somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেডলাইনঃ ২ ডিসেম্বার, ২০১১

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দাবানল ছুটবে, আগুনের তেজ বাতাস গরম
হওয়ার আগেই নিভে যাবে না।হয়ত কিছুই হবে না!!
আমি বরং আশা করতে ভালোবাসি। ছোট্ট
একটা বিস্ফোরন, দেশলাইয়ের শরীরে আলতো একটু
বারুদের ছোঁয়া।
ব্যস , এটুকুই যথেষ্ট!

বাংলাদেলের আয়তন কত? ক্লাসের বইয়ে যেনো কত পড়েছিলাম? আরে ভাই ওটা হলে তো ইন্ডিয়া বাংলাদেশের মধ্যে! কি যাতা বলেই মশাই? জানেন না ডিজিটালাইজেশনের যুগে পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে! আপনি মশাই সেকেলেই রয়ে গেলেন। গানটা শোনেননি, পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে...ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী!!হা হা হা । দাদা গতকাল ইলিশ খেলুম, চোখে পানি এসে গেলো!!

এজ অফ এম্পায়ার খেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে!প্রথম প্রথম একটা জাতি কে মিত্র/বন্ধু বানিয়ে খেলতাম, তার থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতাম। তাকে কেউ আক্রমন করতে আসলে দুজন মিলে পাল্টা আক্রমন করতাম!! আস্তে আস্তে তার এলাকায় ভেতর আমার সভ্যতা স্হাপন করতাম। দূর্গ, টাউন সেন্টার, আস্তাবল একে একে বসাতে থাকতাম। একপর্যায়ে বন্ধু অপশন টা তুলে দিয়ে শত্রু হয়ে তাকে আক্রমন করে তার সাম্রাজ্য দখল করে নিতাম!! আপনারা হয়তো এই খেলার সাথে অন্য কিছু জড়িয়ে ফেলছেন? একদম না! আমি ওটার কথা একদম বলছিনা!!

দাদারা বহুত চালাক, চালাক তাহার পা চাটা কুত্তারা...টিপাইমুখি নিয়ে যখন ঝড় উঠছে তখন বিজয়ের মাসে নিয়ে এলো দাদাদের সিনেমা!!! এখন কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি???

আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কিন্তু কিছুটা আঁচ করতে পারছি! বারুদের গন্ধ যেমন হঠাত্‍ নাকে এসে লাগে ঠিক সে রকম কোন আভাস আমার মগজে জানান দিচ্ছে।সবার মধ্যে কেমন যেনো খোলস থেকে বেড়িয়ে আসার ভাব। ঠিক সবার না, সবার বললে ভুল হবে। গোখরা সাপের খোলস ছাড়ানো আমি দেখেছি, খোলস ছাড়া পর গোখরা নাকি আরো ক্ষিপ্ত আর বিষধর হয়! আমি জানি না ঠিক কি হতে যাচ্ছে, শুধু আঁচ পাচ্ছি, খোলস ছাড়ানোর আঁচ। খোলস ছাড়ানো গোখরা নাকি ক্ষিপ্ত আর বিষধর হয়! একই কথা দ্বিতীয়বারের মত বললাম, কারণ কথাটাকে জোর দিতে চাচ্ছি।

নিচের লেখা গুলো ফেসবুক আর ব্লগ থেকে সংগ্রহ করে নিজের ব্লগে প্রকাশ করলাম! সবার জন্য...।

ডেডলাইনঃ ২ ডিসেম্বার, ২০১১

আগামী ২ ডিসেম্বার, ২০১১, শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

* এই বিশাল মানব বন্ধনটি অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত সময়ে ঠিক বিকাল ৪টায়। ১ মিনিট আগেও নয়, ১ মিনিট পরেও নয়। অতএব নির্ধারিত সময়ের আগেই আপনি প্রেসক্লাবের সামনে এসে উপস্থিত হবেন।

* নারী পুরুষ, ছোট বড়, যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারবেন।

* প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে শাহাবাগের দিকে লাইন হবে। আপনি লাইনে এভাবে দাড়িয়ে যাবেন। বিশাল মানব বন্ধন হবে...

