somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অমীমাংসিত অতৃপ্তি কিংবা অবদমনের গল্প (ডিসটরটেড)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অমীমাংসিত অতৃপ্তি কিংবা অবদমনের গল্প
শিমুল বাসার


চায়ের কাপ হাতে নিতে নিতেই শিশুদের মতো দোকানীর পাওনা আগেই চুকিয়ে ফেললেন নুরুর রহমান। যেন নিজের খেয়ালে যখন তখন হাঁটা শুরু করতে পারেন। তিনি জানেন, রাত দশটা পার হলেই আবার জমে উঠবে বাজারের এই রাস্তাটা। গার্মেন্টেসের মেয়েরা দলে দলে অথবা হেঁটে যাবে ভীষন একাকিনী এক পথ ধরে। দূর থেকে তাদের কারো কারো দিকে খেয়াল রাখবেন তিনি। বাজারের যে রাস্তাটিতে সবচেয়ে বেশি কাদা জমেছে তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাবেন কিছুটা বেখেয়াল, আনমনা অথবা ব্যস্ততম এক মানুষের মতো। যাতে সতর্কভরে কুড়িয়ে পাওয়া কাঙ্খিত স্পর্শকেও অসতর্ক ঘটে যাওয়া হৃদয়হীন, স্বাভাবিক এবং শুধুমাত্র ঘটনাহীন একটি ঘটনা মনে হয়।

অফিসিয়াল ব্যস্ততা শেষে বাড়ি ফেরার সময় প্রায়ই রিকশাতে ঘুমে ঢুল ঢুল করে তার চোখ। আজ নিজেকে আবিষ্কার করলেন বাজারের ভীড়ে। অফিস শেষে বাসায় না ফিরে, হাঁটাহাঁটি করছেন। হাটঁতে হাঁটতে বাজার পেরিয়ে গেলে আবার উল্টোপথে বাজারের জনারণ্যে। যে পথটি বাজার চিরে চলে গেছে, সে পথের ভীড়ে ভীড় করা যেন এক বাড়তি পথিক। যানবাহনের ব্যস্ততা আর কোলাহলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় এপথে। তাছাড়া শীত, গ্রীষ্ম আর বর্ষা সব সময়ই কাদাজল জমে থাকে এখানে, তাই যারা বাজারে আসেন তাদের হাঁটতে হয় রাস্তার পাশ দিয়ে গায়ে গা লাগিয়ে। ক্রমশ: ভারী আর ঘোলাটে হতে থাকা ঘোরাক্রান্ত চোখে বারবার এপাশে ওপাশে অসহায় দৃষ্টি ফেলছেন তিনি। এপথে এলেই ভূত ভবিষ্য নিয়ে তার যুক্তিবোধগুলো মেতে উঠে ব্লাফ গেমে। অনির্দিষ্ট হয়ে যায় নুরুর গন্তব্য। ফিনকি দিয়ে দিয়ে ঘষা চাঁদের ঘোলা আলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার সর্বাঙ্গে।

কান্তি ছাপিয়ে আজ আচ্ছন্নতার এক জোয়ার উঠেছে নুরুর অস্তিত্বে। বাজারের অলিগলিতে প্রতীক্ষার চোখ রেখে বিরামহীন পায়াচারী করছেন তিনি। নিজের বাসার সামনে এলে ব্যস্ততায় যেমন ভাটা পড়ে, চেষ্টা করছেন, শরীরে সেরকম একটি ভাব ফুটিয়ে তোলার। আর এই ভাবটি অক্ষুন্ন রাখতে, কিংবা প্রকৃতভাবের শারীরিক প্রকাশ গোপন করতে মাঝে মাঝে নিজের চারপাশে উড়াচ্ছেন কৃত্রিম ধোঁয়া। সিগারেট, কিংবা অনায়াসে আয়েস করে ঠোঁট ছোঁয়াচ্ছেন কাপে। এই জেনে যে, চা খেলেও তাকে নিয়ন্ত্রিত হতে হয়। চায়ের দাম পরিশোধ, মোটামুটি সম্মানজনকভাবে চা শেষ করা এবং টাকার ভাংতিসহ যাবতীয় লেনদেন ভদ্রতা সহকারে শেষ করতে গিয়ে আবার না যেন অজ্ঞাতে হারিয়ে ফেলতে হয় দু’ আঙ্গুলের