পৈচাশিক নির্যাতনের চিন্হগুলো আজও বয়ে বেড়াচ্ছি। ডান পায়ের হাটুর হাড় এখনও নড়বড়ে। একটা ক্র্যাচ আছে। ব্যাভার করতে খুবই বিরক্ত লাগে। তাই বাসা থেকে খুব একটা বের হইনা। আমার এক বন্ধু আছে আর্কিটেক্ট, আগে একসাথে ব্যান্ড করতাম। আজ সকালে এসে হাজির বাইক নিয়ে। ক্র্যাচটা বন্দুকের মত কাধে নিয়ে বের হলাম। ঘুরঘুরি করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বসে বিড়ি টানছি... নামাজ শেষ করে তখন কলেজ মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বের হয়ে আসছে। এমন সময় দেখি, এক বন্ধু নাম রাসেল, এক সুন্দরি সাথে করে মাঠের মাঝ দিয়ে হেটে যাচ্ছে। আমাকে দেখেও না দেখার ভান করছে। আমি একটু ফান করার জন্য বললাম "মামা , ভরদুপুরে চাঁন কই পাইলা।"
আর সাথে সাথে মাইয়া গোখরা সাপের মত ফণা তুলে ঘুরে দাড়িয়েছে, আমার মুখের হাসিও মুছে গেছে। ফ্রেন্ড দেখলাম কন্ট্রোল করার চেষ্টায় আছে, কিন্তু পরিস্থিতি Out Of Control .
আমি যে দৌড় দেব সেই অবস্থাও নাই, এদিকে নামাজিরা ফরজ পালনে এগিয়ে আসলে ক্র্যচ থেকে হুইল চেয়ারে নামতে হবে.... দোস্তরে কইলাম , গাড়িতে স্টার্ট দে...
আমি মুটামুটি পায়ের ব্যাথা অগ্রাহ্য করে একরকম লাফ দিয়ে বাইকে উঠে পগার-পার...
ভাইরে, এমন বিপদ হবে জানলে কি আর এমন পাকামো করি, এখন থেকে ছেলেদের সাথে কথা বলার সময়ও সাবধান হতে হবে
আজকের একটা ছবি শেয়ার করলাম...