দাবিটা মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের। দাবিটা শিক্ষাকে সার্বজনীন করার। দাবিটা অপবাদ ঘুচানোর। মৌলিক চাহিদা মানে যে সকল চাহিদা দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমানভাবে নিশ্চিত করা একটা দেশের সরকারের প্রধান দায়িত্ব। নিরাপত্তা, বাড়তি উন্নয়ন এইসব পরের স্টেপ। মৌলিক চাহিদা ৫ টা। ১) শিক্ষা ২)বস্ত্র ৩) বাসস্থান ৪) চিকিৎসা ৫) খাদ্য । খাদ্যের উপর ভ্যাট দিয়ে আসছি আমরা আজ অনেক কাল। ১৫% ভ্যাট রেস্টুরেন্টগুলোতে। রেস্টুরেন্ট বাদ দিন। কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের বাজারে হাত ছোঁয়ানো মুশকিল। এতো উত্তাপ। খালি "ভ্যাট" নাম যোগ করা বাকি আছে ,নাহলে তো খুব একটা পার্থক্য নেই। বাড়তি টাকার চাহিদা সেখানেও। মার্কেটগুলোতে জিনিসপত্র কিনতে গেলে বিভিন্ন পারসেন্টেজের ভ্যাট লাগানো ট্যাগ চোখে পড়ে। বাসাভাড়া আকাশ ছোঁয়া। বাড়িওয়ালারা ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়ায়। এই ব্যাপারে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই, কোন পদক্ষেপ নেই। শিক্ষার উপরও ভ্যাট বসালো! দেশে ধরি ছাত্র সংখ্যা ১০০। সরকারিতে সিট আছে ৪০। বাকি ৬০ কই যাবে? পড়াশোনা বন্ধ করে গুন্ডা হবে? চাঁদাবাজি করবে? একটা খনার বচন আছে, "রাঁই পা ধরে সালাম করলে রাঁই বলে 'আমার মতো হও !" [[রাঁই মানে বিধবা]] সরকারের মন্ত্রীদেরও সেই দশা। এরা চায় ছেলেমেয়ে পড়াশোনা না করে মূর্খ হোক।
মৌলিক চাহিদা ৫ টার মধ্যে ৪ টাই গেলো ভ্যাট আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে। চিকিৎসার উপর ভ্যাট বাকি আছে খালি। সেটাও দিয়ে দেয়া হোক।
এই দাবি মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের দাবি। এই অধিকার যৌক্তিক দাবি। এখানে উচিত প্রাইভেট, পাবলিক সব এক হয়ে আন্দোলন করা। এখানে উচিত দেশের সুশীল সমাজের এক হয়ে মাঠে নামা, এখানে উচিত সকল দলের, গোষ্ঠীর মানুষের এক হওয়া। আমরা স্কুল-কলেজে একসাথে পড়েছি। ভার্সিটি লাইফে হয়তো কেউ প্রাইভেট আর কেউ পাবলিকে। জব লাইফে গিয়ে আবার প্রাইভেট সেক্টরেই ঢুকতে হবে। কারণ সরকারের অতো মুরোদ নেই সকল প্রার্থীকে সরকারি চাকরি দেয়। প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতেও পাবলিকের টিচাররাই এসে পড়ান। আমার ভার্সিটির অনেক শিক্ষক ঢাকা ভার্সিটির। অথচ আমি প্রাইভেটএ পড়ি। তো? আপাত গরিমা নিয়ে লাভ কি? আমরা সবাই বন্ধু।স্কুল কলেজে একই সাথে পড়েছি। সরকারের বন্টন অক্ষমতায় সবার পাবলিকে ভর্তি হওয়া হয়নি। ব্যাস, এতটুকুই। যৌক্তিক দাবিতে সবার এক হয়ে রাস্তায় নামা উচিত।
আজ মৌলিক অধিকারের জন্য সবার এক হওয়া উচিত। এটা ছাত্র অধিকার। এটা নাগরিক অধিকার। এটা মানবিক অধিকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