ফাঁকে পেঁচিয়ে উঠা উষ্ণতা। পুনরায় সিগারেট জ্বালালেন নুরু। রাস্তার পশ্চিম মাথায় একটি মেয়ের অবয়ব। মেয়েটি বাজারের ভীড় ঠেলে এগিয়ে আসছে। পথের পাশে ড্রেনের স্তুপিকৃত ময়লার আড়াল থেকে একটি বেজি বার কয়েক জুলজুল দৃষ্টিতে দেখে নিল চারপাশ। জমে উঠা কাদা থেকে পা বাঁচাতে গিয়ে খসে গেল মেয়েটির লাল ওড়না। ওড়নার সেই মৃদু পতনে হাওয়ায় মেখে গেল আচ্ছন্ন এক গন্ধ। আহা! নুরুর স্ত্রীর কোন লাল ওড়না নেই। তার পাঁচ বছরের মেয়েটি লাল রংয়ের জামা খুব পছন্দ করে। গত ঈদে তার জন্য একটি লাল জামা কিনতে ঢাকার একাধিক শপিং মলে ঢুঁ মেরেছিলেন তিনি কিন্তু এমন লাল জামা কোথাও খুঁজে পাননি। তার এক মহিলা কলিগ বলেছিল,
“প্রকৃত লাল জামা শপিং মলে পাবেননা, আপনি গাউছিয়া মার্কেটে একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন!”
সেদিন তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়েছিলেন নুরু। বহুদিন পর ওই মার্কেটে ঢুকে নিজেকে খুব অবাঞ্চিত মনে হয়েছিলো তার। ঈদের গাউছিয়া মার্কেট। ক্রেতাদের ভীড় আর নানারকম নিঃশ্বাসের গরম। মার্কেটে ঢুকতেই অজানা এক ভয় গ্রাস করলো তাকে। শার্টের ইন খুলে বুকের দুটি বোতাম আলগা করে কিছুটা ক্যাজুয়াল হতে চেষ্টা করলেন তিনি। তাতে গরম থেকে যতটা রক্ষা পেলেন তারচেয়েও যেন বেশি বাঁচলেন, অবাঞ্চিত ঐ বোধটা থেকে । আগত ক্রেতাদের মাঝে মিশে যেতে অন্তত অসুবিধা হলোনা তার। মানুষের গা ঠেলে ঠেলে ঢুকে পড়লেন গাউছিয়ার ভেতরে। সরু সরু গলি। ক্রেতায় ঠাসা। ওসব ক্রেতাদের বেশির ভাগই নারী। কেউ বিবাহিত, কারো সাথে বাচ্চা, কারো সাথে মেয়ে, কিংবা বান্ধবীরা একসাথে ঈদ শপিংয়ে বেড়িয়েছে, আবার কেউবা একা। নতুন নতুন ফ্যাশনের জামা কাপড় ঝুলিয়ে রাখা দোকানগুলোতে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। কারো দিকেই কারো খেয়াল করার সময় নেই। একটি দোকানের ক্রেতা ঠেলে দাঁড়াতেই নরম একতাল উষ্ণতার রেশ ছড়িয়ে পড়লো নুরুর পিঠে। বিক্রেতার সাথে শুরু হবার আগেই কথা শেষ করে বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অমন সময় আরো এক যুবতীর স্তনের গভীর চাপ এসে লাগলো তার বাহুতে। খুব ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি ওই যুবতীর মুখের দিকে তাকাতে পারলেননা। মাথাটা ধীরে ধীরে ভারী হয়ে গেল তার। অনুভবে অস্থির এক আবেশ নিয়ে গলি থেকে বেড়িয়ে, ওভার ব্রীজের নিচে এসে দাড়ালেন তিনি। এখানে রীতিমতো জনস্রোত! তরুনীরা খসে যাওয়া ওড়না তোলার অবকাশ পাচ্ছেনা! দরদাম, ঠেলা ধাক্কা আর হৈচৈ এর টানা শব্দ গলে গলে আঠার মতো প্রবেশ করছে নুরুর অস্তিত্বে । সামনে আর পেছনে নারী ক্রেতাদের রেখে বারবার ভীড়ের মাঝখানে নিজেকে সঁপে দেয়া শুরু করলেন তিনি। নরম শরীরের