* আপনার বন্ধু, বান্ধবী, সহকর্মী সহ যত বেশি সংখ্যক লোক সঙ্গে আনবেন তত ভাল।

* আপনি ইচ্ছা করলে নিজ দায়িত্বে ব্যানার, প্লাকার্ড বানিয়ে আনতে পারবেন। এবং তা করতে পারলে খুব ভাল হবে।

* এটি কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। বিষয়টি পুরোটাই দেশের স্বার্থে। তাই যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।

* এই মানব বন্ধনে কোন ধরনের খাবার, নাস্তা, বা যাতায়াত ভাড়া সরবরাহ করা হবে না। আপনি দেশকে ভালবেসে নিজ দায়িত্বে দেশকে বাঁচানোর জন্য আসবেন।

* যারা ব্যানার, প্লাকার্ড বানানোর জন্য অর্থ সহায়তা দিতে চান তারা আমাদেরকে আপনার নাম, পেশা, মোবাইল নাম্বার সহ ইমেইল করুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা [email protected]

* Facebook-এ অন্য বাংলাদেশীদেরকে Invite করুন এই Event-এ Join করার জন্য।

* এই Event টি Share করুন।

* Facebook-এ যাদের page আছে তারা দয়া করে এই Event টি Promote করুন। আগামী ২ ডিসেম্বার, ২০১১, শুক্রবার পর্যন্ত দিনের বিভিন্ন সময়ে বার বার Promote করতে থাকুন। "--------" দাগের ভিতরের লেখা গুলো কপি পেস্ট করে পোস্ট করুন:-
--------------
আপনার মা কে যদি কেউ ধর্ষণ করতে চায় তাহলে আপনার কি করা উচিত? বাংলাদেশ হচ্ছে আমাদের মা। আর ভারত হচ্ছে সেই ধর্ষক। ভারত কখনও কথা রাখেনি, ভারত কখনও কথা রাখেনা, ভারত কখনও কথা রাখবেনা।
মনে রাখবেন, আমাদের মা কে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। বাইরের দেশের কেউ এসে রক্ষা করে দিয়ে যাবে না।
দেশের স্বার্থে একাত্ম হোন...
আগামী ২ ডিসেম্বার, ২০১১, শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। সবাই এই Event-এ যোগ দিন। নিচের লিংকে ক্লিক করে Join করুন এবং জেনে নিন স্থান ও সময়সূচী সম্পর্কে:
Click This Link
--------------

* কোন Page এর অ্যাডমিন যদি উক্ত দিনে Volunteer Leader হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনার Page এর link, আপনার নাম, পেশা, মোবাইল নাম্বার এবং সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা সহ আমাদেরকে ইমেইল করুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা [email protected]



###################
ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় মানব বন্ধন:
------------------------------------------

* সিলেট জেলা
যারা সিলেট জেলায় থাকেন তারা নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
Click This Link

* চট্টগ্রাম
যারা চট্টগ্রাম জেলায় থাকেন তারা নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
Click This Link

* রাজশাহী
যারা রাজশাহী জেলায় থাকেন তারা নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
Click This Link

এছাড়া যারা আয়োজক এবং সেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজ নিজ জেলায় মানব বন্ধন আয়োজন করতে চান তারা আমাদেরকে ইমেইল করুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা [email protected]


###################
জরুরী ভিত্তিতে সেচ্ছাসেবক প্রয়োজন:

# স্লোগান/Headline লেখক/লেখিকা: ব্যানার এবং প্লাকার্ডে ব্যাবহারের জন্য বাংলা এবং English-এ আকর্ষনীয় স্লোগান এবং Headline লিখে দ্রুত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেইল ঠিকানায়।

# Graphics Designer/Photoshop Expert: যারা ভাল Creative Graphics Design করতে পারেন, তারা ব্যানার এবং প্লাকার্ডের আকর্ষনীয় Design করে আপনার নাম এবং মোবাইল নাম্বার সহ পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেইল ঠিকানায়। দয়া করে JPG এবং PSD ২টা format-এই file পাঠাবেন। Please make the file 300 dpi.

# Professional Photographer with High Quality Digital Camera.

# Professional Video Man with High Quality HD Video Camera.

# Professional Video Editor.

# Supervisor: আপনার মটর সাইকেল থাকলে এ কাজে অংশ নিতে পারেন। আপনাকে মটর সাইকেলে চড়ে এই বিশাল মানব বন্ধন monitor করতে হবে।

# Administrative Volunteer: অন্যান্য Administrative কাজের জন্যও সেচ্ছাসেবক প্রয়োজন।

আপনার নাম, পেশা, মোবাইল নাম্বার এবং সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা সহ আমাদেরকে ইমেইল করুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা [email protected]


_________________________________
Sharing is caring.
Share this EVENT clicking the following link...
http://on.fb.me/sIqH6n
----------------------------------------------------------
(এইখানে কোন দালালীকে আশ্রয় দেয়া হবে না। ভারতের দালাল এবং পাকিস্তানের দালাল সবাইকে গদামের উপরে রাখা হবে। এইটা শুধু বাংলাদেশীদের জন্য, বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য)
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মানব বন্ধন-বাবু_আহমেদ

সৌজন্যেঃ বাবু_আহমেদ

আমার লেখা না, ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করে নিজের ব্লগে প্রকাশ করলাম! সবার জন্য...।


টিপাইমুখ বাধের প্রতিবাদে খোদ ইন্ডিয়াতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

