আলী সিনার ইসলাম বিরোধী এসব বক্তব্যের মানে কি? শিরোনামে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। যার লিংক:
Click This Link সেই পোষ্টে বলেছিলাম, আলী সিনা ও আয়াতুল্লাহ মোনতাজেরির বিতর্ক নিয়ে একটি পোষ্ট দেব। দেরিতে হলেও সেটি দিতে পেরেছি বলে আমি আনন্দিত।
আসলে বিতর্কটি কয়েকটি প্রশ্নে বিভক্ত। আজকে শুধু প্রথম প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত ভাবানুবাদ দেয়া হল। যদি সাড়া পাওয়া যায় তবে বাকী প্রশ্নগুলোরও অনুবাদ আলাদা করে প্রকাশ করব।
আঃ আয়াতুল্লাহ মোনতাজেরি
সিঃ আলী সিনা।
প্রশ্ন ১: মহানবী (সঃ) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) যখন বিয়ে হয়, তখন আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। তাদের শারীরিক সম্পর্কের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। ৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তি, ৯ বছর বয়সী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তিনি কিভাবে আল্লাহর নবী হতে পারেন?
আঃ সেই সময়ে রাজনৈতিক কারনে বিয়ে হত। মেয়ের বাবার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মহানবী বিয়ে করেছিলেন। এটা একটা রাজনৈতিক কারন।
সিঃ কিন্তু তাই বলে ৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তির সাথে ৯ বছর বয়সী মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক!
আঃ মহানবী ২৫ বছর বয়সে, ৪০ বছর বয়সী খাদিজার (রঃ) কে বিয়ে করেছিলেন। এবং খাদিজা (রঃ) এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। তিনি অসৎ ব্যক্তি হলে খাদিজার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতেন না।
সিঃ খাদিজা ধনী মহিলা ছিলেন। মহানবী তাকে বিয়ে করেছিলেন, শুধু তার সম্পত্তি আত্নসাৎ করার জন্য।
আঃ মহানবী বহু বৃদ্ধ ও বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন, শুধু তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেবার জন্য। সম্পত্তির লোভে নয়।
সিঃ আবু বকরের অনুরোধে মহানবী আয়েশার সাথে বিয়ের পর-পরই শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হননি। এই সময়ে নিজের শারীরিক চাহিদার প্রয়োজনে তিনি সওদাকে বিয়ে করেন। কোন কোন নারীর সাথে তিনি বিয়ে ছাড়াই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এমনকি তিনি স্বাধীন বিধবাদের, যাদের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল না, তাদেরও বিয়ে করেন।
আঃ আবু লাহাব, জাহলের মত শত্রুদের পরাস্ত করতে মহানবীর, আবু বকরের সহায়তার প্রয়োজন ছিল। আবু বকরের অনুরোধেই তিনি আয়েশাকে বিয়ে করেন।
সিঃ সহীহ বুখারী (৭.৮) > "মহানবী আয়েশাকে বিয়ে করতে চাইলেন। আবু বকর বললেন, কিন্তু আমি আপনার ভাই। মহানবী বললেন, আল্লাহর ধর্মে তুমি আমার ভাই, তাই আয়েশা আমার জন্য বৈধ।"
একইভাবে হামজাও আল্লাহর ধর্ম অনুসারে তার ভাই হলেও, তার কন্যাকে মহানবী বিয়ে করেননি। কারন, সে সুন্দরী ছিল না। আর শত্রুদের পরাস্ত করতে ৯ বছর বয়সী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে? এটা ধর্ষন ছাড়া আর কিছুই নয়।
আঃ সেই যুগে এধনের শারীরিক সম্পর্ক গ্রহনযোগ্য ছিল।
সিঃ মহানবী প্রেরণ করা হয়েছিল, অন্ধকার যুগ থেকে আলোর যুগের দিশারী হিসেবে। অথচ তিনি নিয়েই অমানবিক আচরন করেছেন। সেই যুগের বর্বরতাকে আমরা কেন মেনে নেব? কেন বলব, মহানবী সর্বশ্রেষ্ঠ? অন্তত, তিনি যদি এধনের কাজ নিরুৎসাহিত করতেন তাহলেও চলত। তা না করে তিনি নিজেই এধনের বিয়ে করেছেন। এবং এধরনের অমানবিক কাজ করতে মুসলমানদের উৎসাহিত করেছেন, কারন, মুসলামনরা তাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে।
----------------------------------------------------------------------------------
আদতে সেই বিতর্ক এত ছোট নয়। তবে মূল কথাগুলো একই। তারপরও যদি আপনি চান, তবে সেই বিতর্কের লিংক দেয়া হল:
Click This Link
তৌসিক আহম্মেদ। ছাত্র।
ব্লগ অ্যাড্রেস: http://www.somewhereinblog.net/blog/Tausiq
ইমেইল অ্যাড্রেস: [email protected]