somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়বে?আর ইউ পম গানা??

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের স্কুলের পিছনেই মসজিদ।চোর-পুলিশ খেলা চলছিল টিফিন পিরিয়ডে।কয়েকজন গিয়ে মসজিদে ঢুকে লুকিয়ে গেলাম।আমার সামনেই একটু পর একজন লোক চলে এলেন,আবছা অন্ধকারে লোকটি আমার দিকে চোখ কুঁচকে তাকালেন,তারপরই ধমক:অ্যাই মেয়ে,এখানে কি করো?এখানে ঢুকেছো কেন?জানোনা মেয়েদের মসজিদে ঢোকা বারণ?
এখন হলে আমি নিশ্চয় ভয় পেতাম এরকম আক্রমণে,কুন্ঠিত হতাম কি বলবো ভেবে।কিন্তু যখনকার কথা বলছি তখন আর আজকের আমিতে অনেক তফাত..বলছি আমার ৭-৮ বছর বয়সের ঘটনা।সুতরাং আমি উনার প্রশ্নে একটুও না ঘাবড়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম,কেন?আমার বন্ধুরাও তো আসছে,ওই যে!
উনি এবার যারপরনাই বিরক্ত:আরে,এটা কি খেলার জায়গা?আর ছেলেরা ঢুকলেও সমস্যা নাই,তোমরা(মেয়েদের দেখিয়ে) আসছো কেন?
আমরা বেরিয়ে এলাম,বাইরে এসে খেলা চালিয়ে গেলাম।তবে আমার মনে কোখায় যেন ভদ্রলোকের কথাগুলো রয়ে গেল।তাই বাসায় ফিরে আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম,কেন মেয়েরা মসজিদে যেতে পারেনা?আব্বু একটু ভেবে বললেন,কথনো তো মেয়েদের যেতে দেখিনি,নিশ্চয় যাওয়া বারণ,তাই যায়না!

আমি এই ঘটনা ওখানেই ভুলে গেলাম।কিন্তু বহু বছর পর আবার মনে পড়লো যখন একটু একটু করে ইসলামকে জানার চেষ্টা করা শুরু করলাম তখন।
হাদিসে আছে:‘Do not prevent your women from attending the mosque if they seek your permission to do so.’ 2) do not prevent the female slaves of Allah from attending the mosques of Allah.’ 3) ‘If your womenfolk seek your permission to go to the mosque, then let them do so.’ (Sahih Muslim).
‘The believing women used to attend fajr prayer with the Messenger of Allah SAW, wrapped up in their outer garments...'- Bukhari&Muslim
এখন কথা হলো,আল্লাহর রাসুল( সা: ) মেয়েদের মসজিদে যেতে মানা তো করেননি,উল্টা মেয়েরা তখন তাঁর সাথেই মসজিদে নামাজ পড়তেন শেষ সারিতে।সুবহানাল্লাহ্!যেখানে সাড়ে চৌদ্দশো/পনেরোশো বছর আগে মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারতেন,সেখানে আজকের উপমহাদেশে এই প্র্র্যাকটিস খুব সীমিত মসজিদে,সীমিত জায়গায় আছে।কেন?
কিছু মানুষের গোঁড়ামীর কারনে!কিছু মানুষের অযথা ভয়ের নামে মেয়েদের খাঁচাবন্দী করে রাখার প্রচেষ্টার কারনে!
মেয়েরা কিন্তু ইউরোপ,আমেরিকায় ঠিকই কাজটি করতে পারেন,তাদের জন্য সেখানে আলাদা জায়গা থাকে মসজিদে।আর আমাদের দেশে,উপমহাদেশে (এবং আরো কিছু জায়গায়) সুন্দর মসজিদ বানানোর চেষ্টার অন্ত নেই,কিন্তু সেখানে মেয়েদের জায়গা!?নাউজুবিল্লাহ্! মেয়েরা এখানে মিনি স্কার্ট পরে ঘুরে,ঘুরুক।ছেলেরা পর্ণ দেখে দেখুক।No fitna(আমাদের হুজুরদের বড় প্রিয় শব্দ!) there!কিন্তু হিজাব করা একজন মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে?আর ইউ পম গানা?? বেসম্ভব কথা!যদি নামাজ পড়তে গিয়ে ছেলেদেরকে 'ফিতনায়' জড়িয়ে ফেলে??যদি নিজেরা বিপদে পড়ে যায়??

