পরী কবিতা ভালোবাসে।
বৃষ্টি যখন সৃষ্টি হলো, তখনি জিজ্ঞাসা করেছিলাম "ভালোবাসো?"
পরী তখন মিষ্টি করে দৃষ্টি সরিয়ে বলেছিলো "বাসি।
তোমার কবিতা ভালোবাসি। তোমার সৃজনবাদ ভালোবাসি।
তোমার ঐ পরী ডাক আমায় করে গ্রাসী।"
আমি বিমোহিত হয়ে যাই।
চুপটি করে তার পানে তাকাই।
এই কি আপেক্ষিকতা? সময় সংকোচন।
নাকি লৌকিকতা? বিস্ময় নিবারণ।
এই কি লাজুকতা? অবমিত শির।
নাকি শব্দ মাদকতা? স্বখচিত ভীড়।
একি বিভ্রমতা? কেশ আলগোছ করা।
নাকি ভ্রমরতা? ফুলে ফুলে জড়া।
আমি তাকিয়ে থাকি। তাকিয়ে থাকি।
আমার দ্বিধা বিস্তৃত হয়,তখনি দ্বার বেধে ভ্রমটাকে রুখি।
আবার জিজ্ঞাসা করি,"আর আমাকে? আমাকে ভালোবাসো?
আমার কবিতার মত। কিংবা তোমার ঠোটের মত,তুমি যখন হাসো।"
পরী কিছু বলে না।
দু আঙ্গুলের ফাক গলে এলোমেলো কেশগুলো ঠিক করে নেয়।
তারপর কিছু বলতে চেষ্টা করে পারে না।
চলে যাবার অথবা পালিয়ে যাবার জন্য পায়ে ভর দেয়।
তারপর?একবারো পিছনে না তাকিয়ে নিঃশব্দে চলে যায়।
পরী চলে যায়।
পরীরা চলে যায়।
কেউ আটকায়না। কেউ থামায় না।
পরীরা কবির জন্য নয়, কবিতার জন্যই আসে।
কবিতার জন্য পাশে।
কবিতার জন্য হাসে।
কবিতার জন্য ভাসে।
পরীরা শুধু কবিতা ভালোবাসে।
আকাশ মেঘে মেঘে ছেয়ে গেছে,এখনি হয়তো শুরু হবে বৃষ্টি নামা।
নামুক। আজ আর দরকার নেই কিছু থামা।
দরকার নেই কিছু থামা।