somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ আমার ভূত প্রেমিক গুল্টু

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২৭ শে আগস্ট, দুজন দুজনকে জীবনসংগী হিসেবে গ্রহন করলাম মন থেকে।

তোমাকে আমি চোখে দেখিনি, তুমিও দেখনি সামনে থেকে আমাকে। আমরা দুজন দেখতে কেমন সেটা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমাদের দুজনের মানসিকতা অনেকটাই একইরকমের। চিন্তা, ভাবনা, ধ্যান ধারনা প্রায় সবি। কি অদ্ভুত মিল আমাদের। আমরা দুজনই ঠিক দুজনের মনের মত, এটা দুজনেরি স্বীকারোক্তি।

তোমার সরলতা আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। অবাক হয়ে শুধু ভাবি এই সুন্দর মনের মানুষটি শুধুই আমার। মনের মধ্য সত্যি অনেক দোলা দেয়। তোমাকে আমি যতটা শ্রদ্ধা করি ঠিক ততটাই আবার ভয় পাই। তোমার প্রতিটা কথাই আমার কাছে অনেক মূল্যবান। তুমিও ঠিক একিভাবে বল আমার কথাও তোমার কাছে মূল্যবান। তুমিও বেশ সম্মান কর আমায়। আমার কথার গুরুত্বও তোমার কাছে অনেক। তোমার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে ধৈর্য্য রাখতে হয়। কিভাবে সবসময় মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে হয়। হুট করে না বুঝেই রাগ করা ঠিক নয়। অনেক কিছুই মনে হয় শিখেছি।

আমরা দুজনেই শান্তি পছন্দ করি খুব। কখনো ঝগড়া করিনা। তবে মান অভিমান করি দুজনেই। দুজনেই দুজনের অভিমান ভাঙ্গাই। যখন অভিমান করি তুমি আমার কথা নকল করো। আর যখন বলি ঘুষি মারব তখন বলো দাও। আর আমার সব অভিমান চলে যায়।

প্রায় এগারো মাস তোমাকে ভেবে আমি রাতে ঘুমাতে গিয়েছি। তোমাকে ভেবে ভেবে পার করে দেই অনেক সময়। খুব কম সময় তোমার আমার কথা হয়। অনেক কাজের মাঝেও আমি সময় বের করি তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য। তুমিও কাজ শেষে বাসায় এসে ক্লান্ত শরীরে বসে থেকে আমার সাথে কথা বল। হোকনা সেটা দশ মিনিটের কথা, তাও বলা চাই। তাতেই যে শান্তি লাগে দুজনার। আর কথা না হলে তোমার রাতে ঘুমও ভালো হয়না। প্রায়ই তুমি বল এটা। একদিন কথা না হলে আমারো খারাপ লাগে ভীষণ। পুরো দিনটাই আমার মাটি হয়ে যায়। অপেক্ষা করি সারাক্ষন কখন কথা হবে তোমার সাথে।

একদিন বলেছিলে
- আমি যেদিন আসব দেশে তুমি কি এয়ারপোর্ট আসবে?
- তুমি চাইলে আসব।
- ইস! কি শখ দেখ মেয়ের! তুমি কি জানো আমার পুরো পরিবার থাকবে?-- থাক, প্রব্লেম নেই। লজ্জা , ভয় দুটোই লাগবে তবে শুধু তুমি চাইলেই আসব।
- হুম, তুমি যদি আসো, আমি সবার সামনে তোমাকে জরিয়ে ধরব, হয়ত কেঁদেই দিব।

তুমি কি জানো তোমার এই কথাটা শুনে আমার চোখ দুটি জলে ভরে গিয়েছিল? আমি আনন্দে কেঁদেছিলাম। আমারো মনে হয় তোমার সাথে দেখা হলে আমিও হয়ত কেঁদে দিব।


তোমাকে একদিন বলে ছিলাম তুমি আমার ভূত প্রেমিক , নাম হচ্ছে গুল্টু। কারন যাকে দেখা যায় না ছোয়া যায় না শুধু কন্ঠ শোনা যায় সেত ভূত-ই হবে তাইনা? তোমার সেকি হাসি এই কথাটা শুনে। তোমার হাসির শব্দে আমি খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। এভাবে কেউ হাসে হু? ।