ভারতের মণিপুর রাজ্যের চুরাচানপুর জেলার টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের অবস্থান ধর্মঘট। এ অবস্থান ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিচ্ছে এআইইউডিএফ। ধর্মঘটে সমর্থন দিচ্ছে ভারতের ৫০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল।

এদিকে ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে আসামে গঠিত কমিটি অন পিপলস অ্যান্ড এনভারমেন্ট বা ‘কোপ’-এর নেতা পীযূষ কান্তি দাস আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, কাথিগোড়া ও বরখোলায় টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে পাঁচ দিনের অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্য মণিপুর, আসাম এবং মিজোরামে টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠছে। বুধবার এসব রাজ্যে বহু সেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক এবং গণসংগঠন চুক্তির বিরুদ্ধে জনমত গড়তে রাস্তায় নামে।

আসাম-মণিপুরী ছাত্র সংগঠন, অল আসাম মইবা পাইবি, আসাম মজুর ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম কমিটি, হিন্দীভাষি ছাত্র যুব পরিষদ, মাড় ছাত্র সংস্থা ছাড়াও টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মণিপুরের এখন ৩০টি অরাজনৈতিক সংগঠন রাস্তায় নেমেছে।

এছাড়াও রয়েছে আসাম গণপরিষদ, এসইউসিআই এবং এআইইউডিএফপির মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠন।

উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই প্রকল্প নির্মাণ হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, মারাত্বক মানবিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুমোমুখি হবে মণিপুর, আসাম ও মিজোরামের লক্ষ লক্ষ মানুষ।

টিপাইমমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কমিটি অন পিপলস অ্যান্ড এনভাইরানম্যান্ট বা কোপার সচিব পিযুষ কান্তি দাশ সাংবাদিকদের জানান, এই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলছেন। এই বাঁধটিকে কংগ্রেসের রাজনৈতিক উদেশ্য চরিতার্থ করার কৌশল বলেও মনে করছেন তিনি।

কোপ নামের টিপাইবাঁধ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান বিরোধী এই সংগঠনটির ২৩ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত মণিপুরের রাজধানী ইমফলে জনমত গড়তে প্রচার প্রচারণা চালায়। এবং গণস্বাক্ষর অভিযান করে। প্রায় দশ হাজার মানুষ এই আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছে। এই গণস্বাক্ষরসহ টিপাইমুখ বাঁধের ভয়াবহতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংসহ সংশ্লি­ষ্টদের কাছে একটি চিঠিও পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে জানা যাচ্ছে, এই আন্দোলনের ঘটনায় মনিপুরের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস এখনও এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা যে দৃঢ়চেতা সেটাও মণিপুর থেকে প্রকাশিত একাধিক পত্রপত্রিকা থেকে জানা যাচ্ছে।
অ্যাকশন কমিটি এগেনস্ট টিপাইমুখ প্রজেক্ট (ACTIP), Citizen’s Concern for Dams and Development(CCDD), Hmar Students Association(HAS), All Tribal Students’ Association of Manipur(ATSUM), Action Committee of Tipaimukh(ACT) সহ আরো অনেক সংগঠন প্রতিবাদ, মিছিল, সমাবেশ করছে।
আর আমাদের মন্ত্রীরা টিপাইমুখকে 'অভন্তরীণ বিষয়' বলে ইন্ডিয়ার 'আশ্বাসে বিশ্বাসী' হয়ে বসে আছে।
অপ্রকাশিত

আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না !
ফারাক্কা বাঁধ হলো গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়। ইন্ডিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাধ চালু করে, কিন্তু তাদের ৪১ দিন আজও চলছে।

ফারক্কা বাঁধ ভারত তৈরি করে কলকাতা বন্দরকে পলি জমা থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু এটা ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, বিশেষ করে বাংলাদেশর দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে।

* ভারতের একতরফা গঙার পানি সরাবার কারণে যে শুধু বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়; বরং এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, বন ও নৌ-পরিবহন ব্যাবস্থা ব্যাপক বিপর্যয়ের সমুক্ষিন হচ্ছে।

* দেশের অভ্যন্তরের ৮০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ১৭টি নদীর মৃত্যু ঘটেছে।

* ফারাক্কা পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙা নদীর (পদ্মা) প্রবাহে চরম বিপর্যয় ঘটে। প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে যায়। ফলে প্রায় বাংলাদেশর বর্তমানে প্রায়ই বড় বন্যা সম্মুক্ষিন হতে হচ্ছে। বাংলাদেশর গড়াই নদী এখন সম্পূর্ণ ভাবে বিলুপ্ত।

* ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের মাটির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা খুলনার রুপসা নদীর পানিতে ৫৬৩.৭৫ মিলিগ্রাম/লিটার ক্লোরাইড আয়নের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাছাড়া, মিঠা পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে লবন, ভূ-অভ্যন্তরস্থ পানিতে প্রবেশ করছে।

