"এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।" -বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর কথা মিথ্যা হতে পারে না। স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছর পার হয়ে গেলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ আল বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আরেকটি বিজয় অর্জিত হয়েছে।
তবে কামারুজ্জামানের শাস্তিটা তার অপরাধের তুলনায় অনেক কম হয়ে গেছে। এমন যদি হত যে তার হাত-পা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিধবাপল্লীতে , যে পল্লীর প্রায় প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে এই কামারুজ্জামানের প্রতি ঘৃনা আর ঘৃনা। চুল কেটে মাথায় গরম আলকাতরা মাখিয়ে তাকে উপস্থিত করা হল বিধবাপল্লীর মায়েদের সামনে। তারপর সেই মায়েরা কামারুজ্জামানের মুখের দিকে নিক্ষেপ করেছে চুয়াল্লিশ বছর ধরে জমিয়ে রাখা সব রাগ ক্ষোভ আর ঘৃনাভরা থুতুর বৃষ্টি। সবশেষে কামরুজ্জামানের পরিবার সহ সমস্ত জাতির সামনে নিয়ে এনে এই নরপিচাশের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হল...
জানি, এমনতা কখনো সম্ভব না। আইন চলবে আইনের গতিতে। তবে এত বছর পর এসে যে রাজাকারদের বিচার করতে পারছি, তাই তো অনেক। এই তো কয়েকবছর আগেও যখন রাজাকারেরা কেবিনেটে ছিল, গাড়িতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরে বেঁড়াত, তখন শুধুমাত্র চেয়ে দেখা ছাড়া আর কি কিছু করতে পেরেছিলেন? কিছু কি করার ছিল? মনে আছে কামারুজ্জামানের পুত্রের সেই দম্ভোক্তিমূলক কথা? তখন কিছুই করার ছিল, কিন্তু এখন অনেক কিছুই করার আছে। ট্রামকার্ড আমাদের হাতে। কাদের মোল্লার পর আমরা আজ আরো এক রাজাকার কামারুজ্জামানের শাস্তি দিতে পেরেছি। এটাই তো শান্তি...
আজ আর কোন কথা না... শুধু চিতকার দিয়ে বলেন... জয় বাংলা... জয় বঙ্গবন্ধু। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১৪