স্পর্শ পেয়ে এরই মধ্যে তেতে উঠেছে তার প্রত্যঙ্গ। অচেনা এক রমনীর পেছনে আলতো করে ঘষতে ঘষতে একপা একপা করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনো কখনো মোবাইলে কল এসেছে এমন ভান করে, পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। যাতে তাল সামলাতে না পারা কাঙ্খিত নারীর বুকের নরম এবং গরম স্পর্শ ফসকে না যায়। শহরের এই জনস্রোতে কোথায় যেন একটানা ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে। সেই মাত্রাহীন শব্দ তরঙ্গে ভেসে যাওয়া এক গোঙানির মতো নুরু্ও ভেসে যাচ্ছেন, অসহায়! শরীরের ঘামে উবে গেছে নিয়ম করে গায়ে মাখা পারফিউমের গন্ধ। ভিজে নেতিয়ে পড়েছে শ্যাম্পু করা ঘাড়ের বাহারী চুল। তৃষ্ণায় আড়ষ্ট হয়ে পড়েছে ব্যকরন শেখা নুরুর লকলকে জিভ। তবু কাটছে না ভীড়ের মোহ। এভাবে কতক্ষন যে কেটেছিল তার! মনে করতে পারেননা। রাত বাড়ছে। ভীড় করা জনপ্রবাহের মতো, সকল প্রকার প্রবাহই একসময় মৃদু হয়। দমকা বাতাসে ফুলে ফুলে উড়ে উঠা কুড়িয়ে পাওয়া একটি পলিথিনের মতো, সেদিন নিজেকে পেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বাড়ি ফিরেছিলেন স্ত্রীর জন্য দুটি ঘরে পড়ার ম্যাক্সি হাতে নিয়ে ।
এরপর থেকে এসির হাওয়া আর নুরুকে ঠান্ডা করতে পারছিলনা । প্রতিদিন অফিস শেষ হতে না হতেই তার মাথার ভেতর ঝিঁঝিঁ পোকাদের অস্থির ডাকাডাকি শুরু হোত। নুরু্ও ছুটতেন ঘামে ভেজা গাউছিয়ায়। বাসায় ফিরতেন রাত করে। ততক্ষনে স্ত্রী ও সন্তান শুয়ে পড়তো। ডিনার শেষে কম্পিউটারে যেন জরুরী কোন কাজ করছেন ওই ঢংয়ে ফুটপাত থেকে নিয়ে আসা বাঁশ কাগজে মোড়ানো পর্নো সিডি প্লে করতেন তিনি। স্ত্রী না ঘুমালে, বাইরে সিগারেট কিনতে যাচ্ছেন এই অজুহাতে ছাদে উঠে অন্ধকারে অন্ধকারের ছায়া হয়ে মিশে থাকতেন নুরু । তার অস্থির দৃষ্টি চুলকাতো পাশের ফ্ল্যাটের আলোকিত কোন জানালার কাঁচ। চোখের মনি মার্বেলের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে তাকে নিয়ে যেত সেসব বেডরুমের অপ্রকাশিত অন্দরে। ঘোরে ঘুটঘুটে হয়ে উঠতো তার অস্তিত্ব। কাঙ্খিত দৃশ্য আঠালো হয়ে না উঠলে, অস্থিরতা আরো বেড়ে যেত। তখন নেশাগ্রস্ত ছিনতাইকারীর ‘ধোর’ খুঁজে পাবার অনিশ্চিত অপেক্ষার মতো অসহায় আর ব্যর্থ মনে হত নিজেকেই। ইঁদুরের অজ্ঞাতে মাছের কাঁটায় বিষ মাখিয়ে জেগে থাকা রাত নিয়ে পা টিপে টিপে ছাদ থেকে নেমে আসতেন তিনি। বাসায় না ঢুকে, অন্ধকারে অন্য ফ্ল্যাটের দরজায় কান ঠেকিয়ে অন্দরের শব্দ শোনার চেষ্টা করতেন। এতটাই নিবিড়ভাবে কান পাততেন যে, ঘরের ভেতরের দেয়াল ঘড়ির টকটক শব্দ কানে আসতো তার। একদিন কি হলো, কিছুতেই ঘুম আসছিলনা। স্ত্রী ঘুমিয়ে গেছে, নরম কাদা কাদা স্বপ্নময় ঘুম। স্বপ্নের দেশে বাহারী বাগান