* কৃষির অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পানির স্তর অনেক নেমে যাওয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের জি-কে সেচ প্রকল্প মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেচযন্ত্র গুলো হয়ত বন্ধ হয়ে আছে অথবা সেগুলোর উপর তার ক্ষমতার চাইতে বেশি চাপ পড়ছে। এই প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় ১২১,৪১০ হেক্টর জমি রয়েছে। মাটির আর্দ্রতা, লবনাক্ততা, মিঠা পানির অপ্রাপ্যতা কৃষির মারাত্বক ক্ষতি করেছে।

* পানি অপসারণের ফলে পদ্মা ও এর শাখা-প্রশাখাগুলোর প্রবাহের ধরণ, পানি প্রবাহের বেগ, মোট দ্রবনীয় পদার্থ (Total dissolved solids) এবং লবনাক্ততার পরিবর্তন ঘটেছে। এই বিষয় গুলো মাছের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গঙার পানির উপর অত্র এলকার প্রায় দুইশতেরও বেশি মাছের প্রজাতি ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ী নির্ভর করে। ফারাক্কা বাঁধের জন্য মাছের সরবরাহ কমে যায় এবং কয়েক হাজার জেলে বেকার হয়ে পরে।

* শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ৩২০ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ নৌ-চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে, কয়েক হাজার লোক বেকার হয়ে পড়ে, নৌ-পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়।

* ভূ-অভ্যন্তরের পানির স্তর বেশিরভাগ জায়গায়ই ৩ মিটারের বেশি কমে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন দ্রবিভুত পদার্থের , ক্লোরাইড, সালফেট ইত্যাদির ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণেও পানির স্তর কমছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, শিল্প, পানি সরবরাহ ইত্যাদির উপর। মানুষের বাধ্য হয়ে ১২০০ মিলিগ্রাম/লিটার দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানি পান করছে। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO = World heath organization) ৫০০ মিলিগ্রাম/লিটারের কম দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানিকেই মানুষের পান করার জন্য উপযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে।

* এখন আর পদ্মায় ইলিশ পাওয়া যায় না। ইলিশের বিচরণক্ষেত্র ছিল রাজশাহী-পাবনার ওই অংশ। মাছ আসার জন্য পানিতে যে পরিমাণ প্রবাহ থাকার কথা সেটি না থাকায় এবং পানির লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এখন আর পদ্মায় ইলিশ আসে না।

* ৩২০ কিলোমিটারের বেশি প্রধান ও মধ্যম নৌপথ বন্ধ রাখতে হয়।

* যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে হাইপ্রেসার ও কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর প্রধান কারণ লবণাক্ত পানি পান। ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় ওই পানিই মানুষ পান করছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর।


ফারাক্কার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার। মানে গড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা। আর অন্য এক হিসাব মতে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে ৩৬ বছরে বাংলাদেশের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪শ কোটি টাকার সরাসরি ক্ষতি হয়েছে। অর্থাৎ ফারাক্কার কারণে প্রত্যক্ষ যা ক্ষতি হয় পরোক্ষ ক্ষতি তার ছয়গুণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'টিপাইমুখে কিছু করতে হলে বাংলাদেশকে জানিয়েই করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হয় এমন কিছু হতে পারে না।'

প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ, আপনি ভুলে যাবেন না, আপনার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথেও ইন্ডিয়া বেইমানি করেছিল। ইন্দিরা গান্ধী বলেছিল, 'ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না।' কিন্তু এক ফারাক্কা বাঁধ আজ বাংলাদেশের গলার ফাস হয়ে গিয়েছে।

আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না !

'টিপাইমুখে বাঁধ, আমরা প্রতিরোধ করবই।'
অপ্রকাশিত


আপনি সত্যিই দেশপ্রেমিক? নাকি মীরজাফরের উত্তরসূরি?

আনিসুল হক স্যারের বক্তব্য, "দু পা নয়, অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দিয়ে দিয়েছে, যা কিছু দেওয়ার। কিন্তু ভারত পিছিয়েছে তারও চেয়ে বেশি। এভাবে ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা একপক্ষে হয় না। জোর করেও হয় না।"

বরাবরের মতই ভারত ভাঙ্গা রেডিও বাজিয়ে চলেছে, "বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোন পদক্ষেপ ভারত নিবে না।" ১৯৭৬ সালে পরীক্ষামূলক ফারাক্কা বাঁধের পরীক্ষা এখনো শেষই হল না আর দাদারা এসেছেন নতুন উপহার নিয়ে!! বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর উজানে একটা দেশ একপক্ষীয়ভাবে বাঁধ দিচ্ছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার?

