মমিনুল ইসলাম: ভারতের উত্তর প্রদেশে বাড়িতে গরু জবাই করার গুজবে উগ্র হিন্দুদের গণপিটুনিতে নিহত আখলাকের পরিবার আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামে বসবাসরত অধিকাংশ মুসলমান গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও জেলা প্রশাসন তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে প্রুতিশ্রুতি দিয়েছে।
দিল্লি থেকে ৪৫কি.মি. দূরে উত্তর প্রদেশের দাদরির ওই গ্রামে ১৪ হাজার জনসংখ্যার বাস। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি মুসলিম পরিবার রয়েছে।
নিহত আখলাকের সত্তর বছরের বৃদ্ধ মা আসগরি জানান, ‘আমার ছেলে নিহত হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আমার নাতি। এ অবস্থায় পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। কিন্তু তারাতো স্থায়ীভাবে গ্রামে থাকবে না। আমরা এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা করছি। আত্মীয় সজনের সহযোগিতায় আমরা গ্রাম ছাড়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ হামলায় তিনিও আহত হয়েছেন।
আখলাকের শ্যালক জানান, নিহতের পরিবারকে গ্রাম ছাড়ার জন্য আত্মীয় স্বজন সবাই পরামর্শ দিয়েছে। কারণ এখানে তাদের থাকা অনিরাপদ। আমরাও তাদের কয়েকদিনের জন্য গ্রাম ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে নিহত ৫৮বছরের মুসলিম বৃদ্ধ আখলাকের বাড়িতে গরু জবাই করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানো হয় মন্দিরের মাইকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত গ্রামবাসি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আখলাকের বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে রাস্তায় বের করে এনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাথর ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে উগ্র হিন্দুরা। হামলায় আখলাকের ছেলে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। আখলাকের পরিবার জানিয়েছে, তারা ফ্রিজে ভেড়ার মাংস রেখেছিলেন। এদিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য এ মাংস জব্দ করেছে পুলিশ। – আমাদের সময় ডটকম।