somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ফেসবুকে আক্কাস"

১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আক্কাস আলী তার বন্ধুর সহযোগিতায় নতুন ফেসবুক আইডি খুলেছে।বন্ধ বলেছে সে ফেসবুকে অনেক মেয়ের সাথেই কথা বলে।বেচারা আক্কাস বাস্তবে তার কলেজের কোন মেয়ে তার দিকে চোখ দিয়ে তাকায় না।এই নিয়ে তার আফসোস। তাই এবারে চিন্তা করলো ফেসবুক আইডি খুলে মেয়েদেরকে পটাবে।ফেসবুক আইডির নাম দিল "আক্কাস আলী"....
এবারে সে দিনরাত ফেসবুকে পরে থাকতো। বেঁচে বেঁচে মেয়েদের রিকোয়েস্ট দিত।কিন্তু ব্যাপারটা এবারেও মিলছে না।কোন মেয়েই তার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে না।সে মেয়েদের প্রফাইল ঘুরে ঘুরে লাইক কমেন্ট করে সেটার রিপ্লেও করেনা।এবার সে ভিষন চিন্তিত।সমস্যা টা কোথায়? তার নাহয় চেহারা ভাল না তাই বাস্তবে কেউ তার সাথে কথা বলেনা কিন্তু ফেসবুকে তো ছবি দেয়া নাই তাইলে কেন মেয়েরা এক্সেপ্ট করেনা।বেচারা এত ঘেটেও বুঝতে পারেনা তার সমস্যাটা কোথায়...!!!
.
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেছে। ফেসবুকে যেতেই দেখলো নোটিফিকেশন। ২ মাস ফেসবুক চালাতে চালাতে অনেক কিছুই বুঝতে শিখেছে।নোটিফিকেশন এ লিখা ছিল "Tiya Hossain" accepted your friend request..... বেশ খুশি সাথে সাথে মেসেজ দিল।
-হাই।
-হ্যালো।
-কেমন আছেন?
-আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
-আমিও ভালো।
.
এরপর মেয়ে একটা লাইক দিলো। বাহ।বেশ ভালোই জমিয়ে নিয়েছে।আস্তে আস্তে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলো মেয়েটার সাথে।যে বন্ধু তাকে ফেসবুক খুলে দিছে তাকেও মেয়েটার কথা বলেনি যদি আবার সে পটিয়ে ফেলে তাই।
ইদানিং ভালোই তুমি তুমি করে কথা হয়।কেয়ার করে।ভালোই যাচ্ছে দিনকাল।
-হ্যালো টিয়া কি করো?
-হ্যা ঘুম থেকে উঠলাম তুমি?
-হ্যা ভালোই।
.
ভালোভাবেই চলছে সব।মেয়েটাকেও পটিয়ে ফেলেছে।গর্বে আক্কাসের বুক ফুলে উঠে একেবারে।এবারে সে মেয়েকে পটিয়েছে। কলেজে তার মোটামুটি ভালোই বন্ধু আছে। তার মধ্যে যে বন্ধুটি ফেসবুকে একাউন্ট খুলে দিয়েছে মানে রুহুল, আর সোহান এবং মন্টু।
.
একবার কি হলো আক্কাসের গ্রামের বাড়ি যেতে হবে সে এইবারে খুব চিন্তিত।সেখানে মোবাইলের নেট নাই ফেসবুকে আসবে কিভাবে? মেয়েটাকে তো পটিয়ে ফেলেছে এবারে না আসলে মেয়েটাকে তো আর পাবেনা।গ্রামে থাকবে ৫ দিন।৫ দিন চ্যাট না হলে শেষ।সে গ্রামে গিয়ে দিন রাত গ্রামের মাঠে পরে থাকতো আর মেয়েটার সাথে চ্যাট করতো।এভাবে গ্রামে থাকা অবস্থায় ৪ দিন চলে গেল।যেদিন সে ফিরে যাবে পড়াশুনার জন্য সেদিন আবার সকালে ফেসবুকে ঢুকলো।গিয়ে দেখলো টিয়ার আইডিতে মেসেজ দেয়া যাচ্ছেনা।বেচারা আক্কাস ভেঙ্গে পরলো।ফেরত গিয়ে রুহুলের সাথে দেখা করলো আর টিয়ার সম্পর্কে সব খুলে বললো।আর চোখে পানি আসতেছে আক্কাসের।ওইদিকে রুহুলের মাথায় হাত! রুহুল বলতেছেঃ-
-আরে ব্যাটা থাম!
-দোস্ত মাইয়াডারে অনেক কষ্টে পডাইছিলাম।
-থাম ভাই।
-কিভাবে থামি?এত কষ্টের জিনিস!
-ব্যাডা!! ওইডা মন্টুর ফেইক আইডি।
-কি কস!
-হ্যা।ওইটা মন্টুর ফেইক আইডি।আগে বললেই হইতো আমারে।আমি জানতাম!
-ভাই আমি বুঝিনাই।
.
বেচারা আক্কাস।একখান পটাইলো তাই আবার ফেইক আইডি।এরপর থেকে যতবার কলেজে যাইতো মন্টু তার দিকে ট্যারাই ট্যারাই চাইতো আর আক্কাস আফসোস করতো।কত্ত গোপন চ্যাট করেছে মন্টুর সাথে।বেচারার কান্না আসে এখনো ওইসব মনে পরলে।গ্রামে গিয়েও কত কষ্ট করে সে চ্যাট করতো।আর শেষে এই অবস্থা।আহারে!! আফসোসে আফসোসে আক্কাসের বহু দিন চলে যাচ্ছে।বুকে ধাক্কা খায় ওই কথা মনে করলেই।আর ফেসবুকে গিয়ে মেয়েদের রিকোয়েস্ট দিতে ভয় পায় এখন।এইডাও কিনা আবারো মন্টুর আইডি হয়।কি জানি!!! এই বার মন্টু না হইলেও যদি সোহানের আইডির হয়।কপালের দোষ বলা যায়না।নাহ এই জনমে আর মেয়ে পটাইতে পারবেনা।তার কপালে নাই।এইভাবেই দিনকাল যায়।আল্লাহর কাছে বলে-"আল্লাহ আমারে একটা টিয়া দেও।কিন্তু এইবারে পোলা টিয়া না মাইয়া টিয়া দিও".....
.
.
"ফেসবুকে আক্কাস"
-সিয়াম মেহরাফ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×