প্রথম আলোর ওয়েব সাইটে একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, "সিলেটে বসবাসকারী ড. জাফর ‍ইকবাল স্যারের ভূমিকা জানতে চাই। আমার মনে হয় ‍উনার কিছু করার ‍আছে।" স্যার, আমরা আশাবাদী।

তবে, টিপাইমুখ নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই সাংবাদিক সম্মেলনস্থল ছেড়ে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।

এদিকে খালেদা জিয়া বলেছেন, "টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, সঙ্গে থাকবো।" সাধুবাদ জানাই খালেদা জিয়ার এরূপ উদ্যোগকে।

এই এলাকাটা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। হঠাৎ করে ভূমিকম্প হলে ভাটি অঞ্চল প্রবল বন্যার জলে ভেসে যাবে। অবশ্য সেই ক্ষতি ভারতের ২০০ কিলোমিটার নদীতীরবর্তী অঞ্চলেও হবে।

টিপাইমুখ প্রকল্প কেবল বিদ্যুৎ প্রকল্প নয়, সেচ প্রকল্পও বটে। তাহলে ভারত পানি প্রত্যাহার করবে। ফলে এই নদীর অববাহিকায় এত দিন যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হতো, তার ব্যত্যয় ঘটবে।

এবার আমাদের দেশের নদীগুলোর দিকে একটু তাকান। পদ্মা নদীর মাঝে যে বিশাল চর পরেছে সেখানে একটা স্টেডিয়াম বানানো জেতে পারে। "পদ্মা নদীর মাঝি" তো পড়েছেন? কুবের মাঝি প্রতিদিন ৩০০ এর মত ইলিশ মাছ ধরতেন। কই সেই ইলিশ? নদীর মাঝেই চর আবার ৩০০ ইলিশ প্রতিদিন?!

কথাগুল কেন বললাম জানেন? একটু ভেবে দেখেন ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- ফসল নষ্ট হচ্ছে, মাঝি জীবিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, চাষী ঘরে ফসল তুলতে পারছে না... আরও অনেক অনেক ভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

টিপাইমুখ বাঁধটি বরাক নদীর ওপর তৈরি করা হলে মণিপুর, মিজোরাম ও আসাম রাজ্যের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, নদীর ওপর জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল মানুষের জীবনযাত্রা অচল হবে, নদীর নাব্যতা কমে যাবে, সেচকাজ ব্যাহত হবে। ফারাক্কাই যেই খেলা দেখাইছে, টিপাইমুখ এর খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ মরুভূমি হতে আর বেশি দিন নাই।

ভারতের মণিপুর রাজ্যের চুরাচানপুর জেলার টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নেমেছে মণিপুর, আসাম ও মিজোরামের একাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

প্রধানমন্ত্রী, মণিপুর রাজ্যের মানুষও এই বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এবার আমরা দেখতে চাই আপনার পদক্ষেপ। আপনার সাথে বিরোধীদলের শক্তিও আছে।

আপনি বলেছিলেন, "আমার চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কে আছে?" আমরা এবার জবাব চাই। আপনি সত্যিই দেশপ্রেমিক? নাকি মীরজাফরের উত্তরসূরি? এবার দেখে নিবে বাংলাদেশ।

অপ্রিয় যত সত্য সহ্য করার ক্ষমতা আছে কি ?

ভারতের মত 'বন্ধু দেশ(!?)' থাকলে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না।

"টিপাইমুখে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।" - এই অঙ্গীকার করেছিলেন খোদ ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। অথচ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ চুক্তি গত ২২ অক্টোবর দিল্লিতে সই হয়ে গেছে। এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানেনি ভারত।

'ভ্রমনে সেন্চুরিয়ান' আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এখন কি বলবেন?

বছর খানেক আগে বাংলাদেশের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল টিপাইমুখে গিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও নাকি তাদের হেলিকপ্টার টিপাইমুখে নামতে পারেনি। কথা হচ্ছে আবহাওয়া কি এখনও খারাপ রয়েছে?

পরিবেশবাদীরা আশংকার কথা শুনিয়েছেন। তারা বলছেন, টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে ডুবে যাবে এবং অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণিসম্পদ ধ্বংস হবে। ঘর আর জীবিকা হারাবে বহু মানুষ। তাছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরে সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

ইন্ডিয়ার বেইমানির ইতিহাস অনেক পুরানো! ১৯৭৫ সালে ইন্ডিয়া গঙ্গা নদীর ওপর একতরফা ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে। 'পরীক্ষামূলকভাবে' কিছুদিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হলেও, ঐ পরীক্ষা আজও চলছে এবং তার মাশুল আজও আমরা দিয়ে চলছি। বাংলাদেশের ১২১,৪১০ হেক্টর চাষযোগ্য কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের ৮০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ১৭টি নদীর মৃত্যু ঘটেছে।

