somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

মেহদীমাখা হাত বা ইবাদত বা মানবতা

২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারারাত ইবাদত করে ফজরের নামাজের পর ঘুম। কয়েক ঘন্টা ঘুম দিয়ে, জেগে উঠে মেহদী মাখার আয়োজন। শুধু নিজের হাতে দিলে হবে না। মেহদী পরাতে হবে অনেকের হাতে।
সকালেই কাজের লোকেরা ঝুড়ি ভর্তি মেহদী তুলে কিছু মিহিন করে বেটে সাজিয়ে রাখে আমাদের জন্য।
আর শহরের মানুষ অনেকে আসে মেহদী পাতা নেয়ার জন্য। ঝুড়ি ভর্তি তুলে রাখা মেহদী মুঠো মুঠো তুলে দেওয়া হয় যারা মাখবে বলে মেহদী পাতা নিতে আসে তাদের। মায়ের কড়া নিষেধ বাইরের মানুষ যেন গাছে পাতা তুলতে গিয়ে গাছ ভেঙ্গে নষ্ট না করে। তাই ঘরের মানুষরাই পাতা তুলে রাখে সকাল সকাল।
বছরে এই একবারই মেহদী গাছ ঘিরে উৎসব আয়োজন হয়। এছাড়া কারো বাড়িতে বিয়ে উৎসবের আয়োজন হলেও মেহদী নিতে আসত মানুষ। মেহদী সবাই মাখতে ভালোবাসে কিন্তু বাড়িতে মেহদী গাছ অনেকেই রাখতে চায় না। মেহদী গাছ বাড়িতে থাকা নাকি অমঙ্গলের চিহ্ন।
আমাদের বাড়ির মেহদী গাছ দেখে ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছি। কিন্তু তার কারণে অমঙ্গল কিছু কখনো ঘটেনি। বরং এই যে মানুষ মেহদীপাতা নেয়ার জন্যই অনেকে আমাদের বাড়িতে আসতো এটাও বেশ উপভোগ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছিল।
যে পাতা বেটে হাতে রঙ মাখা যায়। কয়েক ঘণ্টা শরীরে রাখা যায়। অনেকে চুলে দাড়িতেও মেহদী বাটা মাখে চুল দাড়ি রঙ করতে। সে পাতা বা সে গাছের কি দোষ হাতে পারে বাড়িতে না রাখার জন্য তার কোন যুক্তি পাই না।
হাতের পাতায় মাখা মেহদীর রঙ, যদি কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত থাকে তবে দারুণ সোয়াব।
কোন রকমে নখের কোনায়, কখনো কখনো মেহদীর রঙ, কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত রাখা সম্ভব হতো। কিন্তু পাতার রঙ দশদিনের বেশি হলে পনেরদিন থাকত হাতের পাতায় এরপর মধ্যেই উঠে যেত।
এই মেহদী মাখার সোয়াবের সাথে হাদিস কিতাব ধর্মের সম্পর্ক কতটা নিবিড় আসল বিষয় কখনো জানার উপায় নেই।
যে শবে বরাতের রাতের বিশেষ ভূমিকা জেনে বড় হওয়া। প্রতি বছর রাত না ঘুমিয়ে ইবাদতে মগ্ন থেকে ভোরে সবার সাথে হিসাব করা, কে কত বেশি রাকাত নামাজ পরেছে আর কে কতটা তসবি শেষ করেছে, কত পাড়া পর্যন্ত কোরানের সুরা পড়া হয়েছে। আবার দিনের বেলা রোজা রাখা। আর বাড়ি বাড়ি এবং মসজিদে পায়েস চালের রুটি, হালুয়া বিতরন। এসবই উৎসব মুখর বিষয় ছিল।
দশ বিশ পনেরেটা নয় হাজার বা তারচেয়ে বেশি রুটি বানানো। বড় বড় ঝুড়ি ভর্তি করে নানা ভাগে সে সব রুটি রাখা। কারো যেন খেয়ে অতৃপ্তি না হয় সে জন্য যত খুশি খাওয়া সাথে পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে আত্মিয় স্বজনের বাড়িতে, মসজিদে এবং ফকির মিসকিনদের মধ্যে বিলানো। কেউ সেদিন খালি হাতে ফিরবে না। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ মা কি ভাবে সামাল দিতেন ভেবে অবাক হই। সেদিনগুলোতে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকত মনের মধ্যে। আর শবেবরাতের রুটি হালুয়ার স্বাদ সেদিন ছাড়া আর কখনো তেমন হয় না।
