আমার এই লেখাটা মূলত কোন কৃর্তপক্ষকে উদ্দেশ্য করে লেখা। সত্যিই যদি আমার এই লেখাটা কোন উর্ধ্বতন প্রশাষনিক কর্মকর্তা দেখে এবং এরুপ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাহলে আমি অনেক খুশি হব। এবং এই সাথে, আমি মনে করি যদি লেখাটা অনেক মানুষ দেখে তাহলে তারা নিজেরাও সতর্ক হতে পারবে। আমি এবার সরকারী তোলারাম কলেজ নারায়নগজ্ঞ থেকে মাস্টার্স ফাইলাল পরীক্ষা দিব। অনার্সে আমাদের সাথে আসাদ নামে একটা ছেলে ছিল। ও এমনে অনেক ভাল ছেলে ছিল । কিন্তু ও খুব ভাল করে পড়াশুনা করত না। তার মানে পড়াশুনায় ও তেমন সিরিয়াস ছিল না। আমাদের খুব ভাল বন্ধু হওয়ায় আমরা ওকে অনেক বার বলেছি ভাল করে লেখাপড়া করে অনার্স টা শেষ করতে। কিন্তু ও পড়ত না। ও ৩য় বর্ষ অনার্স পরীক্ষায় খুব খারাপ করল। পরের বছর ও আবার ৩য় বর্ষ অনার্সে মানোন্নয়ন পরী্ক্ষা দিবে বলে ঠিক করল। কিন্তু ও সে অনুপাতে পড়ালেখা করল না। কিন্তু মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার পর আমরা দেখলাম ও পরীক্ষায় খুব ভাল নম্বর পাইছে। আমরা ওকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলে ও শুধু মিটি মিটি হাসি দিত। আমরা কিছু বুঝতে পারতাম না। তারপর ৪র্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষা দেওয়ার আগ দিয়েও ও দেখি কোন পড়ালেখা করে না। কিন্তু পরীক্ষায় ভাল করবে ওর ভাব দেখেই আমরা তা বুঝতে পারতাম। আসাদ ও এমন ভাব করত যে ও সব পড়া মুখস্ত করে ফেলেছে। যাহোক আমরা পরীক্ষা শেষ করে ব্যবহারিক পরীক্ষাও শেষ করলাম। তারপর হটাৎ একদিন আমাদের এক বান্ধবীর কাছ থেকে শুনতে পেলাম। আমাদের কলেজে আসাদ এবং বেলালের নামে চিঠি আসছে। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন চিঠি আসছে ? আমাদের বান্ধবী তখন যা বলল তা হলো এমন। আমাদের কলেজে রসায়ন বিভাগে একটা মামা আছে যার নাম হলো সিরাজ মামা। সেই সিরাজ মামার নাকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লোকের সাথে মিল আছে। য়ে নাকি পরীক্ষার খাতা পরিবর্তন করে দেয়। তার মানে ওই সিরাজ মামা বোর্ডের একটা নতুন খাতা দেয় এবং আসাদ ওই খাতায় বাসায় বসে লেখে পরের দিন সিরাজ মামার হাতে দিয়ে দেয়। সিরাজ মামা আবার মিরপুরের এক লোকের হাতে সেই খাতা দিয়ে আসে। আর সেই মামা খাতার সিলাই কেটে এই নতুন খাতা ঢুকিয়ে দেয়। আর এই ভাল খাতার ফলাফল যখন শিক্ষক রা দেখে তখন অনেক বেশি বেশি নম্বর দেয় । আর আসাদ ভাল রেজাল্ট করে । কিন্তু এবার আসাদের খাতা ধরা খাইছে। পরে আসাদের কাছ থেকে সবকিছু শুনলাম। আসাদ অকপটে আমাদের কাছে সব কিছু স্বীকার করল। আসাদ আমাদের আরো বলল যে তোলারাম কলেজের অনেক ছাত্র এমন করে এবং ধরা না খেলে অনেক ভাল রেজাল্ট করে। আসাদ আরো বলল প্রতিটা খাতা এমন করতে সিরাজ মামা নাকি ৫০০০ করে টাকা নেয়। আমি কৃর্ত পক্ষ কে অনুরোধ করব। গোয়েন্দা পাঠিয়ে যেন আমার এই লেখার সত্যতা যাচাই করা হয়। এবং সিরাজ মামার মত এমন লোকদের ধরে বিচারের আওতায় আনা হয়। আর এসব চিন্তা করে যেন আর কোন ছাত্রের জীবন নিয়ে সিরাজ মামা রা খেলা না করতে পারে। আর যেন কোন ছাত্রের জীবন আসাদের মত নষ্ট না হয়। ও আসাদের এই জন্য রেজাল্ট বাতিল হয়ে গেছে। আসাদ এখন বিদেশ যাওয়ার জন্য চিন্তা করতেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




