এককালে উপমহাদেশে খ্রিস্টান পাদ্রীদের সাথে বহস হতো নাকি অনেক এবং
ফয়সালা হত কিতাবভিত্তিক জ্ঞানের সাথে সাথে যুক্তিতর্ক দিয়ে।
আম লোকজন খুব আগ্রহ সহকারে এইসব জমায়েতে বসত কে জিতে সেটা দেখার আশায়,
সহজ কথার মারপ্যাচে ফেলে ইসলাম কে সত্য ধর্ম হিসেবে মনে স্থায়ী ভিত করে নেবার আশায়।
এমনই এক বহসের গল্প শুনছিলাম ডঃ খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের লেকচার থেকে।
মুসলমানদের মধ্যে হই-রই পড়ে গেল অমুক তারিখে, অমুক স্থানে বাহাস হবে খ্রিস্টান পাদ্রী ফান্ডার এর সাথে।
সবাই দলে দলে বহস দেখতে আসল।
দর্শকদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান যেহেতু মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চল।
মঞ্চে উপস্থিত পাদ্রী ও রহমাতুল্লাহ কিরানবী রহ.।
মুসলামানদের পক্ষে খ্রিষ্টানদের মোকাবিলায় নেমেছিলেন তাদের মধ্যে হানাফি আলিম রহমাতুল্লাহ কিরানবী রহ. অন্যতম।
পাদ্রী জিজ্ঞাসা করলেন কে আগে শুরু করবে?
হযরত উত্তর দিলেন, “দেখেন যেহেতু অতিথীদের সম্মান করা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি তাই, আপনিই শুরু করুন প্রথমে।
পাদ্রী ব্যাপক খুশি হয়ে উঠে গিয়ে সবার সামনে বললেন,
“দেখেন আপনারা বলে মুহাম্মদ ﷺ আপনাদের নবী, তাকে আল্লাহ খুবেই ভালোবাসেন!!!
তো তার নাতী যখন হুসাইন যখন কারবালাতে শহীদ হল তখন উনিতো কিছুই করতে পারেন নাই নবী হয়েও নাতীর জন্য,
কোথায় ছিলেন তখন উনি!!!!”
মঞ্চে উপস্থিত রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ চুপ।
তার এই চুপ থাকা দেখে ফান্ডার ব্যাপক খুশি হয়ে মঞ্চের টেবিলের উপর পা রেখে বললেন আরো কয়েকবার,
“কই ছিলেন উনি বলেন, বলেন!!!”
উপস্থিত মুসলমান চুপ হয়ে গেল পাদ্রীর এমন কঠিন ভাব এবং রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ এর চুপ থাকা দেখে।
নিরাশ হয়ে তাদের ধরনা এবারেই বহসে বুঝি তাদের হারতেই হবে!!!!
কিছুক্ষন পর রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ নিঃশব্দ পরিবেশ ভেঙ্গে বললেন,
“ জি, উনি আল্লাহর কাছেই ছিলেন...”
উপস্থিত জনতা নড়ে চড়ে বসল।
পাদ্রী আবার বলল, “আল্লাহর কাছে ছিলেন!! তো আল্লাহর কাছে বলতে পারলেন না যে আমার নাতীকে বাঁচাও????”
রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ উত্তর দিলেন “তিনি বলেছিলেন......”
পাদ্রী ফান্ডারঃ “বলেছিলেন!! তো শুনে আল্লাহ কি বলল???”
রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ – “মুহাম্মদ ﷺ এর কথা শুনে আল্লাহ কেঁদেছিলেন...”
পাদ্রী তো খেপে একাকার।
“কি বলেন!!! আল্লাহ কেঁদেছিলেন!!! আল্লাহ কি কখনো কাঁদতে পারে!!! কি বাজে কথা বলেন আপনি??”
রহমতুল্লাহ কিরানবী রহঃ উত্তর দিলেন,
“হা উনি কেঁদেছিলেন আর কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, কি বলব মুহাম্মদ তোমার নাতীর কথা!
আমার আপন ছেলেকেই ক্রুশ বিদ্ধ করে লোকজন মেরে ফেলেছিল, তাকেই বাচাতে পারলাম না......”
ফলাফল স্টেজ থেকে পাদ্রী ফান্ডারের পলায়ন।
( লেখাটা ফেসবুক থেকে নেয়া,,,,)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১১