গত কয়েকদিন ধরে বিবিসি, আলজাজিরা
সহ আর্ন্তজাতিক গনমাধ্যমে আলোচিত
হচ্ছে বাংলাদেশের লাখো আলেমের
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সাক্ষরিত
ঐতিহাসিক ফতোয়া। আগামী ১৮জুন
আনুষ্টানিক সংবাদ সম্মেলন করে এই
ফতোয়া প্রকাশ করে রাষ্টপতির কাছে জমা
দেয়ার পর এই আলোচিত ঐতিহাসিক
ফতোয়া পাঠানো হবে জাতিসংঘে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা ওআইসিতেও
ফতোয়ার কপি ২০ খণ্ডে প্রকাশ করে
পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু
ফতোয়া প্রকাশের আগেই বাংলাদেশের
আলেমদের এই ব্যতিক্রমি ও সাহসী
উদ্দ্যোগের খবরে নড়েচড়ে বসছে জিহাদ ও
জঙ্গিবাদকে একাকার করে প্রচারকারী
বিশ্ব মিডিয়া।
শোলাকীয়া ঈদগাহের ইমাম শায়খুল হাদীস
আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে
আহববায়ক করে দেশের শীর্ষ আলেমদের
সমন্নয়ের ১১ সদস্যের ফতোয়া সংগ্রহ
কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সারা
দেশের মসজিদের ইমাম, মাদসার শীর্ষ
উস্তাদ ও দেশের গ্রহনযোগ্য মুফতিদের কাছ
থেকে ফতোয়ায় সই নেয়। ফতোয়ায় ঢাকার
শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, বেফাকের
গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইসলামী
রাজনৈতিক দলের শীর্ষ আলেম,
হেফাজতের ইসলামের আমীর আল্লামা
আহমদ শফির পরিচালিত দারুল উলুম মঈনুল
ইসলাম হাটহাজারীর প্রধান মুফতি আব্দুস
সালাম চাটগামী, হেফাজত মহাসচীব
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ মাদরাসার
শীর্ষ দশ আলেম সাক্ষার করেন। এতে
মুফতিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও ভূমিকা
সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো বই আকারে
প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফতোয়ার
কপি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় গ্রন্থগারেও
দেওয়া হবে।গত বছরের ২ জানুয়ারি থেকে
সই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এ বছর
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তা শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু জামাত শিবির সহ উগ্র সন্ত্রাসী ও
জঙ্গিদের অপপ্রচারের কারণে চার মাস
সময় বেশি লেগেছে।
গত বছর নভেম্বরে ভারতেরর দেওবন্দ থেকে
আইএসবিরোধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর যাবতীয়
কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ১ হাজার
মুফতি এবং ইসলামী চিন্তাবিদের সই করা
একটি ফতোয়া প্রকাশ করা হয়। এ ফতোয়া
জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছেও পাঠানো
হয়। এতে বলা হয়, ‘ইসলাম সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে আর আইএস সন্ত্রাসকে উসকে
দিচ্ছে।’ এছাড়া মুসলিম দেশগুলোতেও ১৫
খণ্ডের ফতোয়া পাঠানো হয়।