শুধু রুটি হালুয়া বানানো না। আরো আগে থেকে সারা বাড়ি পরিচ্ছন্ন, বিছানা বালিশ থেকে কাপড় ঘরবাড়ি ধুয়ামুছার বিশাল কর্ম ঠিক সময় মতন আগের দিনই শেষ হয়ে যেত। সারা বাড়ি বাড়তি চকচকে ভাব বিরাজ করত। সাথে থাকত চাল কুটা রুটি বানোনোর জন্য। কোন কিছুই ইনিসটেন্ট ছিল না। সব কিছু তৈরি করা হতো বাড়িতে নানা পর্যায়ে। অনেক দুধ রাখা তা জাল করে ঠিক রাখা। কাজের উপর কাজ। এই ব্যস্ততার ভিতর ছিল এক ধরনের উৎসবমুখরতা। মা বাবাকে সব সময় এই কাজগুলো দারুণ উৎসাহে করতে দেখেছি। হাসি হাসি মুখ। কোন কিছু বাদ পরে গেলে তাড়াতাড়ি সে জিনিস কিনে আনার ব্যাবস্থা করা। বাবার কাজ ছিল, সব যোগান দেয়া, ব্যাংকে যাওয়া অনেক খুচরো নিয়ে আসা। থরে থরে টেবিলের উপর সে সব টাকা রাখা। এ সবই গরিবদের মধ্যে বিলানো হবে। বাচ্চাদের খুচরো বড়দের একটাকা পাঁচটাকা দশটাকা। নানা রকম হিসাবে বিলানো হতো।
সারাদিন অনেক খাবার বানিয়ে বিলিয়ে সারা রাত ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন মা।
মায়ের কোরআন তেলাওয়াত খুবই আকর্ষনিয় ছিল। আগারবাতির ঘ্রাণ গোলাপজলের সুবাস ছড়িয়ে মোমের আলোয় জায়নামাজে বসে মা দীর্ঘ সময় ধরে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। সুমধুর সে ধ্বনীতে অপার্থিব মনে হতো সব কিছু।মায়ের ইবাদতের ভঙ্গিতে আলাদারকম পবিত্রতার এক সৌন্দর্য লেগে থাকত।
বাড়িতে সবাই রাতের বেলা ইবাদতে মগ্ন। কারো ঘুম নেই। কেউ ঘুমিয়ে পরলে উঠে আবার ইবাদতে বসে যাচ্ছে। কিছু সময় হারিয়ে গেলো বলে আফসোস করছে। কেন যে ঘুমালাম। আমরা বোনরা মায়ের ধুয়ে তুলে রাখা সাদা শাড়ি বের করে পরছি। বাবা ভাই টুপি পাঞ্জাবি পাজামা পরে কখনো মসজিদে যাচ্ছেন কখনো বাড়িতেই নামাজ পরছেন। আব্বা জোড়ে জোড়ে সুরা পরছেন। শব্দগুলো অন্যরকম হয়ে গেঁথে যেত বুকের ভিতর। বাবা খুব ভালো আবৃত্তি করতেন। জোড়ে কখনো কথা বলতেন না। কিন্তু নামাজের মাঝে জোড়ে জোড়ে সুরা পড়া অন্যরকম ভালোলাগত। খুব ছোটবেলায় বাবার সাথে আমিও মসজিদে যেতাম শবেবরাতের রাতে। সবার সাথে নামাজ পড়তাম।
সারারাত মানুষের চলাচল রাস্তায়, মসজিদে যাওয়া আসা চলছে। বাচ্চারা হল্লা করছে। অনেকে রাতের বেলা চলে আসছেন বাসায় মসজিদ থেকে, সেদিন গভীর রাতে কেউ বাড়িতে এলে অস্বাভাবিক নয়। তাদের রুটি পায়েস হালুয়া খেতে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনের ইবাদতের চেয়ে সে দিনটা বিশেষ তাৎপর্যময় হয়ে উঠত সব কিছু মিলিয়ে।
অনেক বছর ধরে এমন একটা পরিবেশে থেকে এটা জীবনের অঙ্গ এই ভাবে সব সময় পালন করতে হবে, এমন ধারনা বদ্ধমূল হয়ে উঠে। অথচ এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম পালনের সাথে অনেকটা প্রচলিত সামাজিকতা মিশে ছিল। যতটুকু অভিভাবকরা করেছেন তাদের জানা মতন সঠিক এবং পবিত্রতার সাথে আন্তরিকতায় পালন করেছেন। শুধু নিজে একা নয় সবাই মিলে মিশে।
