somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

ইউরোপে কিছু সময়

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এখানে বাড়িগুলো অন্য রকম লাইন দিয়ে এক দেয়ালের সাথে আরেক ঘর গড়ে উঠেছে। শক্ত মজবুত পাথরের ভীতে। শীত কাটানো জেনো জড়াজড়ি করে। কাঠের স্তুপ কয়লার ধূঁয়া চিমনি গলে আকাশে মিশে প্রতি বাড়ির ছাদ ফূরে। একই রকমের মধ্যেও, একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে ধীরে ধীরে কিছু ব্যাতিক্রম চোখ পরে। প্রকৃতির সাথে, ভাষা, খাবার এবং চালচলন, পোশাকের বৈচিত্র অল্প বিস্তর পরিবর্তন হতে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে যদিও এক মনে হয়।
প্রতিদিন ঘুরছি ইউরোপের বিভিন্ন শহর থেকে এক দেশ পেরিয়ে অন্য দেশে , ফ্রান্স, র্জামান, বেলজিয়াম, নেদারল্যাণ্ড হুটহাট যখন যেখানে ইচ্ছা চলে যাচ্ছি। এবং দেখছি রাস্তার পাশে সারিসারি উঁচু বাড়ি ছোটছোট জানলা দরজা। রাস্তা, বাড়ি ঘর সুনসান। মনে হয় যেন এখনই পায়ে পা মিলিয়ে কাঁধে বন্দুক নিয়ে মার্চ করতে করতে সৈন্যদল চলে আসবে যে কোন দিক থেকে। অথবা হঠাৎ করে রাস্তার ঢাল বেয়ে উঠে আসবে ট্যাঙ্ক লরীর বহর। আর তাদের ভয়ে লুকিয়ে আছে সমস্ত মানুষ। কী ভয়াবহ ভাবে এক একটা পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এক এক দিকে। গাছের আড়ালে মাঠে প্রচ- শীতে সময় কাটিয়েছিল। এ জীবনে আর দেখা হয়নি তাদের অনেকের, ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা পরিবারে, যুদ্ধের কারণে। অথবা হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজে পেয়েছে জীবনের বহু বছর গড়িয়ে যাওয়ার পরে।
সময়টা প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধ বা সিভিল ওয়ারের নয় তবু কেনো যে আমার কানে সৈন্যদের বুটের শব্দ বাজছে সারাক্ষণ। সুন্দর দেখতে দেখতে মানষলোকে ভাসছে মানুষের যন্ত্রনা। বোম, গোলাগুলি আতংক, কোন একসময় ঘিরে ছিল এইসব জনপদ।
আসলে ইউরোপ আমেরিকার বর্তমান ঘরবাড়ির বৈশিষ্টাই এই সুনসান নিরবতা। আমাদের দেশের মতন লোকজনের মেলা নেই। কথার গমগম শব্দ নেই। কেবল বড় শহর গুলো জমজমাট দেখা যায়, কিছু জায়গায় বাদ বাকি সবখানে দেখা যায় হুসহাস কিছু গাড়ি চলে যাচ্ছে রাস্তা পেরিয়ে। কখনো মানুষ হাঁটতে দেখা যায় না তেমন।
এখন সব কিছুই শান্ত সুন্দর। ভালোলাগছে এই সীমানার বেরী বাঁধ উঠিয়ে ওদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলা। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ঘন্টা দুই বা তিনের বেশী লাগে না। যদি বর্ডার চেকিং এর ব্যবস্থা বহাল থাকত। তবে পারাপারে সময় চলে যেত আরো কয়েক ঘণ্টা। অথচ সুযোগের সদব্যবহার করে এক দেশের মানুষ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নিত্য দিন সচ্ছন্দে। পৃথিবীর সব দেশের সব সীমানা বাঁধার পাহাড় উঠে গিয়ে পৃথিবীটা যদি মানুষের একটা দেশ হয়ে যেতো। তবে অনেক সুন্দর হতো। সংকির্ণতা, দখলদারী , বর্ণ বৈষম্যের ভেদাভেদ কমে যেতো পরবর্তি প্রজন্মে।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×