এ আমার বড়ই আজব দেশ।এদেশে ‘মুক্ত চিন্তার’ মানুষের অভাব নেই।দেশ-বিদেশ নিয়ে চিন্তার আমাদের শেষ নাই।কেবল ধর্ম নিয়ে চিন্তার সময় দেখা যায় বাপ-মা-হুজুর সেই ১৯৫৩ সালে যা জেনেছিলেন আর আমাদের যা জানিয়েছিলেন তার আর কোন নড়চড় নাই,এ নিয়ে আর কেউ চিন্তা করতে যায়না।এ নিয়ে ১৯৫৩ সালের জানার বাইরে আর কেউ কিছু ভাবেনা,ভাবার সময় কই? আরও মজার ব্যাপার হলো,কেউ যদি এইসব জানার বাইরে কিছু জানাতে যায়,তবে সে হয়ে যায় আমাদের শত্রু।আমরা যাচাই করিনা,নিজে কিছু জানিনা,পড়িনা,যে জানাতে যায় তারে হেস্তনেস্ত করে ছাড়ি।আরো আছে।আমি কিছু জ্ঞানী মানুষকে চিনি,যারা আসলেই অনেক জানেন।কিন্তু তাঁরা জামায়েত/শিবির নিয়ে এতো বেশী ব্যস্ত যে তাদের কথা শুনতে কারোর আগ্রহ হয়না,’তুই রাজাকার’ বলে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়।How they are wasting their knowledge by supporting these morons!
যাই হোক,যা নিয়ে প্যাঁচাল শুরু করেছিলাম,তা হলো মেয়েদের মসজিদে যাওয়া নিয়ে। সেখানে ফেরত যাই।
ইতিহাস বলছে,মেয়েদের মসজিদে যাওয়া আমাদের নবী(সাঃ)-এর সময় কোন সমস্যা ছিলোনা। উনার মসজিদের অনেক দরজা ছিল,একদিন তিনি একটি দেখিয়ে বললেন,"If we could only leave this door for the ladies!" (আমি হাদিস অনুবাদে যাই না যদি wordings-এ কোথাও ভুল করে ফেলি এই ভয়ে)মেয়েরা এরপর থেকে ওই দরজা ব্যবহার করতেন মসজিদে আসা যাওয়ার কাজে।(সব রেফারেন্স আমি নীচে দিয়ে দিয়েছি।)
আরো আছে,নবী(সাঃ)বলেছেন, “When I enter the prayer I intend to prolong it. Then I hear the crying of a child, so I shorten it knowing the difficulty his mother will have with him crying.” [Bukhari]
সুবহানাল্লাহ!আমাদের নবী(সাঃ)যেখানে মসজিদে বাচ্চাদের উপস্থিতি নিয়ে এবং মেয়েদের উপস্থিতি নিয়ে এতদূর মমত্ববোধ নিয়ে কথা বলছেন সেখানে এক ঈদের জামাতে(সিলেটে) শুনেছিলাম ইমাম সাহেব বলছেন,মেয়েদের সাথে বাচ্চারা থাকে,তাদের নানা সমস্যা থাকে,তারা বাড়িতে নামাজ পড়াই ভাল,বাচ্চাদের সাথে না আনাই ভালো...মেয়েদের এভাবে কুণ্ঠিত করার মানে কি?এই বিরক্তির মানে কি? উনার কাকে অনুসরন করার কথা?যে মহামানবকে করার কথা, তাঁকে অনুসরন না করে উনি ইমাম হোন কোন যুক্তিতে?
এখন দেখা যাক,কারা মেয়েদের মসজিদে নামাজ পরার,সেখানে ইভেন যাওয়ার ব্যাপারে নেগেটিভ মত দেন,কেন দেন। মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর মৃত্যুর পর আয়েশা(রাঃ) তখনকার মেয়েদের ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে একবার বলেছিলেন,"If the Prophet (peace and blessings be upon him) would have seen what the women do now, he would have stopped them from coming to Mosques." মেয়েরা তখন পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতেন না,পারফিউম ব্যবহার করতেন,ছেলেদের সাথে অযথা আলাপে ব্যস্ত হতেন,এ জন্যেই এই কথা তিনি বলেছিলেন।কিন্তু এ ঘটনা মেয়েদেরকে মসজিদে নামাজ না পড়তে দেবার কোনও রকমের যুক্তি হতে পারেনা,পারে কি?
আরেকটি ঘটনা হলো ওমর (রাঃ)-র স্ত্রীর মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে যা তিনি পছন্দ করতেন না।মজার ব্যাপার হল,তিনি কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারেননি,কারন,তিনি জানতেন তাঁর অপছন্দের কারনে তিনি মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর কথার বিরোধিতা করতে পারেননা।পড়ে দেখুনঃ
It is reported that the wife of `Umar Ibn Al-Khattab (may Allah be pleased with him) used to attend the congregational Prayer in the Mosque at Fajr and `Ishaa' Prayers. It was said to her, "Why do you leave home, you know that `Umar does not like that and he feels ashamed (that you leave home at that time)?" She said, "So what prevents him from stopping me?" The person said, "It is the words of the Prophet (peace and blessings be upon him) 'Do not prevent the she-servants of Allah from Allah's Mosques.'" (Reported by Al-Bukhari)
এখন যারা এই ঘটনাগুলোকে প্রমান হিসাবে উপস্থাপন করেন এবং এসবকে কেন্দ্র করে একসময় মেয়েদের মসজিদে যাওয়াই নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা কতটা যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন?