এদিকে সরকার কিনা ইন্ডিয়াকে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দিয়ে দিয়েছে, তাও একদম ফ্রীতে! ট্রানজিট থেকে আমাদের লাভ হওয়া তো দূরের কথা, বরং অবকাঠামো উন্নয়নে ৪৭ হাজার ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তারপরও কেন ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে? ওরা টিপাইমুখে বাধ নির্মান করলে, বন্ধ করে দেয়া হোক ট্রানজিট।

জানতে চাই, তিস্তা চুক্তির কি হলো? বলা হয়েছিল, 'তিস্তা চুক্তি হয় নি বলে ট্রানজিট দেই নি'। এখন কি ট্রানজিটের সাথে 'একটা কিনলে আরেকটা ফ্রী' - এর মত, তিস্তাও দিয়ে হেওয়া হলো নাকি ?

ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বলবেন? এইটা অনেকটা এই রকম যে, গরু (বাংলাদেশের নদী) মেরে জুতা (ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার) দান!!! শুল্কমুক্ত প্রবেশের কথা বলা হলেও, এইখানেও অনেক ঘাপলা রেখেছে ইন্ডিয়া। বাস্তবে আমরা এর থেকে তেমন লাভবানও হচ্ছি না।

প্লীজ, কেউ আমাকে এই গীত শুনাবেন না যে, 'ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল'। ইন্ডিয়া আমাদের কেন সাহায্য করেছিল, তা কি এখনো টের পাচ্ছেন না? একাত্তরে স্বাধীনতার পর তারা অস্ত্রসহ অনেক কিছু লুট করেছিল, এত দূর যেতে হবে না, ২০১১ তে তারা কি করছে একটু চোখ খুলে দেখুন না। ব্যপারটা অনেকটা এই রকম যে, সুন্দরী রমনীকে ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেই আবার সুযোগের অপেক্ষায় থাকা।

আওয়ামীলীগ সরকার 'ভারত বান্ধব' বলে পরিচিত। এমন 'একতরফা সুবিধা' যে নেয়, তাকে কি বন্ধু বলা যায়?

'সব আদায় করে নিব, কিন্তু কিছুই দিব না', এটা কি রকম বন্ধুত্ব?

ইন্ডিয়া আমাদের সাথে যে ব্যবহার করছে, তাকে অনেকটা 'দাসের সাথে প্রভুর আচরণ' বলা যায়।

আশ্চর্যজনক হলেও, ইন্ডিয়ারই প্রদেশ মণিপুরের অনেক বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা এই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করছেন। এমনকি তারা রাজপথেও নেমেছেন। অথচ আমাদের দেশে আন্দোলন নেই! বাড়ির জন্য হরতাল ডাকেন, তো বিরোধী দল এখন চুপ কেন? অবশ্য বিরোধী দল এই নিয়ে প্রতিবাদ করলেই তাকে 'যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ষড়যন্ত্র' বলে দোষারোপ করবে সরকার।

আর একশ্রেনীর সাংবাদিকদের ও বুদ্ধিজীবিদের নীরবতা লক্ষ্য করার মত। তারা এই ব্যাপারে একদম চুপ! তাদের সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী না বলে, 'সাংঘাতিক' ও 'পরজীবী' বলাই শ্রেয় হবে।

এ বাঁধ ঠেকানোর দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। এখনই দেখা যাবে স্বাধীনতা, সার্বোভৌমত্বের প্রতি সত্যিকার কতটা প্রেম!

আর এই সরকারের ঘুম ভাঙ্গাবে কে? সরকারের যেই দুই একজন উপদেষ্টা ইন্ডিয়ার পক্ষে রীতিমত দালালি করছেন, তারা ক্ষমতা শেষে তপ্লিতপ্লা বেধে ইন্ডিয়া বা আমেরিকা পালাবেন, ভুগতে হবে আমাদেরই।

তাই জাগতে হবে আমাদের।

আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না !

যারা এতক্ষণ লেখাটি পড়েছেন, তাদের অনুরোধ করব এই লেখাটি শেয়ার করুন।

'টিপাইমুখে বাঁধ, আমরা প্রতিরোধ করবই।'

View this link
(সৌজন্যে: অপ্রকাশিত)

মাকে কেউ ধর্ষণ করবে, আর আপনি বলবেন যে, এইটা ধর্ষকের 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার'!

টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশকে কিছু না জানিয়েই ভারত সরকার যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তা ভারতের 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার' বলে মন্তব্য করেছেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুবুর রহমান তালুকদার। তিনি বলেছেন, 'এ ধরনের চুক্তি করার ব্যাপারে বাংলাদেশকে আগে থেকে অবগত করার কোন কথাও ছিল না। এ ব্যাপারে এ পর্যায়েই আমাদের আপত্তি বা প্রতিবাদ জানানোর কিছু নেই। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা চুক্তি করতেই পারে।'

বাহ ! কি দেশপ্রেমের নমুনা !

