ছবিঃ কিংশুক পার্থ
যেদিন এই ধরণীতে এসেছিলাম, সেইথেকে প্রতিটা মূহূর্তে বাবা- মা আগলে রেখে চলেছেন।
কেজি, ওয়ান, টু, থ্রি, প্রাইমারী , সেকেন্ডারি, হায়ার সেকেন্ডারি আর এরপর শুরু হয় ভবিতব্য পেশার ছক।
এস.এস.সি আর এইচ.এস.সির পর জীবনের নিষ্ঠুর একটা দিক দেখার ভাগ্য অনেকেরই হয়।
এডমিশন মৌসুমে অনেক ক্যান্ডিডেটই মানসিক ভাবেএকা হয়ে যায়। ব্যতিক্রম ছিলাম না আমি!
তীরে এসে তরী ডুবে যাচ্ছে, আবার ডুবন্ত তরীকে পথে নেবার ব্যাকুল প্রচেষ্টা, যেন দিকহীন এক নাবিক!
যেন যুদ্ধরত এক ক্লান্ত সৈনিক!
আমি তখন একা ছিলাম, একদম খুব একা!
ঠিক সেই সময় তুমি তোমার শক্ত হাতে, আমার দুর্বল হাত ধরেছিলে!
তুমি যেন জানতে, আমি সেই ট্রেন পাগলি, ছুটন্ত ট্রেন দেখলেই যে কিনা অপলক চেয়ে থাকে।
তুমি হলে, আমার জীবনের শিশির ভেজা কচি সবুজ ঘাস।
তুমি যেন, অই দিগন্তবিস্তৃত নীল আকাশ, উদ্ভাসিত রক্তিম সুর্যনগর,
তুমি এক পাহাড়িয়া বুনো ফুল,
তুমি নিষ্পাপ শিশুর মিষ্টি কলতান,
তুমি প্রেয়সীর ডায়েরিতে রাখা এক মুঠো বাসি গোলাপ ,
তুমি আমার ভালবাসার নীল চিঠি,
তুমি আমার প্রাণপ্রিয় মিষ্টি চবি!
( চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ৫০ বছর পূর্তি হল গতকাল। শুভ হোক তার আগামীর পথচলা।)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