somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘পুরাই অস্থির’ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ তরুণদের ভাষা!! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তানিম: মাম্মা, গতকালের হ্যাং আউটটা কিন্তু হেব্বি জোস ছিল!
আনিকা: আবার জিগায়!
আবীর: ইয়াপ, পুরাই ফাটাফাটি!
বিপুল: দূরে গিয়া মর তোরা! আমারে তো ডাকলি না।
তানিম: ক্যান, কালকে যখন বললাম তখন তো খুব পার্ট নিলি!

বন্ধুদের আড্ডার খণ্ডিত এই চিত্রটি কাল্পনিক। তবে তরুণদের ভাষা আজকাল এমনটাই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আড্ডায় কি ফেসবুক চ্যাটিংয়ে—নতুন ঘরানার এই শব্দগুলো তরুণদের মুখে মুখে ফিরছে। ভাষাবিদেরা বলেন, ‘ভাষা সদা পরিবর্তনশীল।’


ভাষা পরিবর্তনে তরুণেরাই যে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী, তা খুব স্পষ্ট। তরুণদের এই ভাষা নিয়ে অবশ্য ঘোর আপত্তি আছে অনেকেরই। তবে তরুণেরা কি আপত্তি মানছেন? কথা হলো নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর শিক্ষার্থী আসিফুর রহমানের সঙ্গে, ‘এই শব্দগুলো আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক। আমরা প্রতিদিন আমাদের কথায় এই শব্দগুলো ব্যবহার করছি। বয়সে যাঁরা বড়, তাঁদের কাছে তো খানিকটা বেখাপ্পা লাগবেই। কারণ, তাঁরা তো এতে অভ্যস্ত নন। যাঁরা আমাদের থেকে বড়, তাঁরা যখন আমাদের বয়সী ছিলেন তখন কিন্তু তাঁরাও এমন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছেন।’

এটা তো তরুণদের ভাবনা। বয়সে যাঁরা বড়, তারা কী ভাবছেন? ‘ভাষার একটা নিজস্ব গতি আছে। তরুণদের এই শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে। যেমন ধরুন, এখনকার তরুণেরা বলে, “ফোন দিয়ো।” ফোন কোরো না বলে তারা বলছে ফোন দিয়ো। এমনটা শুনলে মনে হয় কানে আঘাত লাগছে। তবে এটা ঠিক, ভাষা একটা স্রোতের মতো। এই স্রোতের সঙ্গে অনেক ময়লা-আবর্জনা, শ্যাওলা ভেসে আসে। যেসব শব্দ টিকে যাওয়ার তা টিকে যাবে। আর যেগুলো ভেসে যাওয়ার মতো, সেগুলো একটা সময় ভেসে যাবে। তাই আমি মনে করি, এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। সমালোচনা অনেক হবে, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাষাকে নিজের গতিতেই চলতে দিতে হবে।’ বলছিলেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।

তরুণেরা এখন কথায় কথায় বলে, ‘কুল!’ অভিধান ঘাটলে দেখা যায় এই শব্দের অর্থ ঠান্ডা! তার মানে কি আইসক্রিম খাওয়ার সময় তাঁরা এই শব্দ ব্যবহার করেন? না, গরম গরম জিলিপি মুখে পুড়েও তারা ভালোলাগার প্রকাশ করেন কুল বলে। কোনো একটা বিষয়ে দ্বিতীয়বার নিশ্চিত হওয়ার জন্য ‘তাই’? বললে উত্তরে শোনা যায়, ‘আবার জিগায়!’ কিংবা অদ্ভুত কিছু দেখে মনের অজান্তেই উচ্চারণ করেন ‘জিনিস’, ‘আজিব’, ‘পুরাই অস্থির’, ‘রকস’, ‘অসাম’ শব্দগুলো। আবার মতের মিল না হলে বলে ওঠেন, ‘খেলুম না।’ পাত্তা না দিতে চাইলে মনের ভাব প্রকাশ করেন ‘বেইল নাই’, ‘গুনলাম না’ কিংবা ‘অফ যা’ শব্দগুলো দিয়ে। খেলার মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষ শিবিরের উদ্দেশে তাঁরা বলেন, ‘ধরে দেবানি।’ এই শব্দ তরুণদের অভিধানে যোগ হয়েছে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার কল্যাণে।


বাকিগুলোর উৎপত্তি কোথায়? নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তরুণদের আড্ডাতেই যে এই শব্দগুলোর অঙ্কুরোদগ্ম—তা নিশ্চিত; তাই বলা চলে ‘আবার জিগায়’! এখন লেখাটা পড়ে আপনি কী বলবেন, ‘এইডা কিছু হইল’ নাকি ‘পুরাই অস্থির’? সিদ্ধান্ত আপনার, ‘ঠিকাসসসসে ভায়াআআ?’
তরুণেরা যেসব শব্দ ব্যবহার করছেন সেগুলোর আভিধানিক ও প্রায়োগিক অর্থ—


‘পুরাই অস্থির’ তরুণদের ভাষা
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×