ব্যাপারটা অনেকটা এইরকম যে, আপনার মাকে কেউ ধর্ষণ করবে আর আপনি বলবেন যে এইটা ধর্ষকের 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার'!

আমার দেশ আমার মা। 'আমার মায়ের কোনো ক্ষতি হতে দিব না'-এইটা হওয়া উচিত প্রতিগ্গা।

আর আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রা বলছেন এটা 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার'। এই বুদ্ধির লোকেরা কিভাবে মন্ত্রীসভায় স্থান পায় ? এই প্রতিমন্ত্রী কি বুঝে না, ঐ বাঁধের ফলে সিলেট অঞ্চলে কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে ?
দেশ মাতাকে যারা রক্ষা করতে পারে না, যারা দেশের স্বার্থ বুঝে না, তার মন্ত্রী থাকার কোনো অধিকার আছে কি ?

এদিকে টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে বিএনপি সিলেটে ১ ডিসেম্বর হরতাল ডেকেছে। ঘর বাচানোর জন্য মায়াকান্না না করে, অন্তত দেশ বাচানো জন্য একটা হরতাল বিএনপি ডাকলো।

তাছাড়া তারা আওয়ামীলীগকে এই আহ্বান জানিয়েছে যে, 'দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপনার কাজ করুন। ভয় পাবেন না। দেশের স্বার্থে আপনাদের আমরা সাথে থাকব।'
এই আহবানে আন্তরিকতা কতটুকু ত়া প্রশ্নের সম্মূখী, কিন্তু অন্তত তারা দেশের স্বার্থে একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে নিজেদের ভূমিকা পরিস্কার করলো।

আরেক ধাপ এগিয়ে, খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের আগে যৌথ জরিপের দাবি জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠিও দিয়েছেন। তবে এই চিঠি কতটুকু কাজে আসবে কে জানে? তারপরও প্রতিবাদ আরেক ধাপ এগুলো।

এদিকে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বিপণন সম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে, টিপাইমুখ নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই, সাংবাদিক সম্মেলনস্থল ছেড়ে চলে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন টিপাই মুখ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন ? কিসের ভয় উনার ? এইটা এই অধমের বুঝার ক্ষমতা হয় নাই। দেশ এত বড় হুমকির সম্মুখীন আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিনা প্রশ্নর উত্তর না দিয়ে পলায়ন করেন!

সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুখ খুলেছেন এবং বলেছেন, “টিপাইমুখে কিছু করতে হলে বাংলাদেশকে জানিয়েই করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হয় এমন কিছু হতে পারে না। বিএনপি ভারতের গোলামি করেছে, তাই চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। আমরা যখন ধরেছি, আজ হোক কাল হোক চুক্তি বাস্তবায়ন করবই।”

প্রধানমন্ত্রীর কথার দৃঢ়তা শেষ পর্যন্ত থাকলে খুব ভালো। যেহেতু আওয়ামীলীগের সাথে ইন্ডিয়ার দহরম মহরম সম্পর্ক তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চাপ প্রয়োগ করে টিপায়মুখের বাধ নির্মান বন্ধ করতে পারেন, তবে এই জাতি তার কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। কিন্তু তিনি এখনো বিরোধী দলের দোষ ধরা থামাতে পারলেন না, যেই রাম সেই রাম, 'সব দোষ বিরোধী দলের'।

প্রধানমন্ত্রীকে আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে যে, ফারাক্কা বাধ তৈরী করার আগে, তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকেও, ইন্দিরা গান্ধী মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, 'তাতে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না'। কিন্তু বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ ইন্ডিয়ার মিথ্যা আশ্বাসে আর পা মাড়াবেন না। ইন্ডিয়ার সাথে বন্ধুত্বের চেয়ে দেশ বাচানো বেশি জরুরি।

সরকার, বিরোধীদল ও জনগণ - একসাথে টিপাইমুখ বাধ বন্ধে সবাইকে কাজ করতে হবে।

আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না !

'টিপাইমুখে বাঁধ, আমরা প্রতিরোধ করবই।'
অপ্রকাশিত
(সৌজন্যে: অপ্রকাশিত)

টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত।


# বিশ্বাস করি না!!!!!! তোমরা কখন ও সুপার পাওয়ার হতে পারবা না!!!!! কারন দুরবলের উপর অন্যায় আঘাত করে কেহ বর হতে পারে না !!!!!!!!!!!!! আমি শপথ করে বলসি আমি কনদিন ভারতিয় পন্য ব্যাবহার করব না,,,,, এবং সকল বাংলাদেশি ভাই দের অনুরোধ করি ভারতিয় পন্য বরজন করুন !!!!!!!!!!!

