নদীকে বলেছিলাম আমাকে মনে রাখতে। অনেকদিন পরে দেখা হলো
নদী তখন বয়ে যাচ্ছে আপন মনে।
আমার কথা মনে আছে,,নদীকে ডেকে জানতে চাইলাম।
চিনিনা.. বলে চলে গেল হেসে, গেয়ে আপন মনে।
মন খারাপের বাঁশি বাজার আগে হেসে উঠলাম
প্রবীণা বার্ধক্যের আঁচলে বাঁধা এ নদী কেমনে চিনবে ।
খলবলে যৌবনে যার সাথে কাটিয়েছি বেলা, সে তো চলে গেছে বহু দূরে।
প্রান্তিক পথ ঘিরে ছিল অনেক দূর।
তার সাথে হেঁটে হেঁটে শেষে বসে পরলাম পাহাড়ের কুলে।
ক্লান্তি ভেঙ্গে জেগে দেখি পাখিরা ঘিরে আছে আমায়।
সবুজ টিয়ে সযত্নে জানতে চাইল কি নাম তোমার?
বলতে গিয়ে নাম খুঁজে পেলাম না। শুধু একটা শব্দ মনে পরল "মানুষ"।
ডানা ঝাপটায়ে কলকাকলি শব্দ তুলে উড়ে গেল পাখি মহা সুখে; অজানায়।
ঠায় একাকী নিঝুম বাতাসের সাথে বসে ভাবছিলাম এখানে কেন আমি?
বৃক্ষ, লতা, জমিন, নদী পাহাড়ের সাথে অনাদি আমি
পাহাড়ের গিরিখাদে ঝর্না ও বৃক্ষের ঘন জড়াজড়ি ভালোবাসার গান শুনতে শুনতে
যখন ভাবছি কোথায় যাব ?
তখন উপর থেকে ডেকে আকাশ বলল, আমি তোমাকে চিনি।
তুমি যেদিকে যাও আমি পাহারায় থাকি।
একটাই আকাশ চারপাশ ঢেকে রাখি আমার আর কোন নাম নেই।
ভাবলাম আমিও মানুষ আমার আর কোন পরিচয় নেই,একটা জমিন জুড়ে পথ চলি....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪১