হঠাৎ নিরব হয়ে যাওয়া ইলাকে আজ রাতে বাসায় এসে পাওয়া গেল না। প্যারালাইজড বাবা মেয়ের অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছেন। পাশে খাবার পাত্র ঘেঁষে বসে থাকা ধুসর বিড়াল সজাগ দৃষ্টিতে নিজেকে কর্তব্যরত প্রমাণ করার চেষ্টা করলো।
পরদিন সূর্য ডুবতে গেলে ইলা দরজায় এসে দাঁড়ালো। সূর্যের আলো যেন সে আজকাল নিতে পারছে না। পেছনে পিতার বয়সী গ্রামের মাতব্বর চাচা। উনিই এখন ওদের একমাত্র ভরসা। ইলা উনার বাসাতেই কাজ করে। উনি প্রায়ই ইলাকে বাসায় পৌঁছে দেন।
ইলার বাবাকে এবারো ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু বড় পোকাটি আবারো ইলার ঘাড়ে জেঁকে বসলো। ইলা নিজের রুম থেকে উঠে এসে বাবাকে ডাকতে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে গেলো। মাতব্বর ইলাকে হারালেন। ইলাকে দেওয়া ঈদের গিফটটি খোঁজার জন্য তিনি দ্রুত ইলার রুমের বালিশের নিচে খোঁজতে লাগলেন নিজের ইজ্জত এবং জীবন।
ছবিঃ ইন্টারনেট
গল্প কাল্পনিক হলেও আমাদের সমাজে এমন অনেক ইলাকেই সেইম কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। সমাজ যাদের দ্বারা পরিচালিত তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তিই বা কার?
অনেক দিন পর কিছু লেখার চেষ্টা করলাম। যদিও পূর্বে ভালো লেখার কোন অভিজ্ঞতা নেই, তবু নিজের সাফাই গাওয়ার চেষ্টা বলতারেন

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৮:২০