গতকাল বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি পাশের রাস্তা দিয়ে শত শত মাইক্রোবাস,কার,মোটর সাইকেলসহ এক মিছিল যাচ্ছে। গাড়ীতে থাকা আরোহীদের অধিকাংশই তরুণ, মাথায় পট্টি বাধা। গাড়ীর জানালা খুলে অর্থেক শরীর বের করে রেখছে বাকী অর্ধেক ভেতরে। জানাল দিয়ে বের করা রাখা শরীরে অংশে সবার হাতে সবুজ রঙ্গের ছোট-বড় পতাকা নাড়াচ্ছে। আমি মজা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। এরা সবাই মহানবী(স) এর সৈনিক, তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে আনন্দ(?) মিছিল করছে। আমি নিশ্চিত হয়েই বলতে পারি। মিছিলকারী এইসব তরুণদের ৯৫ ভাগই নবীজীর প্রদর্শিত সুন্নাহর ধারে কাছেও নেই। মুছলিমদের জন্য আবশ্য পালনীয় ধর্মীয় ফরজ কাজগুলোও ঠিকমত করে না। অথচ বছরে এই দিনটি এলে নবীজীর প্রতি দরদ দেখাতে গাড়র বহর নিয়ে মিছিল করতে বের হয়ে পরে।
আমি যদি দশ বছর আগে ফিরে তাঁকাই, তাহলে দেখব তখন এধরনের জসনে জুলুশ কেবল ঢাকার কিছু কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠি বের করত। বিগত সময়গুলোতে দিন যত গড়িয়েছে এই জুলুশের ব্যাপ্তি ও সীমা ততই বেড়েছে। এই জুলসের ঢেউ এখন রাজধানী ছেড়ে অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এর যৌক্তিকতার পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক রয়েছে।
সমাজের চারিদিকে কোণায় কোণায় মুছলিম নাম ধারী কিছু লোক ঢুকে গিয়েছে এরা বিভিন্ন মত-পথের কথা বলে বলে একদিকে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করছে আরেক দিকে এদের অনৈতিক এবং ধর্মীয় চেতনা পরিপন্থী কাজকর্মের জন্য সমাজে অসহিষ্ণুতা, অবিশ্বাষ, হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এ কাজগুলো মহানবীর আদর্শ নয়। ইসলামের পথ নয়। এদের অপপ্রচার এর কারণে মানুষ জনও এখন বিভ্রান্তিতে ভুগছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, তথাকথিত নবী প্রেমে মশগুল এই সব ভেকধারী বান্দাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি সমাজের চারিদিকে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা দেখে আমি আমার নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৮