# ভারতীয়দের কেউ বিশ্বাস করে না। ওরা স্বার্থবাদী। প্রতিবেশী প্রত্যেক দেশের সাথে দাদাগিরি করাই ভারতের কাজ। মুখে বলে একটা, করে আরেকটা। ফারাক্কা-তিস্তা-টিপাইমুখ নিয়ে যত মিথ্যাচার করা দরকার তা তারা করেছে। ওরা আমাদের বন্ধু হতে পারে না। পাকিস্তানের বন্ধু ওরা। যার জন্য আমাদের দেশের চারিদিকে কাটা তারের বেড়া দিয়ে আমাদের ঘিরে রেখেছে। কিন্তু অন্য কোন প্রতিবেশী দেশের সাথে কোন কাটা তারের বেড়া নাই। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না।

# কথাটা ভাল ঢাল হবে সরকারের।

# এর পরেও যারা ভারতকে বন্ধু ভাববে তারাই বাংলাদেশের দূশমন।

# ভারতের বক্তব্যই প্রমাণ করে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কারন অতীতে ভারত যা যা বলেছে বরাবরই তার বিপরীত হয়েছে। আপসোস হয় সরকারের মন্ত্রীদের মন্তব্যে। ভারতের মন্ত্রী ও আমলারা তাদের জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক- তা তাদের দেশপ্রেম। আমি সেটাকে স্যালুট করি। তবে প্রতিবেশিদের উপর জুলুম করে নয়। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি............!! সর্বোপরি প্রণব মুখার্জি ও কৃষ্ণাদের কাছে আমাদের আপামনিরা একেবারেই খুকুমনি! আমলাদের পেশাদারিত্বের অবস্থা যাচ্ছেতাই। সরকার ব্যস্ত রয়েছে নজিরবিহীন লুটপাটে ও বিভিন্ন অজুহাতে বিরোধীদের দমনের মাধ্যমে নিষ্কণ্টকভাবে দিল্লীসহ পরাশক্তির মনোরঞ্জনে! পরাশক্তিনির্ভর নেতানেত্রীদের আশা বাদ। তরুণরা যদি জেগে ওঠা ছাড়া দেশ বাঁচানোর কোন বিকল্প দেখছি না।

# মহারথী ভারত বলছে কোনো ক্ষতি হবেনা , সেকি চাট্টি খানি কথা ! আসুন আমরা সবাই নাচি , হে হে হে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না, হৈ হৈ হে হে হে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না |

আস্ত নদীর বাদ দিয়েছে ; কি হয়েছে, কি হয়েছে; ভারতমাতা ভালো বলেছে , জয় হয়েছে জয় হয়েছে; আহা বড্ড শান্তি লাগছে !!!!

# সবার জন্য একটি পদ্য :
আস্ত নদীর বাঁধ দিয়েছে ; কি হয়েছে, কি হয়েছে; ভারতমাতা ভালো বলেছে , জয় হয়েছে জয় হয়েছে; আহা বড্ড শান্তি লাগছে !!!!

# তবে এর আগে ফারাক্কায় বাধ দেয়ার আগেও আপনারা সমান কথাগুলো শুনিয়েছিলেন। আর এখন শীত মওসুমে যখন আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে মরুভুমি, তখন আপনাদের হুগলী আর গংগা নদী পানিতে ভরপুর । কোলকাতা থেকে ইউ পি তক নদী পথে পণ্য আনা নেয়া চলছে কোন সমস্যা ছাড়া ।

# দাদাবাবু, ফারাক্কা বাধ দেয়ার আগেও একই কথা বলেছিলেন আপনারা। যদি পারেন এ দেশে এসে একবার নৈাকা ভরমন করে যান, দেখে যান আমাদের নদীগুলোর কি হাল......।

# ফারাক্কা বাধের আগে একই কথা ওরা বলেছিল কিন্তু ফলাফল তার ১৮০' উলটা হয়েছে। উৎতর পসচিম আজ শুসক মওসুমে মরভুমি আর বষা কালে বন্যা । কিন্তু টিপাই মুখি বাধ ওগুলো সহ আরও অনেক বেশি রিসক নিয়ে আসবে কারন ভুমিকমপ প্রবনতা ।এটা অনেক তা সোলো পয়জন দিয়ে মারার মত।

# ভারতের মুখে মধু অন্তরে বিষ। আমার ক্ষমতা থাকলে ভারতের বিরুদ্ধে যোধ ঘোষণা করতাম।

# এরকম ঘোষণা ফারাক্কা চালুর পূবে ইন্দিরা গান্ধীও দিয়েছিলেন, কিন্তু বাসতবতা বিপরীত।

# এমন আশ্বাস বহু বার পেয়েছি।এখন আর বিশ্বাস করি না.........।


ইন্ডিয়াকে যে বাংলাদেশের মানুষ আর বিশ্বাস করে না, এ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০০
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×