সারা দেশ যখন এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগোচ্ছিল, সহিংসতা যখন পৌঁছে যাচ্ছিল চরমে, তখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে ইস্তফা গ্রহণ আঁধারের মধ্যে আলোর সূচনা বটে। সারাদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা ভালো হল কি খারাপ হলো তা জানিনা। তবে নতুনভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত জাতির জন্য আশার স্বরূপ। যদিও রাষ্ট্রপতি তাঁর কথায় যথেষ্ট ফাঁক রেখেছেন। তিনি বলেছেন, দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। ভালো, ঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ পিছানো নিয়ে তিনি কিছু বলেন নি। যাই হোক, রাষ্ট্রপতির গতরাতের ঘোষণাটা ভালোই। কারফিউ জারি করা হয়েছে রাত ১১ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত, যা ঢাকার জন্য কোন রাতই নয়। (তবে জরুরী অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, ইত্যাদিবাহী গাড়ি কারফিউ মুক্ত)। এর কোন প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছিনা। এখন অপোয় আছি বিএনপিরূপী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্গঠনের পর যদিও সুষ্ঠু, নিরপে, ও অবাধ একটি নির্বাচন সম্ভব হয়, তাহলে জাতির সত্যিকারর্থে, কে হবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার? মহাঐক্যজোট, নাকি সর্বনাশা মতালোভী বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি? যেই ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) গত পাঁচ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই দেশের উপর। বাড়িয়ে দিয়েছে দ্রব্যমূল্য। তা আবার সরাসরি অস্বীকার করছে তাঁরা। বিএনপি কখনোই দেশের উন্নয়ন চায়না। তাঁরা চায় টাকা আর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে খালেদা। যার জন্য দেশের জনগণ আজ নিপতিত এক অসামান্য ভয়াবহ পরিস্থিতিতে। এখন জনগণ চায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। ও একটি দেশপ্রেমী সরকার। কে সেই দেশপ্রেমী সরকার? এখন কিছুই করার নেই। ভারপ্রাপ্ত সিইসির মত একটাই মন্ত্র, [গাঢ়]দেখা যাক কি হয়।[/গাঢ়]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ২:৪৫