেখিনা,
# আমরা সবাই মিলেই তো দেশ, সবাই তো সরকার, সরকার কি একক কোন ব্যাপার? বা সরকারের সাহায্যের দিকে চেয়ে চেয়ে শুধু গোল টেবিল বৈঠকেই সব চিন্তা উদ্যোগ সীমাবদ্ধ রাখবো?
** নিজের পুরোনো একটা কিছু হারিয়ে গেলে কত কষ্টই না লাগে! আমরা যেমন মসলিনের গল্প শুনি আর জাদুঘরে গিয়ে মসলিন দেখি, কোন একদিন কোন এক প্রজন্ম তাহলে কি ঠিক এভাবেই জামদানির গল্প শুনবে আর জাদুঘরে গিয়ে দেখবে?
না হতে দিবো না। রুপকথা জামদানি সেটা হতে দিবে না।
রুপকথা জামদানির শোরুমঃ ২য় তলা স্যানমার স্প্রিং গার্ডেন , জামালখান রোড, চট্টগ্রাম।
ওয়েবএড্রেসঃ http://www.rupkothaa.com
facebook page: www.facebook.com/rupkotha.jamdani
contact with rupkotha's owner: [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৮