থেকে নিয়ে আসা তার ফুটফুটে মেয়েটিও। আহা, কেমন ঘুমের মাঝেও আঁকড়ে আছে মায়ের শরীর। নুরুর শরীরে ফোঁটা ফোঁটা জমছে অন্ধকারের জমাট সর। তিনি জানেন, জমাট ওই সরের নীচেই টলমল করছে হিমেল ঘুম। নিজের রুমে এসে ঘুমের ভান করে পড়ে থাকলেন কিছুক্ষন। পাশের ফ্ল্যাটের বেডরুমগুলোর আলো নিভে যাবে, অসহনীয় ভারী হবে গায়ের অদৃশ্য বোবা খোলস। হাত পায়ের নখে ময়লার মতো জমে উঠবে জড়তা। তখনই পা টিপে টিপে কি এক ইশারা এগিয়ে আসে তার কাছে। সন্তর্পণে গিয়ে দাড়ান পাশের ফ্ল্যাটের দরজায় সামনে। ফাঁকে কান লাগিয়ে দেয়ালে দেয়াল হয়ে মিশে যান তিনি। অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকা একটি কালো বিড়াল তার পায়ের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে গেল আরো অন্ধকারের দিকে। বুকের ভেতরে হিম শীতল এক চোরা স্রোত বইতে শুরু করলো। বাইরে ঘেউ ঘেউ করছে নেড়ি কুকুরগুলো। ইচ্ছা হলো কুকুর গুলোকে বিষ খাইয়ে মারতে। রাস্তায় রিকশার শব্দ! মনে হলো রাস্তাগুলো মেরামত হয়না অনেকদিন। এই কমিশনারকে আর ভোট দেয়া ঠিক হবেনা। দীর্ঘ সময় কান পেতে থাকতে থাকতে ঘাড় ব্যথা হয়ে এলো তার। একসময় ঘুমিয়ে থাকা মানুষের নিঃশ্বাসের শব্দটুকুই শুধু ভেসে এলো কানে। বিরক্ত হয়ে অন্য দরজায় কান পাতলেন তিনি। ছন্দময় একটা শব্দ। নুরুর মাথায় অনিয়ন্ত্রিত নানারকম দৃশ্যের অবতারনা চলছে। প্রত্যঙ্গটা তার গরম হয়ে উঠলো, বুকে ডিপ ডিপ তাল। আরো নিবিড় হয়ে শব্দটিতে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলেন তিনি। একসময় বুঝতে পারলেন ট্যাপ থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে বালতিতে। মাথায় তখন ঘোর চেপে গেছে নুরুর। আরো একতলা নীচে নামলেন। কান পাতলেন দরজায়। নারী কন্ঠে সচকিত হয়ে উঠলেন তিনি।
“হাজারটা খানকির সাথে তুমার সম্পর্ক, ভাবছো আমি টের পাইনা?” এত মিসকল আসে, কে দেয়?
“এই থামবা তুমি!”
“ না থামলে কি করবা, হ্যাঁ? ছেলেদের ছদ্ম নামে মেয়েদের নাম্বার রাখো, ভাবো আমি বুঝিনা না!”
“তুই কিন্তু থাপ্পর খাবি আমার”
নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দটাও যেন ঝামেলা করছে নুরুর একাগ্রতায়। অবার কান পাতলেন দরজার ফাঁেক।
“ছাড়! গায়ে হাত দিবিনা, হাত সরা, যা ওই খানকিগো বুকে হাত দেগা যা!”
ঘামে ভিজে উঠেছে নুরুর শরীর। গায়ের ময়লা কাদা হয়ে গলে গলে নামছে তার পা বেয়ে। দম্পতির ঘরে নৈঃশব্দের ভেজা ভেজা খই ফুটছে। বুকের পাতালে বড় বড় মাটির চাই আছড়ে পড়ে তলিয়ে যাচ্ছে অতল গভীরে। নুরু অপেক্ষা করছেন চুড়ান্ত মুহুুর্তের বৈচিত্রে ভরা শব্দ সমাহারের। চারপাশ শুনশান। অনিয়ন্ত্রিত নিশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠা নারী কন্ঠ ধ্বনিত হোল আবার...