হ্যাঁ,মেয়েদের ঘরে সময় দেবার ব্যাপার আছে,তাদের মসজিদে নামাজ পড়া সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে,সুতরাং,মেয়েদের ব্যাপারে ছেলেদের মতো মসজিদে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা আসেনি।নবী(সাঃ)তাই বলেছেন,” “A woman’s prayer in her house is better than in her courtyard, and her prayer in her own room is better than her prayer in the rest of the house” (reported by Abu Dawud). অর্থাৎ একটি মেয়ের, যে ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মসজিদে যেতে পারছেনা,তার এই ভেবে দুঃখিত হবার কারণ নেই যে আমি ছেলেদের মতো সওয়াব পাবোনা।কিন্তু এর মানে কি এই দাঁড়ায় যে আগের হাদিসগুলোকে এই হাদিস nullify করে দেয়,নাহ!মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার কোনই মানে নাই,এটা কি এ থেকে বলা যায়?না!তারা কি হজ্জে গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ছেন না?পড়ছেন।হযরত মরিয়ম(আঃ) কি মসজিদেই আলাদা একটা ঘরে থাকতেন না??(আল কোরআন,3: 37,http://www.suhaibwebb.com/islam-studies/%E2%80%9Cwhat-would-mariam-do%E2%80%9D-part-1-by-muslema-al-purmul-al-azhariyah/)
তাহলে কেন আজকের যুগের/সমাজের পুরুষরা মেয়েদের ব্যাপারে এসব নীতি- নির্ধারণের চেষ্টা করেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের বিধানের বাইরে গিয়ে?

আজকের দিনে যে মেয়েটি ঘরেই শুধু কাজ করেনা,বাইরেও কাজ করে,সে যদি সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে মাগরিবের আযান হয়েই যায়,সে কি করবে? কিংবা কোনও কাজে ঘরে কাজ করা মেয়েটি-ই বিকালে বাইরে গেলো।তার একে তো অজু বাসায় করে যেতে হয়,সেই করা অজু নামাজ পর্যন্ত থাকবে কি থাকবেনা এই নিয়ে চিন্তার শেষ থাকেনা,তার উপর পথে আযান হলে সামনে মসজিদ থাকলেও সে নামাজ পড়তে পারেনা।অসহায় হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষা করতে হয়,অথবা রিক্সায়,অটোতে,গাড়িতে বা বাসে জায়গায় বসে নামাজ পড়ে।ছেলেটি কিন্তু মসজিদে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি,তার সমস্যা হচ্ছেনা।মেয়েদের ব্যাপারে কেন এই দৈন্যদশা?এমন তো না যে আল্লাহ/আল্লাহ-র রাসুল(সাঃ) তাকে এমন অবস্থায় ফেলেছেন!ফেলেছেন তো আজব সমাজের আজব মুরুব্বিরা, যারা বড়ই ‘চিন্তিত’ মেয়েদের ব্যাপারে।তা এই মেয়েটির নামাজের অসুবিধার দায় কি মুরুব্বিরা মাথায় নিতে রাজি হবেন শেষ বিচারের দিনে? X(

নীচের লেখাগুলো পড়ুন,দেখুন এই ব্যাপারে আমাদের দেশের মোল্লাদের আর মুসলমানদের জ্ঞানের দৌড় কতটুকুঃ
Click This Link
http://en.islamtoday.net/artshow-233-3599.htm
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
২৫টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×