somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অচিরেই শুনা যাবে ২য় শ্রেনীতে পড়া একটা মেয়ে গর্ভবতী! এটাই যদি হয় ডিজিটাল তাহলে ব্যাকডেটেডই ভালো!

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে অত্যাধিক ভাইরাল একটা বিষয় হলো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রপোজ।ভবিষ্যৎ যেন আরো কাছে এগিয়ে আসছে ইদানিং।আগে সাধারনত এমন টাইপ ভালবাসা বলতেও অত্যাধিক লজ্জা লাগতো মানুষগুলোর মধ্যে।আর আজ এই দিনে বর্তমানে যুগে পা দেয়ার সাথে সাথে পুর্বকালের সেই মানুষদের অর্ধেক বয়সেই এসে শুরু হয় প্রপোজ,প্রেম, ভালবাসা।ভালবাসা কি না বুঝেই হালকা ইম্প্রেসের ভাড়ে তারা ঝুঁকে পরে ভালবাসায়।ক্লাস ৫/৬ এ থাকতেই বর্তমানে ভালবাসাকে কি তা সম্পর্কে হালকা জ্ঞান থাকে।পুরোপুরি না থাকাতেও ৭/৮ ক্লাসের মধ্যেই জড়ায় রিলেশনে।ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় ১ মাসে ব্রেক'আপ।
.
একটা মানুষ অন্য একটা মানুষকে ভালবাসতে পারে কিন্তু সেটা ঠিক তখন যখন সে লাইফের সব ধাপগুলো বুঝতে পারে।তার ধারনা থাকে ভালবাসা,ফিউচার সম্পর্কে।ক্লাস ৫/৬/৭ এ পড়া একটা মেয়ে বা একটা ছেলে কখনোই নিজের লাইফ সম্পর্কে ধারনা করতে পারেনা।আর সেই বয়সে কিনা জরিয়ে যায় প্রেমে।এটাকে অবশ্য ভালবাসা বলা যায়না।এসবে আলাদা চাহিদা থাকে একটা।হতে পারে সেটা শারীরিক বা হতে পারে আর্থিক।অনেক আছে রিলেশন করে শারীরিক সুখ লাভের আশায় এবং সেটা হয়েও যায়।ফলাফলে কম বয়সেই কিছু জানার আগেই সমাজের চোখে খারাপ হয়ে যায়।চলে যায় একটা নিষ্পাপ প্রান।৫/১০ মিনিটের সুখের আশায় মানুষ বর্তমানের প্রেম ভালবাসার বেড়াজালে আত্মহত্যা করে নিজের শরীরকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দিয়ে।তবুও তারা মনে করে সত্যিই তো ভালবাসে তাহলে দিতে সমস্যা কোথায়।সেই দেয়া থেকেই একটা মেয়ে কলঙ্কিত হয়ে থাকে সমাজের বুকে।হয়ত এর ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় আত্মহত্যা।তবুও ছেলেটা স্বাধীনভাবেই ঘুরতে পারে।ছেলেটার দোষের থেকে মেয়েটার দোষ বেশি দেখে সবাই।আর সেটাই সত্য।কেননা সে কেন ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে শরীর বিলিয়ে দিবে? ভালবাসা টিকাতে গেলে লাগে শুধু মনের মিলন,শারীরিক নয়।মুলত তারা ভালবাসার মানেও বুঝেনা সঠিকভাবে।বলা যায় ভালবাসা বলতে তারা যা বুঝে সেটা নিরক্ষরতা ছাড়া আর কিছুইনা।
.
অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা একে অন্যকে প্রপোজ করছে।রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কিস করছে,জরিয়ে ধরছে এটা দেখে বাকিরা সাহস করছে সেটা করার।আর করেও নিচ্ছে।এই নিয়ে টোটাল ৩বার ৩টি ভিডিও আসলো সামাজিক মাধ্যমে।অল্প বয়সে করে নিজেদের ক্ষতির সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক এর মানুষগুলোকে হতাশায় ফেলছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অল্প ক্লাসে পড়া ছেলে মেয়েগুলোকে।তারা মনে করছে কিস,জরিয়ে ধরা এটাই যেন কত মধুর।কত সুন্দর।এটাই যেন সব।আস্তে আস্তে দেশ ডিজিটালের দিকে আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাচ্ছে ধংসের দিকে।
.
বদলাবেই বা কিভাবে? একজনের জন্য ক্ষতি হয় ৫ জনের।একজনের ভুল সিদ্ধান্তে নষ্ট হয় অনেক জীবন।একজনের দেখাদেখি ভুল করে অনেকজন।এভাবে একজন করে অনেকজনকে আগিয়ে দিচ্ছে তারা ধংসের দিকে। তাহলে এই একজনটাকে থামাতে না পারলে ভবিষ্যৎ আর ভবিষ্যৎ থাকবেই না।
.
ডিজিটাল পুরো ধাপ সম্পন্ন হয়ার আগেই সামাজিক মাধ্যমে হয়ত ভেসে উঠবে বিশাল বিশাল কয়েকটি শিরোনাম।"২য় শ্রেনীতে পড়া একটি মেয়েকে প্রপোজ করলো ৩য় শ্রেনীর একজন ছাত্র।"...আর সেই ঘটনার পরেই শুনা যাবে -"সেই মেয়েটা কোন এক ছেলের পাল্লায় পরে শরীর বিলিয়ে দিয়ে গর্ভবতী হয়ে আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে"..... সবাই দেখবে হয়ত মেয়েটার দোষ।মেয়েটাকে বানাবে কলঙ্কিতা আর তার পরিবারকে থাকতে হবে মুখ লুকিয়ে।এটাই যদি ডিজিটাল হয় তাহলে সেই ডিজিটালের থেকে ব্যাকডেটেড থাকাটাই শ্রেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১১
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×