ধর্মপালনের চেয়ে আনুসাঙ্গিক বিষয় মিলে দিনটাকে রাতটাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে।
এক সময় মনে আছে হলে থাকি। নিজের মতন শবে বরাতের ইবাদত করে যাচ্ছি। কোন রকম হালুয়া রুটির সমাবেশ নেই। সারা রাত জেগে থাকার পর সকাল বেলা ঘুমিয়েছি গভীর।
হঠাৎ ডাকাডাকি শুনে গভীর ঘুমের ভিতর থেকে জেগে উঠলাম। ভিজিটার এসেছেন জানলাম। হলের গেইটে গিয়ে দেখা হলো খালা খালুর সাথে । অনেক পদের হালুয়া রুটি সাজিয়ে বিশাল এক বক্স নিয়ে তারা এসেছেন আমাকে দিয়ে যেতে খাবার।
কী ভালোলাগল। শবে বরাতের হালুয়া রুটির স্বাদ অপ্রত্যাশিত ভাবে পেয়ে।
আমার আগের প্রজন্মের প্রত্যেকের মনে বিষয়টি একই ভাবে আঁকা। খালার ভালোলাগেনি একই শহরে থেকেও আমি সব খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এই বিষয়টি তাই সকাল না হতেই ছুটে এসেছেন।
ঠিক কি ভাবে বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে এই শবে বরাত বিষয়টি প্রচলিত হয়েছিল জানি না। তবে এর সামাজিক মূল্যবোধটা সুন্দর ছিল। পরিচ্ছন্নতা, খাবার বিলানো, ইবাদত করা, উদারতার সব সুন্দর বিষয়গুলো একসাথে ছিল।
এখন জানা গেল শবে বরাত বিষয়টি আরবরা পালন করে না। ধর্মে নেই। বাঙালীরা শুধু শুধু রাত জেগে ধর্ম পালন করে। সুন্দর বিষয়টা পালন করা যেতেই পারে মানুষের কল্যানে। অবাঞ্চিত ওয়াজ নসিয়তে যাওয়ার চেয়ে।
শবেবরতের রাতে ভরা পূর্ণিমার আলোয় ঐশ্বরিক রূপ পেত পৃথিবী। গভীর রাতে অজু করতে পুকুরে গেলে ভয় লাগত না। বরং নানা ররকম মিথ মনে করে গাছদের সেজদা দেয়া বা ঝরে পরা পবিত্রঅআকাশের অশ্রু জলে সিক্ত হওয়ার অপেক্ষায় কত সময় একা দাঁড়িয়ে থেকেছি রাতের অচেনা সময়ে উঠানে পুকুর পাড়ে।
যা কিছু শুরু হয়েছিল ধর্মের নামেই হোক বা যে কারণেই হোক ভালো কিছু হওয়ার তাগিতেই সেটা শুরু হয়েছিল। যারমধ্যে সামাজিক বন্ধন, মানুষকে সাহায্য এবং পূণ্য সঞ্চয়ের কামনায় পাপ থেকে দূরে থাকারও প্রবনতা তৈরি হয়েছিল মানুষের মনে। সময় হয়তো মানুষের জন্য নানারকম ভাবে অনেক কিছু নিয়ে আসে। এ সময়ে অনেকে ঘরে বসে নেই। রাস্তার পশু থেকে খাদ্যহীন মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন। এও এক ধরনের শবেবরাতের সেবা ইবাদত। হয় তো মহামারী চলে যাবে; মানুষ তবু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাখবে মানুষের জন্য, আবারো ঠিক ভাবে জীবন যাপন শুরু করা পর্যন্ত। হয় তো কারো অভ্যাস হয়ে যাবে এই সাহায্যের প্রবণতা। অনেকর মনে হতে পারে বাড়তি কেনাকাটার চেয়ে মানুষের জন্য কিছু দেয়াটাই উত্তম।
অন্যরকম তেমন উৎসব মুখর আয়োজনে ভালোবাসায় জড়িয়ে যাবে মানবতা।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৩
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×