প্রিয় ব্লগার ও যারা ব্লগ ভিজিট করছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আমি একজন রাজাকার। বিরাট রাজাকার। পরিমাপ করা যাবে না, আমি আসলে কত বড় রাজাকার।
জামাল২০০৭ নামে এক ব্যক্তি একটি পোষ্ট করেছেন,
'ওয়াজ মাহফিল (আল্লামা দেলোয়ার হোসের সাঈদী)'
আর পায় কে? ওই লোকের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে আমাদের ব্লগার বন্ধুরা মন্তব্য করছেন।
কিছু নমুনা দেয়া গেল:
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪ মখআলমগীর বলেছেন: শালা রাজাকারের গুস্টি। (একই মন্তব্য তিনি কয়েকবার করেছেন)
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:১১ বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: আমার কমেন্ট মুছলেই কি আর সাঈদী বাটপার থিকা ফেরেশতা হৈয়া যাইব???
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩ বৃত্তবন্দী বলেছেন: আমি মুখ নিচু করেই থুথু দেই আর তা পড়ে রাজাকারের গায়ে।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬ অধ্যাপক বলেছেন: সাঈদির ওয়াজ রসময় গুপ্তের ওডিও সংস্করণ।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৪ আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
চুতিয়া, কমেন্ট মুছিস ক্যান?
তোরে পাবলিকের হাতে ছাইড়া দিলাম।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯ অধ্যাপক বলেছেন: রাজাকারের জারজ পোলারা এমপি হইলেই সে তুলসী পাতা হয়ে যায় না। তোগো সাকাচৌ ও তো এমপি মন্ত্রী হয়। সে তো রাজাকার বইলা নিজেই ঘোষণা দিছে। সাঈদিরে রাজাকার না কইলে সে মাইন্ড কইরা তোগো বেতনভাতা বন কইরা দিব।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২ অধ্যাপক বলেছেন: জামাইল্যা, থুথু দিতাছি না। সাঈদির মুখে মুইতা দিতাছি। ওইডা যায়গামতো গিয়াই পড়তাছে।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫ আমি ও আমরা বলেছেন: আহা অধ্যাপক ভাই এমনে বলেনা! বলেন চন-চনাইয়া মুতিতেছি
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯ র্যাভেন বলেছেন:
সাঈদী নামের আগে আল্লামা লাগাক আর হজরত লাগাক বাইনচোদ বাইনচোদই, রাজাকার রাজাকারই।
রাজাকারকেতো আর ছড়াকার বলা যায় না।
আমি একজন রাজাকার। অপমানের ঘটা আমার ওপরেরও পড়ে। কাজেই পোষ্ট লিখতে বাধ্য হইলাম।
অধ্যাপক সাহেবকে বলছি, অন্য কারও মুখে নয় আমাদের নিজেদের মুখেই নিজেদের মুতা দরকার।
যদি আমরা সত্যিকারের বাঙালী হতে পারতাম তবে রাজাকাররা দেশের এমপি হতে পারত না। গাড়ীতে বাংলার পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারত না। বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারত না। নিজেকে নি্জেই রাজাকার বলে পরিচয় দিতে পারত না। অকর্মার ঢেকি বলেই তারা আমাদের উপর রাজত্ব করে।
সেদিন কোন এক ব্লগারের প্রোফাইল পিকচারে দেখলাম এক কুকুরের গায়ে রাজাকার লেখা। ভীষণ অপমানিত বোধ হওয়ায় তাকে বললাম, পিকচারটা বদলে ফেলেন। তিনি বললেন, কুত্তার গায়ে রাজাকার লিখলে কি কুত্তারেই অপমান করা হয় না?
হয়তো হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আমাদের কোন মুরদ নাই। আমরা শুধুই কুত্তার গায়ে রাজাকার লিখতেই পারি। আর কিছু পারি না। সারা দেশের প্রতিটি মানুষ যদি স্বেচ্ছায় রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে রাস্তায় নামে, তাহলে কি রাজাকারেরা পার পেয়ে যাবে?
যদি রাজাকারদের প্রতি সত্যিই ঘৃণা থাকত তবে দেশের প্রতিটি ভাতের কণা মুখে তুলবার আগে নিজেদের মুখেই থুতু মারা উচিত ছিল। জামাল সাহেবের মত কেউ পোষ্ট দিলেই আমরা হম্বিতম্বি শুরু করি। আমাগের প্রেষ্টিজে লাগে (যদি আদৌ থেকে থাকে)। কিছু করার মুরদ নাই বলেই ব্লগের বসে চুপিসারে মন্তব্য করি। বা বড়জোর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা পাঠাই, 'রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত'।
শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করেন, উচিত। অবশ্যই হতে হবে, এমনটা নয়।
ত্রিশ লক্ষ লোকের প্রাণের বিনিময়ে যে দেশ সেখানে রাজাকারেরা গায়ে ফু লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর আমরা বিশিষ্ট জনেরা আলোচনা করি,
'এই সরকারের উচিত, রাজাকার ও দেশদ্রোহীদের বিচার শুরু করা।'
এই হল দেশের প্রতি তোদের ভালবাসা। এই ভালবাসার মুখে জুতা মারি।
যদি সত্যিই ঘৃণা থাকে তবে সত্যিকারের কিছু করেন।খামোখা এই সব আকামা গালি ঝাইড়েন না। যদি গালি ঝাড়ার এত খায়েশ থাকে তবে সরাসরি রাজাকারের সামনে দাড়িয়ে গালি দেন। পারবেন? আছে সেই সাহস?
বাঙালীর সাহস হইল ইন্দুরের মত। কিছু হইলেই এরা সব গর্তের তলায়। তাই তাদের সাথে মিলিয়ে আমি নিজেকে বাঙালী বলি না। রাজাকার বলি। তোদের মত ঘৃণ্য বাঙালী হওয়ার চেয়ে রাজাকার হওয়া অনেক ভাল।
নিজেকে বাঙালী বলে সেদিনই পরিচয় দেব যেদিন সত্যিকারের বাঙালী হতে পারব, অপরাধীদের অভয়ারণ্য এই দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পারব, তার আগে নয়।
হ্যা আমি রাজাকার। বুকের পাটা থাকলে আমার সামনে এসে দাড়া।
তৌসিক আহম্মেদ। ছাত্র।