somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাগরিক অধিকার সুরক্ষার জন্য আইন না আইনরক্ষার জন্য নাগরিক অধিকার

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ একটা স্বাধীন ,সার্বভৌম রাষ্ট্র । এই রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারি সকল জনগনই দেশের নাগরিক । এ দেশের নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য আছে সংবিধান। সংবিধান অনুসারে আছে জাতীয় সংসদ ও সংসদীয় পদ্ধতির সরকার। আছে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। জাতীয় সংসদে সরকার জনকল্যাণ মুলক বিভিন্ন আইন বিলের মাধ্যমে পাস করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় খুশী হলে জনগন পুনঃ নির্বাচিত করে। আর নাখোশ হলে অন্য দলকে ভোট দেয় । এটাই গনতন্ত্র চর্চার স্বাভাবিক নিয়ম। যদিও আমাদের দেশে এখনও গনতন্ত্র ক্ষমতার খোলস থেকে মুক্তি পায়নি । রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ইচ্ছের বৃত্তে গনতন্ত্র নিরাপদে আসন পেতে বসেছে। আর আইন গনতন্ত্রের মতই ক্ষমতাসীনদের সুক্ষ ও দক্ষ নজর দারীতে সঠিক দায়িত্ব পালন করছে বলে অনেকের অভিমত। গনতন্ত্রের এলিট খোলসের বাইরে যে কোটি কোটি সাধারন মানুষ যাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রতিদিন সংসার নির্বাহের খরচাপাতি আয় রোজগার করে বাসায় স্ত্রী সন্তানদের কাছে ফিরতে হয় । এর জন্য সময় অসময় , আইন ,হরতাল- অবোরোধ কিছুই মেনে চলা ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয় না। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ- হরতল কর্মসুচি চলাকালে সাধারন মানুষ রুটি রুজির তাগিদে ককটেল, পেট্রোল বোমার ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে।এদের মধ্যে সাইকেল ,মোটর সাইকেল, রিক্সা, ইঞ্জিন ভ্যান ,ইজিবাইক ,প্রাইভেট কার , বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন ও তাদের চালক এবং সহযোগীরাও আছে । এর মধ্যে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত সব ধরনের যান বাহন আছে। অবরোধে ২০ দলীয় নেতাদের নির্দেশে অনুগত দলীয় নেতা কর্মীরা সারা দেশে চোরা- গোপ্তা পেট্রোল বোমা ,ককটেল মেরে গাড়ী ও নিরীহ যাত্রীদের পুড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে । এই সুনির্দৃষ্ট কাজটি কে বা কারা করছে এটা সুস্পষ্ট। তাদের ঘটনা স্থলে পৌছনোর আগে প্রতিহত করা কোন অসম্ভব কাজ হতে পারে না। একটা অতি বেকারত্বের দেশে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র একক এবং মিলিত ভাবে সহজে দ্রুত যান্ত্রিক সুবিধা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কাজ মিটাতে যেখানে মোটর সাইকেল জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল ।
সেখানে পেট্রোল বোমা আক্রমন ঠেকাতে হঠাৎ পিছনে সাধারন যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা আসায় দেশে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবারের স্ত্রী সন্তান ছাড়া অনেক সদস্য আছে যারা বাড়ীর মোটর সাইকেলে চলাফেরা করেন। অনেক আত্মীয় স্বজন আছেন,অনেক প্রতিষ্ঠানে সহ কর্মী আছেন যারা নিয়মিত সঠিক সময়ে কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য শেয়ার করে খরচ দিয়ে দীর্ঘদিন এক বা একাধিক মোটর সাইকেল ব্যবহারকরে আসছেন । এতে সারা মাসে বেশ কিছু খরচ বাচে বলে অনেকে জানিয়েছেন। সীমিত আয়ের মানুষদের গ্রামে গঞ্জে দ্রুত চলাচলে মোটর সাইকেল এখন আর বিলাসিতা নয় । একান্ত প্রয়োজনীয় পরিবহনে পরিনত হয়েছে।একটা বৃহৎ বেকার তরুনশ্রেনী মোটর সাইকেল্ কে জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন হিসেবে এখন ব্যবহার করছে। অপরাধীদের ধরে সনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক আমরা চাই। আমরা আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই। তবে সেটা দেশে বিদ্যমান আইনের আওতায় । নিরপরাধ সাধারন মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের ওপরে কোন প্রকার আইনি হস্তক্ষেপ স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে। তাই কোন আইন হোক নাগরিক অধিকার সুরক্ষার জন্য , আইন রক্ষার জন্য নাগরিক যেন বিতর্কিত না হয়।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×