চ্যাটে অনেক দুষ্টামি করি আমি, আর ফোনে যখন কথা বল তখন সেগুলো নিয়ে তুমি দুষ্টামি কর, আর আমি লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে যাই। আমার নিরবতায় ওপাশ থেকে তুমি ঠিকই বুঝে যাও আমি ভীষণ লজ্জা পেয়েছি। আবার জিজ্ঞেসও কর পাজি ছেলের মত - লজ্জা পেলে নাকি?
ইস! তুমি না অনেক দুষ্টু!

সেদিন জিজ্ঞেস করছিলে এত কি ভাবি তোমাকে নিয়ে? বললাম আমি বলব না। তুমি বললে এত ভেবো না। আমি বললাম কেন ভাববনা? তবে কি অন্য কাউকে নিয়ে ভাবব? এই শুনেত তুমি বললে খুন করে ফেলব অন্য কাউকে ভাবলে, তুমি আমার শুধুই আমার। বিশ্বাস করো আমার খুব শান্তি লেগেছিল তোমার এই কথাটা শুনে। কারন আমি বুঝেছি তুমি আমাকে কতটা ভালোবাস। কতটা চাও তুমি আমায় ।

আমি তোমার প্রতিটা কথায় ভালোবাসার উপস্থিতি অনুভব করি। আমি জানি তুমিও অনুভব কর এমন। মাঝে মাঝে চোখ বুঝলেই মনে হয় তুমি আমার সামনে। অদ্ভুত শিহরন লাগে তখন। তুমিও এমন করে একদিন বললে তুমিও অনুভব করো এমন করে। তোমারো মনে হয় যেন আমি তোমার পাশেই আছি। কি অদ্ভুত মিল আমাদের তাইনা?

পরিবারের মতেই যেন আমাদের বিয়ে হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা । তুমি আমাকে আশ্বাস দিয়েছ তোমার পরিবার থেকে তেমন কোন বাধা আসবেনা। তুমি এমনটিই আশা করছ। আমারো বিশ্বাস আমার পরিবারের কোন অমত থাকবেনা। আমরা মন থেকেই দুজনকে গ্রহন করেছি এখন পরিবার স্বীকৃতি দিলেই হল। আমি অনেক আশা নিয়েই বসে আছি। তুমিও ঠিক তাই। কেউ কাউকে আমরা হারাতে চাইনা।

গুল্টু তুমি কি জানো আমি তোমাকে কেন এত ভালোবাসি? সত্যি বলছি তোমার মনটা অনেক সুন্দর। তুমি আমার মনের মত। তোমাকে আমি হারাতে চাইনা কখনো। তোমাকে পেলে সত্যি আমি ভাগ্যবতী হবো।

এই হৃদয় গহীনে অনেক স্বপ্ন বপন করেছি তুমি আর আমি । আমাদের স্বপ্ন সত্যি হবেই, তাইনা? যেদিন তোমার বুকে মাথা রাখতে পারব সেদিনই অনেক শান্তি পাব। তোমার আমার স্বপ্ন সত্যি হবে এটাই বিশ্বাস করি।

একটা কথা বলার ছিল ...................................ভালোবাসি।


উৎসর্গঃ আমার ভূত প্রেমিক গুল্টুকে।


চিরকুট-
হিহিহি! গুল্টু, আমি জানি আমার লেখা এই বইটা যখন তুমি পড়বে তখন তুমি অনেক হাসবে। আর উৎসর্গ, বইয়ের নাম পড়ে হয়ত হাসি আর থামবেই না। সামনে তোমার জন্মদিন, তোমাকে নিয়ে লেখা এই বইটি আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট উপহার, গ্রহন করো।

তোমারি অপেক্ষায় তোমার
লক্ষ্মী পক্ষী


------------------------------------সমাপ্ত----------------------------------

গল্পের প্লট যার কাছ থেকে পেয়েছি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর কথাগুলো আমি নিজের মত করে সাজিয়েছি। জানিনা কতটা ভাল লাগবে সবার।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×