somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

আগস্ট বড় বেদনাদায়ক। অনেক কথা মনে পড়ে যায়!

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগস্ট বড় বেদনাদায়ক। অনেক কথা মনে পড়ে যায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক

ছোট্ট একটা বাড়ি। আর এই বাড়িটা দখলমুক্ত করতে এর বাসিন্দারা অকাতরচিত্তে জীবন দিয়েছে। মাত্র ৫৬হাজার বর্গমাইলের জন্য জীবন দিয়েছে ৩০লক্ষ মানুষ! আরও জীবন দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তার আগেই বাঙালি-জাতির চিরশত্রু পাকিস্তানীনরপশুরা মাথানিচু করে মাফ চেয়ে বদ্বীপ-বাড়িটা ছেড়ে পালিয়েছে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানীহানাদারবাহিনী নামক পৃথিবীর সর্বকালের সর্বকুখ্যাত নরপশুগং গায়ে পড়ে বাঙালি-জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলো—তাও একেবারে রাতের আঁধারে—আর চোরের মতো। ঘুমন্ত-মানুষের বিরুদ্ধে পৃথিবীর বুকে এমন শয়তানীআগ্রাসন আর নাই।

এই ৫৬হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট বাড়িটা ধ্বংস করার জন্য পৃথিবীর কুখ্যাত শয়তানরাষ্ট্রগুলো সেদিন একজোট হয়েছিলো। আর পাকিস্তান নামক শয়তানরাষ্ট্রটিকে সবরকমের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলো সেদিনের আমেরিকা-চীন। আর পাকিস্তানকে শত-শত কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করছিলো আরবরাষ্ট্র—সৌদিআরব।

তবুও সেদিন এই বাড়ির লোকেরা মনোবল হারায়নি। তাদের মধ্যে কোনোপ্রকার ভয়ভীতিও দেখা দেয়নি। বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকা-চীন পাশে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান নামক একটি শয়তানরাষ্ট্র (আমেরিকা-চীনের) সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও বাঙালির সামনে দাঁড়াতে পারেনি। পাকিস্তানীরা আসলে কাপুরুষ—আর সবসময় নির্লজ্জ লম্পট।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ-ত্যাগ করার আগে আর নিজেদের পরাজয় আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানীজানোয়াররা বাংলাদেশের ব্রিজ-কালভার্ট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ইত্যাদি নির্বিচারে ধ্বংস করতে শুরু করে দেয়। কিন্তু তবুও তাদের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। এতেও বাঙালির মনোবল ভাঙেনি। তারা ছিল দুর্বার আর দুর্দান্ত-দৃঢ়চেতা।
এভাবেই একদিন (১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর) পাকিস্তান নামক শয়তানরাষ্ট্র নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশরাষ্ট্র থেকে পালিয়ে যায়। অবশেষে বাড়িটি শত্রুমুক্ত হয়। কিন্তু রয়ে যায় ঘাপটিমেরে থাকা বড়সড় কতকগুলো শয়তান। এরা আবার গোপনে-গোপনে শুরু করে দেয় তাদের শয়তানীষড়যন্ত্র।

একদিন পাকিস্তান নামক শয়তানরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এলেন বাড়ির কর্তা-পিতা। এমন একজন পিতাকে পেয়ে বাড়ির মানুষজন আনন্দে উদ্বেলিত হলো। তাদের এই আনন্দের মাঝেই ষড়যন্ত্রের জালবিস্তার করতে থাকে মীরজাফরের বংশধররা।

১৯৭১ সালে জাতির পিতা যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই শুধু নাই আর নাই! ব্রিজ নাই, কালভার্ট নাই, খাদ্য নাই, হাসপাতাল নাই, স্কুল-কলেজ ঠিক নাই—এমনকি মাঠে ফসলও নাই। তিনি পায়ে হেঁটে, গাড়িতে চড়ে যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই যুদ্ধবিধ্বস্তদেশে শুধু নাই আর নাই। আর চারিদিকে শুধু মানুষের হাহাকার! এর মধ্যেও আছে আবার সেই পরাশক্তি-রাষ্ট্রগুলোর ভয়ানক ষড়যন্ত্র। তবুও এই বাড়ির পিতা ভেঙ্গে পড়েননি—আর একটুও মনোবল হারাননি। একদিকে ষড়যন্ত্র আরেকদিকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করছেন তিনি। ভিতরে-ভিতরে, ভিতরে-বাইরে আবার সেই কালসাপ! একাত্তরের পরাজিতশত্রুরা সব একজোট হয়েছে! তবুও পিতা এগিয়ে যাচ্ছেন পরম নির্ভাবনায়!

(চলবে)

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০১/০৮/২০১৬

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×