“হাত সরাও,এই-ই, আজ না!”
হঠাৎ নুরুর ফোন বেজে উঠলো সশব্দে। চমকে দৌড়ে পা চালিয়ে উপরে উঠতে লাগলেন তিনি। লম্ফ জম্ফের ধুক্পুকানী খেলা শুরু হোল বুকের অন্ত্রে । স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছে দরজা খুলে।
বললো :“কোথায় গিয়েছিলে?”
:“এইতো সিগারেট কিনতে। একটা দোকানও খোলা নাই, হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তায় গিয়ে দোকান পেলাম।”
অপ্রস্তুত অবস্থার ধুকপুকানী লুকাতে বললেন,
:“চা করা যাবেনা!”
সে শান্ত স্বরে বললো
:“এতরাতে চা খেলে ঘুম আসবেনা।”
:“কাজ করতে হবে, কাজ আছে।”
স্ত্রী কিচেনে গেল। নুরু ওয়াশরুমে। অনুভুতির বিবরে যেন কুয়াশার মতো ছেয়ে যাচ্ছে কুড়িয়ে আনা অচেনা নারীর মদির সেই কন্ঠ আর অর্থবোধক শব্দগুলো। সেদিন ওয়াশরুম থেকে ভেসে বেড়ানো এক রঙিন বুদবুদের মতো বেড়িয়ে এসেছিলেন তিনি।

লাল ওড়নার মেয়েটি এদিকেই আসছে। সিগারেটটা শেষ না হতেই মাটিতে ফেলে পায়ের তলায় চাপা দিলেন। সকালে অফিসে যাবার সময় স্প্রে করা দামি পারফিউমের গন্ধটা এখনো সুবাস ছড়াচ্ছে নুরুর গায়ে। চায়ের কাপ রেখে এগিয়ে গেলেন সেই লাল ওড়নার দিকে। পথের যেখানে কাদা জমেছে, সেখানে মুখোমুখি হলেন তারা। গা ছোঁয়াছুঁয়ি করে তাকে ক্রস করার সময় তার স্বেদাক্ত কান্ত মুখখানির দিকে তাকিয়ে বললেন,
“বৃষ্টির নাই খবর, মাইখ্যা থাকে রাস্তা!”
মেয়েটি তার দিকে একপলক তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে কাদার দিকে খেয়াল করলো। নুরু মেয়েটির নগ্ন ঘাড়ে আলতো করে ছড়িয়ে দিলেন এক টুকরো উষ্ণ নিঃশ্বাস। দেহের অন্দরে কোথায় যেন পাপড়ি মেলে দিচ্ছে একরাশ গন্ধভরা স্বেদ। সামান্য এগিয়েই থমকে পেছন ফিরে তাকালেন তিনি এবং দ্রুতলয়ে হাঁটতে শুরু করলেন। কারো পিছু নয়, যেন নিজেই নিয়েছেন নিজের পিছু। যেন এপথেই ভুলে হারিয়েছেন কিছু। কোথায় যাচ্ছেন জানেননা। হাঁটার তালে তালে মেয়েটির পশ্চাতদেশ ফুলে ফুলে দুলে উঠছে। সেই দোলায় দুলে দুলে নুরুও দুমড়ে মুচড়ে গলে যেতে থাকলেন মেয়েটির স্ফীতকায় পশ্চাতদেশে। প্রথম দৃষ্টিবিনিময়টুকু ইঙ্গিতপুর্ণ হয়েছিল কি? মনে মনে এক পলক মিলিয়ে দেখলেন। হয়তো সে, তাকে আর আলাদা করে মনে রাখেনি। ফলে তার দৃষ্টিসীমায় প্রবেশ করতে নুরু হাঁটার গতি বাড়ালো। গা ঘেঁষে তাকে কেটে বেড়িয়ে যাবার মুহুুর্তে এবার চোখে চোখ রাখলেন নুরু। বয়স বড়জোড় পনের হবে। নির্বিকারভাবে হাঁটছে মেয়েটি। নুরুর চোখ থেকে যতন করে সে যেন লুকিয়ে রেখেছে তার চোখ। সামনে থেকে বারবার পেছনে তাকানো যায়না। ভয় হলো নুরুর, মেয়েটি যদি আবার ভিন্ন পথে হারিয়ে যায়! সচেতনে পেছনে পড়লেন তিনি। শারীরীক পরিশ্রম করা মেয়েদের পশ্চাতদেশ সুগঠিত হয়। সেদিক