somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভং::ধর্মনিরপেক্ষতা!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু ভংধরা দরবেশ সবযুগে থাকে, বিভিন্ন মারফতি কথা শোনার পর এদেরকে জিলানি পীরের বংশধর ভাবতে ভুল হয়না। ইদানিং এমন কিছু দরবেশ দেখা যাচ্ছে। আমি সুশীল দরবেশদের কথা বলছি।

আমি জানি তাদেরকে হাজার প্রশ্ন করেও এই উত্তরটা পাওয়া যাবেনা যে, কিভাবে রাষ্ট্রধর্ম “ইসলাম” রেখে একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ চিন্তা করা যায়! আমি বাজি ধরে বলতে পারি এর উত্তর তাদের কাছে নেই। আমি এও বলতে পারি ওইসব বিশেষজ্ঞরা শৈশব থেকে আবার চিন্তা করেও সংবিধানে “বিসমিল্লাহ্‌র” ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না।
আমি জানি তাঁরা তা পারবেনা, পারবেনা বলেই তাঁরা চিৎকার করে ব্যর্থতা ঢাকতে চায়।

সেই সুপুরুষ গুলো সংবিধান সংশোধনের দিন সংসদের সামনে যেয়ে বন্ধুপ্রতিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি এখন তাঁরা বিভিন্ন উদ্যানে চিৎকার করছে। এই সাহস তাদের কোনদিনও হয়নি, ছিলওনা, তাদের অগ্রজরা বঙ্গ-ভঙ্গ রদের বিরুদ্ধে চিৎকার করতে পারেনি, (বরং যারা বিরোধিতা করেছিল তাদেরকে ধরে এনে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট দেয়া হয়েছিল), তাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ রোধ করতে পারেনি, তাঁরা নিজেদের নাম টাও চেঞ্জ করতে পারেনি।

কথায় কথায় ভারতের (কাগুজে) ধরমনিরেপেক্ষতাকে উদাহরণ দিতে দিতে ভুলে যান বজরং, শিবশেনা, বিজেপি ভারতেরই দল। কদিন পর তাঁরা নরেন্দ্রমোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়েও ধরমনিরেপেক্ষতার (!) উদাহরণ দিবে- আমি নিশ্চিত।

দেখতে বাঘের মত কিন্তু আসলে সেটা বাঘ নয়, আমাদের বাঘ সদৃশ মানুষ গুলো সংকটকালে এসব ভুলে যান।

ভাষা আন্দোলনে “তমুদ্দিন মজলিশ” নাম তাঁরা কেমনে দিয়েছিলেন আল্লাহই জানে, তারপর "ফাল্গুনের" জায়গায় রাতারাতি "ফেব্রুয়ারি" ! সেটাও মানা গেল, আরবি শব্দ “মুসলিম” বাদ দিয়ে উর্দু “আওয়ামি” রেখে ধর্মনিরপেক্ষ হলেন (!) বাহ দারুণ তো!

এত চিৎকার কোথায় থাকে দাদা? এখনও "পহেলা" (??? শব্দটা কি ইংরেজি!!!) বৈশাখে তাই আপনাদের দেখে অসাম্প্রদায়িক হতে শিখি।

এইসব বিড়াল তাপসীরা সব যুগে থাকে তাই বলে অমর হয়না।

বিভেদের দেয়াল তুলে আলাদা থাকা যায়, সুখী থাকা যায়না। চামচামি প্রমোদ তৈরি করে প্রজ্ঞা তৈরি করেনা।

আমার কাছে সেটায় মনে হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×