somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোভিয়েত নাবিকের সমাধিস্থলে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিসত্দানি হানাদার বাহিনী তাদের আত্মসমর্পণকালে চট্টগ্রাম বন্দরকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রচুর শক্তিশালী মাইন পুঁতে রাখে এবং নদীর চ্যানেলে বেশকিছু জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। ফলে স্বাধীনতার পর উক্ত চ্যানেলে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নদীতে পুঁতে রাখা এইসব শক্তিশালী মাইন ও নিমজ্জিত জাহাজ অপসারণকালে 1972 সালের 22 মার্চ বাংলাদেশ সরকার ও সোভিয়েত সরকারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী সোভিয়েতের একটি উদ্ধারকারী দল বাংলাদেশে আসে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী থেকে মাইন অপসারণে নিয়োজিত হন। সে সময় এক মর্মানত্দিক দুর্ঘটনায় সোভিয়েত রাশিয়ার বীর নৌসেনা ইউভি রেডকিন নিহত হলে তাকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা নিকটবতর্ী নেভাল একাডেমি এলাকায় সমাধিস্থ করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে গত 18 ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ জাবেদ নজর"ল ইসলাম সোভিয়েত নাবিক ইউবি রেডকিনের সমাধিস্থলে পুষ্পসত্দবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সিটি মেয়রের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলির পর রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষে কনসু্যল জেনারেল অলিগ এন আভদিয়েভও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে নেভাল একাডেমির ক্যাপ্টেন এম এম রাজীব, কমান্ডার সামশুল আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোসত্দাফা কামালউদ্দিন, সচিব মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী ও রাশিয়ান কনসু্যল জেনারেল অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে রাশিয়ান নাবিকের এই আত্মত্যাগকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অকুণ্ঠ সমর্থনের পাশাপাশি তাদের বীরসেনানীরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা এবং জনগণের অকৃত্রিম
বন্ধু। রাশিয়ার কনসু্যল জেনারেল অলিগ এন আভদিয়েভ নিহত নাবিকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সিটি মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এয়ার এম্বুলেন্স ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী’কে নিয়ে জরিপে আপনার মতামত দেখতে চাই॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন শহরে বসবাস করছেন। সেই দলের মূল নেত্রী অসুস্থ। আর তাকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশ যাওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিবে কাতারের আমির। বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের কি এতটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×