থেকে কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছেননা নুরু। এরই মধ্যে মেয়েটি তার হাঁটার গতি কিছুটা বাড়িযেছে। নুরু নিশ্চিত হলেন, যা জানাতে চেয়েছিলেন, তা জানাতে পেরেছেন। নুরুও হাঁটার গতি বাড়ালেন। একসময় তার ৮ ঘন্টা এসিতে থাকা শরীরটা কান্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়তে চাইলো। শরীর বেয়ে গলে গলে নামতে লাগলো অযাচিত জমে যাওয়া বাড়তি মেদ। ক্রমশঃ মেয়েটি ম্লান আলোর রাস্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আলো যতো কমছে রাস্তাটাও ততো ফাঁকা হচ্ছে। নুরু জানেনা কেন তার পিছু নিয়েছেন তিনি। কি তার চাই? নুরু কি কোথাও গিয়ে মেয়েটিকে জাপটে ধরবে বা কোন অন্ধকার ঘুটঘুটে রাস্তার পাশের দেয়ালে মেতে উঠবে দুজনে? এটি কিভাবে সম্ভব? ঘোরাক্রান্ত নুরুর যুক্তিবোধও বলছে এটা আজ অন্ততঃ অসম্ভব। তবে আবার দেখা হবার উপায় কি? মনে মনে মোবাইল নম্বরটি বিনিময়ের জন্য সাহস সঞ্চয় করছেন তিনি কিন্তু মেয়েটি এক তালে হাঁটছে তো হাঁটছেই। নুরু হাঁপিয়ে উঠছেন। কিছুতেই মেয়েটির সাথে পেরে উঠছেননা তিনি। মেয়েটি একবারও পেছন ফিরে তাকাচ্ছে না। কিভাবে কথা বলা যায় তার সাথে? সেই চিন্তা ঘুরপাক খেতে খেতে স্থীর হতে চাচ্ছে কোথাও। অবশেষে নুরু মেয়েটির পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই স্বগতোক্তির মতো করে বললো,
“মেয়েরা এতো জোরে হাঁটে!”
মেয়েটির গালে একটু হাসির আভাস দেখা গেল। এতে সাহস বাড়লো নুরুর। এবার প্রশ্ন করার ঢংয়েই বললেন:
“আপনি গার্মেন্টেসে চাকরী করেন?”
মেয়েটি প্রশ্নের উত্তর দিলনা। দ্রুত আরো একটি অচেনা গলির দিকে পা বাড়ালো মেয়েটি। অপমানিত বোধ হতে লাগলো নুরুর। কিছুটা হতাশাও। এরপর একটু এগিয়ে গেলেও আর তার গতির সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠলেননা তিনি। বাসায় ফিরে এলেন। কান্ত বিধ্বস্ত। জামা কাপড় ছেড়ে ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢুকে ঘন্টা খানেক ভিজলেন। কিছুতেই মেয়েটির সুগঠিত পশ্চাতদেশের ছবি চোখ থেকে মুছতে পারছেননা তিনি। স্ত্রী চাইলেও তাকে আজ স্পর্শ করতে ইচ্ছে হলোনা নুরুর। ঘোর নিয়ে মেয়েটির পিছন পিছন ঘুরতে ঘুরতে ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি।
আরো একদিন নিজেকে আবিষ্কার করলেন, ভিজিটিং কার্ড রেখে সাদা কাগজে ফোন নাম্বার লিখে বাজারে দাঁড়িয়ে আছেন । অস্থির, অথচ স্থীরভাবে এপাশ ওপাশ পায়াচারী করছেন নুরু। ঠিক কার জন্যে অপেক্ষা করছেন, তা জানেননা। একদিন লুকিয়ে আনা পর্নো সিডি সহ স্ত্রীর কাছে ধরা পড়লেন তিনি। তারপর একদিন নিজেকে আবিষ্কার করলেন- মিরপুর রোডের এক শপিং মলের মহিলা ওয়াশরুমে ঢুকে নিজের ফোন নাম্বার লিখছেন