- আগামীকাল আমার মৃত্যুবার্ষিকী, মনে আছে তোমার?
জ্বী স্যার, তাই তো লিখতে বসলাম।
- হুম, দেশের অবস্থা কি?
তেমন ভালো না স্যার, শুধু হরতাল আর হরতাল।
- ভাগ্য ভালো আগামীকাল শুক্রবার। নাহয় আমার মৃত্যুবার্ষিকীতেও...
স্যার, শুক্রবারেও হরতাল ছিল।
- বলো কি? দেশ তো উল্টে গেছে!
দেশটা উল্টানোই ছিল স্যার।
- হুম, আচ্ছা কোন একটা ছেলের লেখা আমার নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সে কেমন আছে?
জ্বী স্যার ভালো আছে।
- তাকে বলবে, তার জন্যে বুকভরা হতাশা জানিয়েছি। আমার নিজের লেখাই আরেকজনের নামে চলে যায়!
স্যার, এটা খুবই খারাপ কাজ।
- ঠিক বলেছো। তা, হিমু আর মিসির আলীর খবর কি?
জানি না স্যার, আপনি যাওয়ার পর থেকে তাদের আর খবর নেওয়া হয়নি..
- পূর্ণিমা কখন জানো?
জ্বী স্যার, ২২শে জুলাই। আষাঢ়ী পুর্ণিমা।
- ২২ তারিখে এপারে আসলে ভালো হতো, চাঁদনি পসর রাতে।
স্যার, আপনার ওপারে যাওয়াটাই উচিৎ হয়নি। স্যার একটা কথা বলি?
- বলো।
স্যার ময়ূরাক্ষী শুকিয়ে গেছে।
- ব্যাপার না, পদ্মা কোনদিন শুকিয়ে যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করো।
ঠিক আছে স্যার। স্যার আরেকটা কথা, আপনার জন্যে মন কাঁদলে কি করবো?
- আকাশে তাকাবে, বৃষ্টি হলে বৃষ্টিতে ভিজবে। জোঁছনায় মাখামাখি হবে, তারার সাথে কথা বলবে। হিমু হবে, শুভ্র হবে। তাদের ছোঁয়ায় আমাকে পাবে। এখন আসি..
স্যার..স্যার.. শুনছেন?
আমি তার কথা মতো জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশে তাকালাম। সেখানে চাঁদ নেই, তারাও নেই। হিমু নেই, শুভ্র নেই। কোথাও কেউ নেই...