দেয়ালে। একদিন রাতে অন্য ফ্ল্যাটে আড়ি পাতা শেষে ঘরে এসে স্ত্রীর ফিসফিস কথা বলার শব্দ শুনলেন তিনি। অচেনা এক শঙ্কার অনুভব তাকে টেনে নিয়ে এলো স্ত্রীর ঘরের আটা দরজার পাশে। কান পাতলেন সেখানেও। মেয়েটি একটু বড় হবার পর থেকেই নুরু আলাদা ঘুমান। মাঝে মাঝে স্ত্রী আসে, কিংবা তিনি যান। তবে বেশিরভাগ সময়ই স্ত্রী আসে। এতে তার যতটুকু ভালোলাগে তার চেয়েও পরিশ্রম হয় বেশি। তাই স্ত্রীকেই আসতে হয় নুরুর কাছে। ইদানিং স্ত্রী আর আসছেনা। অফিস শেষ করে নুরুও কান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তাহলে আজ এতরাতে কার সাথে এত নিবিড়ভাবে কথা বলছে সে? নুরুর প্রত্যঙ্গটা গরম হয়ে উঠলো।

তারপর আরো একদিন আবিস্কার করলেন অফিস শেষ করে বাজারে দাঁড়িয়ে আছেন। গার্মেন্টেসের ছুটি হয়েছে। নুরুর কাউকেই ভালো লাগছেনা। দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে অস্থির হয়ে তাকাচ্ছেন রাস্তার দুদিকে। দলে দলে পরিশ্রমী মেয়েরা বাড়ির দিকে ছুটে যাচ্ছে। হঠাৎ সেদিনের সেই মেয়েটাকে দেখলেন। নুরুর হাঁটা শুরু হলো। আজ তার পথ কিছুটা চেনা। পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দিকে তাকিয়েই বললেন, আজও কি জোরে জোরে হাঁটতে হবে আমাকে?
মেয়েটি হাঁটতেই থাকলো, তার দিকে একবারও তাকালোনা। নুরু আবার বললেন, “অত জোরে আমি হাঁটতে পারিনা।“ মেয়েটি নির্বাক। যত এগিয়ে যাচ্ছেন পথ ততোই অন্ধকার হচ্ছে। নুরু বললেন:
“কোথায় থাকেন?”
সে বললো,
“সামনেই।”
“মোবাইল ব্যবহার করেন?” মেয়েটি উল্টো প্রশ্ন করলো, “ক্যান?”
নুরু বললেন:
“তাহলে আমার নাম্বারটা আপনাকে লিখে দিতাম।”
ভিজিটিং কার্ড সাথে থাকলেও মনে মনে কাগজে লেখা নাম্বার ওই মুহুুর্তে পকেটে না থাকায় নিজেকে খুব হতভাগ্য মনে হোল নুরুর। মেয়েটি বললো, “নাম্বার দিয়া আমি কি করুম?”
“ফোন দিবা!”
“ক্যান?“
“বন্ধু মনে হইলে দিবা না হইলে দিবা না।”
মেয়েটি চুপ করে হাঁটতেই থাকলো। নুরুও হাঁটতে থাকলো তার পাশে পাশে আপনজনের মতো। মেযেটি হঠাৎ হাঁটার গতি আরো বাড়িয়ে দিলো। নুরুও গতি বাড়ালো তার তালে তালে। কোন কথা খুঁজে পাচ্ছেননা । কিছুক্ষন চুপ থাকার পর আবার বললেন, “কি হলো আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি?”
মেয়েটি বললো,
:“যান মিয়া! একখান খাচ্চর কোথাকার!”
নুরুর পা মাটিতে বসে গেল। রাস্তা ভরা কাদা। পায়ে কালো রংয়ের অভিজাত পাম সু এখন আর বোঝা যাচ্ছেনা। সারাদিনের কান্তি ভর করলো নুরুর শরীরে।
সেই রাতে নুরুর স্ত্রী জানালো সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রেম করছে তাই নীতিগতভাবে মনে করেনা একসাথে আর থাকা উচিত। স্ত্রী বললো
: “আমি ডিভোর্স চাই”
নুরু বললেন, “কার প্রেমে পড়েছো?”
স্ত্রী বললো, “প্রত্যেকটি সম্পর্কই এক ধরনের প্রাইভেসি ডিমান্ড করে। তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো! তবে প্রশ্ন করছো কেন?” এই বলে নুরুর স্ত্রী আর কথা বাড়ালোনা। নুরু সত্যিই বুঝতে পারেননি । আবার একথাও পুরোপুরি সত্যি নয়! তবে যা বুঝতে পেরেছেন তা কেন জানি বিশ্বাস করতে পারছেননা। বললেন, “ঠিক আছে কবে ডিভোর্স চাও।” স্ত্রী জানালো, “ঈদের পরে।”
নুরু বললেন, “ঈদ পর্যন্ত কেন দেরি করবে?”
স্ত্রী বললো, “মেয়েটি ঈদে দাদা বাড়ি যেতে চায়, আমি ওকে কথা দিয়েছিলাম নিয়ে যাবো। ”
নুরু বললেন, “ঠিক আছে।”
একদিন রাতে নুরুর স্ত্রী ঘনিষ্ঠতার চুড়ান্ত মুহুুর্তে নুরুর সবচেয়ে কাছের এক বন্ধুর নাম ধরে মিষ্টি করে ডেকে উঠলো।

একদিন নুরু নিজেকে আবিস্কার করলেন ওই বাজারে, হারিয়ে যাওয়া শিশুর মতো কাদছেন তিনি। তার মনে হল এই শহরে কান্নার পরিবেশ নেই। একদিন জানলেন তাকে আর অফিসে যেতে হয়না। একদিন দেখলেন নতুন একটি দুই রুমের বাসাতে তিনি একা। অসংখ্য পানি শুন্য বোতলের পাশে বোতলের মতো মেঝেতে গড়াচ্ছেন। মোবাইল বেজে উঠলো তার। ওপাশে অচেনা এক নারী কন্ঠের ইনিয়ে বিনিয়ে কান্না। কাঁদলেন নুরুও। অচেনা ঐ নারী যন্ত্রনাকাতর নিঃসঙ্গ সময়ে অন্যরকম এক ব্যঞ্জনা নিয়ে এলো নুরুর জীবনে। মেয়েটি ফোনেই পেতে চাইতো নুরুকে, নুরুও তাকে। উত্তেজিত হতে হতে ডানা ঝাপটাতো ডানা ভাঙ্গা পাখিরা। একদিন তাদের দেখাও হোল। নুরুর কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকলো মেয়েটির সৌন্দর্য্য। মুগ্ধ প্রজাপতিরা চক্রাকারে উড়তে থাকলো নুরুর মাথার উপর। মেয়েটিকে গোলাপ কিনে দিলেন তিনি। তার কাছে মেয়েটির হাতে রাখা ফুল কেমন ম্লান মনে হলো। রিকশায় ঘুরে বেড়ালেন দুজনে। ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে দুজনে কেঁদে ভাসালেন একে অপরকে। যখন তাদের মাঝে দেখা হয়, তারা ব্যথার ফুলে মালা গাঁথেন আর কথা না বলে নির্বাক শুয়ে থাকেন দুজনে।
আবার স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন নুরু। এরই মধ্যে অনেক খেলনার মালিক হয়েছে তার মেয়েটি। ওসব খেলনা নিয়ে সারাদিন খেলে সে। রাতের অন্ধকারে নিবিড় তৃষ্ণা নিয়ে এগিয়ে আসে নুরুর স্ত্রী। আহত চেলা পোকার মতো কুঁকড়ে যায় নুরু। তার গা গুলিয়ে আসে। তবু তারা একসাথে থাকে। নুরুর মেয়েটি এখন ডায়েরী লিখে।





সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃদ্ধাশ্রম।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৬



আগে ভিডিওটি দেখে নিন।

মনে করেন, এক দেশে এক মহিলা ছিলো। একটি সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামী মারা যায়। পরে সেই মহিলা পরের বাসায় কাজ করে সন্তান কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×